ভৈরবে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের প্রতিবাদ ও অখণ্ড জেলার দাবিতে কিশোরগঞ্জে বিক্ষোভ
Published: 29th, October 2025 GMT
কিশোরগঞ্জের ভৈরবে যাত্রীবাহী ট্রেনে এলোপাতাড়ি পাথর নিক্ষেপের প্রতিবাদে ও অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলার দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ হয়েছে। আজ বুধবার দুপুরে কিশোরগঞ্জের গুরুদয়াল সরকারি কলেজ চত্বরের শহীদ মিনারে ‘অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা’র ব্যানারে এ কর্মসূচি পালিত হয়।
ভৈরবকে জেলার দাবিতে যাত্রীবাহী ট্রেন আটকে পাথর নিক্ষেপের ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে বক্তারা বলেন, ভৈরববাসী কিছুদিন ধরে নৈরাজ্য সৃষ্টি করছে। তারা জনসাধারণের দুর্ভোগের কারণ হয়েছে। এমনকি কিশোরগঞ্জকে নিয়ে নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর পাশাপাশি আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি করছে। কিশোরগঞ্জ জেলা অখণ্ড আছে ও থাকবে। এটিকে কেউ ভাঙার দুঃসাহস দেখালে তাদের বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
আরও পড়ুনজেলার দাবিতে ভৈরবে রেলপথ অবরোধ, ট্রেনের ওপর উঠে নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার চেষ্টা২৭ অক্টোবর ২০২৫কর্মসূচিতে ‘অখণ্ড কিশোরগঞ্জ জেলা’র মুখপাত্র জগলুল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কিশোরগঞ্জ জেলা শাখার সাবেক আহ্বায়ক ইকরাম হোসেন, জেলা ছাত্রদলের সাবেক সহসভাপতি সায়েদ সুমন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক নেতা ফয়সাল প্রিন্স, মো.
জগলুল হাসান বলেন, ‘কিশোরগঞ্জ জেলাকে নিয়ে ভৈরববাসীর নানা প্রোপাগান্ডা ছড়ানো ও আন্দোলনের নামে অস্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টিরও প্রতিবাদ জানিয়েছি আমরা। ট্রেনে পাথর নিক্ষেপকারী দুষ্কৃতকারীদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে আগামীকাল বৃহস্পতিবার পুলিশ সুপারের কাছে স্মারকলিপি দেওয়া হবে। ভৈরববাসী যদি আন্দোলনের নামে আর কোনো সহিংসতা আর নৈরাজ্য সৃষ্টি করে তাহলে কিশোরগঞ্জবাসী বসে থাকবে না। তারাও কঠিন আন্দোলন সংগ্রাম গড়ে তুলবে।’
এদিকে ভৈরবে ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনায় অজ্ঞাতপরিচয় ১৫০ জনকে আসামি করে ভৈরব রেলওয়ে থানায় মামলা করা হয়েছে। ভৈরব রেলস্টেশনের মাস্টার মো. ইউসুফ গত সোমবার রাতে মামলাটি করেন। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ভৈরব রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইদ আহমেদ বলেন, অন্য আসামিদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ক শ রগঞ জ জ ল অখণ ড
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’
‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।
রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী