গণমাধ্যম সংস্কার নিয়ে অনেক আলোচনা হলেও এর ফলাফল খুব কম বলে মন্তব্য করেছেন সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও বণিক বার্তার সম্পাদক দেওয়ান হানিফ মাহমুদ। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবার আদর্শের কথা বলি। কিন্তু আদর্শের কথা না বলে আমাদের সংস্কারের ব্যবহারিক জায়গায় আসতে হবে।’

প্রথম আলো আয়োজিত ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ’ শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে এ কথাগুলো বলেন দেওয়ান হানিফ। আজ বুধবার সকালে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে আয়োজিত গোলটেবিল বৈঠকটি সঞ্চালনা করেন প্রথম আলোর নির্বাহী সম্পাদক সাজ্জাদ শরিফ।

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ‎দেওয়ান হানিফ বলেন, ‘আর্থিকভাবে সাংবাদিকদের নিরাপত্তা খুব কম। এ কারণে সাংবাদিকদের অনেকেই সাংবাদিকতার বাইরে আরও অনেক কিছু করেন।’ তিনি বলেন, ‘সম্পাদকেরা অনেক কিছু করেন, যেটা তাঁর পেশার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। আদর্শগত জায়গা থেকে আমরা চিন্তা করছি। কিন্তু এই একই অসুবিধা হয়তো ডাক্তারেরও আছে, আইনজীবীরও আছে।’

এ সময় দেওয়ান হানিফ বলেন, ‘৫ আগস্টের অভ্যুত্থানের সঙ্গে যাঁরা সরাসরি সম্পৃক্ত, তাঁরা কি বলতে পারেন আমরা নিজেরা কতটুক সংশোধন হয়েছি? আমাদের পরিস্থিতি আগের চেয়ে আসলে কতটা পরিবর্তন হয়েছে?’

সম্পাদক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, ‘রাষ্ট্র মেরামতের যে আন্দোলন ৫ আগস্টের আগে শুরু হয়েছিল, দিন শেষে রাষ্ট্রের কিন্তু কোনো মেরামত হয়নি।’

সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহ্‌ফুজ আনাম। আজ বুধবার প্রথম আলো কার্যালয়ে ‘বাংলাদেশের গণমাধ্যমে সংস্কার: সুপারিশ, বাস্তবতা ও ভবিষ্যৎ ’শীর্ষক গোলটেবিল বৈঠকে.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প রথম আল

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ