ছয় ঘণ্টা পর বিকল্প ফ্লাইটে সিলেট ছাড়লেন লন্ডনগামী ২৬২ যাত্রী
Published: 29th, October 2025 GMT
সিলেট থেকে যুক্তরাজ্যগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের একটি উড়োজাহাজে যাত্রী ওঠানোর পর বোর্ডিং ব্রিজ সরানোর সময় ইঞ্জিনের সঙ্গে ধাক্কা লাগায় ফ্লাইটটি বাতিল করা হয়। এ ঘটনায় আজ বুধবার সকালে সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটকা পড়েন ২৬২ যাত্রী। পরে ঢাকা থেকে বিকল্প উড়োজাহাজ গেলে ছয় ঘণ্টা পর বিকেল ৪টা ২০ মিনিটে তাঁরা সিলেট ছাড়েন।
বিমানবন্দর সূত্রে জানা গেছে, সিলেট থেকে লন্ডনগামী বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০২ ফ্লাইটটি সকালে যাত্রার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছিল। এতে যাত্রীদের ওঠার জন্য বোর্ডিং ব্রিজ লাগানোর পর ২৬২ জন যাত্রী উড়োজাহাজে ওঠেন। পরে বোর্ডিং ব্রিজ সরানোর সময় উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের কাভারের সঙ্গে সেটির ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
প্রাথমিকভাবে ফ্লাইট বাতিল করে যাত্রীদের বিকল্প উড়োজাহাজে করে যুক্তরাজ্যে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। পরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের বিজি-২০১ ফ্লাইটে যাত্রীদের উঠিয়ে মালপত্র স্থানান্তর করা হয়। পরে সেটি সিলেট থেকে যাত্রী নিয়ে ৪টা ২০ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে।
ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের পরিচালক হাফিজ আহমেদ প্রথম আলোকে বলেন, বাতিল হওয়া ফ্লাইট থেকে যাত্রীদের মালপত্র নামিয়ে বিকল্প ফ্লাইটটিতে উঠিয়ে দেওয়া হয়। পরে যাত্রীরাও বিমান বাংলাদেশের বিজি-২০১ ফ্লাইটটিতে উঠে বিকেল চারটা ২০ মিনিটে লন্ডনের উদ্দেশে যাত্রা করে। ফ্লাইট বাতিল হওয়া উড়োজাহাজটি বিকেল ৪টা ২৬ মিনিটে ঢাকার উদ্দেশে সিলেট ছেড়েছে। ঢাকায় প্রকৌশলীদের সেটি পর্যবেক্ষণ করার কথা আছে।
আরও পড়ুনওসমানী বিমানবন্দরে বোর্ডিং ব্রিজের সঙ্গে উড়োজাহাজের ইঞ্জিন কাভারের ধাক্কা, লন্ডনগামী ফ্লাইট বাতিল৫ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ফ ল ইটট ফ ল ইট ব কল প
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫