ভারতেরই থাকবো, দেশে ফিরবো না: শেখ হাসিনা
Published: 29th, October 2025 GMT
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, আওয়ামী লীগকে বাদ দিয়ে নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত কোনো সরকারের অধীনে তিনি দেশে ফিরবেন না। আপাতত তিনি ভারতে থাকার পরিকল্পনা নিয়েছেন।
আজ বুধবার ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর এটিই তার প্রথম আনুষ্ঠানিক সাক্ষাৎকার।
আরো পড়ুন:
শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় কবে, জানা যাবে ১৩ নভেম্বর
শেখ হাসিনার ওপর হামলা: সাবেক এমপি হাবিবসহ ৪৪ আসামি খালাস
নোবেল শান্তি পুরস্কার বিজয়ী মুহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বাধীন একটি অন্তর্বর্তীকালীন সরকার হাসিনার পতনের পর থেকে বাংলাদেশ পরিচালনা করছে এবং আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের অঙ্গীকার করেছে। দেশে বর্তমানে আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ।
ই-মেইলে রয়টার্সকে দেওয়া জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “আওয়ামী লীগের ওপর নিষেধাজ্ঞা কেবল অন্যায়ই নয়, এটি আত্মঘাতীও বটে। আওয়ামী লীগের লাখ লাখ সমর্থক আগামী বছরের জাতীয় নির্বাচন বয়কট করবে।”
রয়টার্সকে শেখ হাসিনা বলেন, “পরবর্তী সরকারের নির্বাচনী বৈধতা থাকা দরকার। লাখ লাখ মানুষ আওয়ামী লীগকে সমর্থন করে, তাই এখনকার অবস্থায় তারা ভোট দেবে না। যদি কার্যকর রাজনৈতিক ব্যবস্থা চান, তবে কোটি কোটি মানুষকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করা চলবে না।”
ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী আরো জানান, তিনি বা তার পরিবারের কেউ আর আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে নাও থাকতে পারেন।
শেখ হাসিনা রয়টার্সকে বলেন, “এটা সত্যিই আমি বা আমার পরিবারকে নিয়ে নয়। বাংলাদেশ যে ভবিষ্যৎ চায়, তা অর্জন করতে হলে সাংবিধানিক শাসন ও রাজনৈতিক স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতেই হবে। কোনো একক ব্যক্তি বা পরিবার দেশের ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করতে পারে না।”
তবে তার এই বক্তব্য তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের আগের মন্তব্যের সঙ্গে কিছুটা ভিন্ন। ওয়াশিংটনে বসবাসরত সজীব ওয়াজেদ গত বছর রয়টার্সকে বলেছিলেন, অনুরোধ করা হলে তিনি আওয়ামী লীগের নেতৃত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করবেন।
দেশে ফেরার ইচ্ছা প্রকাশ করে শেখ হাসিনা আরও বলেন, 'আমি দেশে ফিরতে চাই, তবে শর্ত একটাই—সেখানে বৈধ সরকার থাকতে হবে, সংবিধান অটুট থাকতে হবে এবং প্রকৃত আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখতে হবে।'
উল্লেখ্য, জুলাই অভ্যুত্থানে সহিংস দমন-পীড়ন ও আওয়ামী লীগ শাসনামলে গুমসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা চলমান।
এর আগে ট্রাইব্যুনাল গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রীর যেকোনো 'বিদ্বেষমূলক বক্তব্য' প্রকাশ বা প্রচার নিষিদ্ধ করে।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আওয় ম ল গ ক ষমত চ য ত সরক র আওয় ম
এছাড়াও পড়ুন:
রিকশার গ্যারেজে তৈরি হচ্ছিল নকল ‘ডেটল’ সাবান
বাইরে থেকে দেখতে রিকশার গ্যারেজ। তবে এর আড়ালে সেখানে চলছিল নকল সাবান তৈরির কাজ। রাত হলেই সেখানে ডেটল, সলিড, লিফোর্ডসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের ছাঁচ ও মোড়ক নকল করে এসব সাবান তৈরি হতো। আজ রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে নকল সাবান তৈরির কারখানাটি সিলগালা করে নকল সাবান জব্দ করা হয়।
আজ দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইউনুছ মার্কেট এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক আবদুর রহিম। অভিযানে র্যাব-৭–এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
র্যাব জানায়, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে একটি কারখানায় অবৈধভাবে সাবান উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। কারখানাটি ইউনিয়ন পরিষদের একটি ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করলেও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বা মান নিয়ন্ত্রণ সনদ ছিল না। সেখানে ডেটল সাবান তৈরির ছাঁচ ও মোড়ক পাওয়া গেছে। হুবহু নকল এসব মোড়কে ভুল তথ্য দিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হতো। কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।
র্যাব-৭–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রিকশার গ্যারেজের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি এখানে নকল সাবান তৈরি করছে; এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র্যাব-৭। এসব নকল সাবানে বিভিন্ন নামী কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছিল। এসব সাবানে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।