‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ থাকায় জুলাই সনদ অনুষ্ঠান বর্জন ছাত্র সংসদ নেতাদের
Published: 29th, October 2025 GMT
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জুলাই সনদ-বিষয়ক এক অনুষ্ঠানে ‘ফ্যাসিস্টের দোসর’ উপস্থিত থাকার অভিযোগ তুলে তা বর্জন করেছেন ছাত্র সংসদের নেতারা।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাবে আয়োজিত যুবরাক নীতিনির্ধারণী এ অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক আইনুল ইসলামকে আওয়ামী ফ্যাসিস্টের দোসর ও তার উপস্থিতিকে ‘অগ্রহণযোগ্য’ উল্লেখ করে তারা অনুষ্ঠান ত্যাগ করেন।
আরো পড়ুন:
হিজাব নিয়ে মন্তব্য: রাবি অধ্যাপকের শাস্তির দাবিতে স্মারকলিপি
শপথ নিলেন রাকসুর নবনির্বাচিত প্রতিনিধিরা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) জিএস এস এম ফরহাদের নেতৃত্বে অনুষ্ঠান বর্জন করেন উপস্থিত জাহঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদের (জাকসু) জিএস মো.
ডাকসু জিএস এসএম ফরহাদ বলেন, “আজকের অনুষ্ঠানে উপস্থিত সবাই জুলাইয়ের অংশ। কিন্তু কেউ যদি জুলাইবিরোধী অবস্থানে থাকেন, তার উপস্থিতি আমাদের কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অধ্যাপক আইনুল ইসলাম ফ্যাসিবাদের পৃষ্ঠপোষক হিসেবে পরিচিত। তার বিরুদ্ধে আমাদের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে। তার উপস্থিতি আমাদের জন্য লজ্জাজনক।”
তিনি আরও বলেন, “যেহেতু এই অনুষ্ঠানটি ছিল জুলাই সনদ নিয়ে, তাই একজন জুলাইবিরোধী ব্যক্তির উপস্থিতি আমরা মেনে নিতে পারি না। সে কারণেই ডাকসু, জাকসু, রাকসু ও চাকসুর ছাত্র প্রতিনিধিরা অনুষ্ঠানটি বর্জন করেছেন।”
ফ্যাসিস্টের দোসর আখ্যা পাওয়া রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অ্যাপ্লাইড ডেমোক্রেসি ল্যাবের পরিচালক মোহাম্মদ আইনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সায়মা হক বিদিশা প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন।
এতে বক্তব্য দেন, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্য ড. বদিউল আলম মজুমদার ও সংবিধান বিশেষজ্ঞ ড. সুমিত বিসারিয়া, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. তৈয়েবুর রহমান এবং নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান।
ঢাকা/সৌরভ/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর জ ল ই গণঅভ য ত থ ন ত র উপস থ ত অন ষ ঠ ন ল ইসল ম
এছাড়াও পড়ুন:
ইসির সঙ্গে বৈঠকে গণঅধিকার পরিষদ: অংশগ্রহণভিত্তিক ও গ্রহণযোগ্য নির
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিনের সঙ্গে বৈঠকে করেছে নাগরিক সংগঠন গণঅধিকার পরিষদের একটি প্রতিনিধি দল।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৪টায় আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে শুরু হওয়া বৈঠকে সংগঠনের সভাপতি নুরুল হক নুর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের প্রতিনিধিদল অংশ নেন।
আরো পড়ুন:
নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা
‘আমরা একটা অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন করতে চাই’
প্রতিনিধিদলের পক্ষ থেকে তারা অংশগ্রহণভিত্তিক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন নিশ্চিত করার ওপর জোর দেন।
বৈঠকের পর সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে নুরুল হক নুর বলেন, “নির্বাচনী ব্যবস্থায় কাঠামোগত সংস্কার না হলে জনগণের আস্থা ফিরবে না, ইসির সঙ্গে আমাদের মূল দাবি ছিল, সেই আস্থাই পুনরুদ্ধার করা। এছাড়া রাজনৈতিক দল ও নাগরিক সমাজের সংশ্লিষ্ট উদ্বেগগুলো শুনে তা প্রয়োজনে আইন বা প্রথাগত পদ্ধতিতে প্রতিফলিত করা জরুরি।”
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা গেছে যে বৈঠকে আগামি নির্বাচন, গণভোট-সংক্রান্ত বিষয়, এবং নির্বাচন রুলস (আরপিও) সংশোধনসহ নির্বাচনী পরিবেশ নির্মাণ সংক্রান্ত বিভিন্ন ইস্যুতে আলোচনা হয়। কমিশন প্রাণকেন্দ্রের কর্তৃপক্ষও বর্তমান প্রস্তুতি ও পরিকল্পনা সম্পর্কে প্রতিনিধি দলের নিকট তথ্য উপস্থাপন করে।
কর্মকর্তারা বৈঠকে নির্বাচন প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা ও নিরাপত্তা ব্যবস্থাসহ যে পদক্ষেপ নেবে তার খসড়া তুলে ধরেন।
বৈঠকের প্রেক্ষাপটে উল্লেখ্য, আগে থেকেই বিএনপি, জামায়াতে ইসলামি, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও আমার বাংলাদেশ পার্টি (এবি পার্টি) সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল একাধিকবার নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সংলাপ করেছে।
ইসি জানিয়েছে, অংশগ্রহণকারী পক্ষগুলোর সঙ্গে ধারাবাহিক সংলাপ চলবে এবং নভেম্বর মাসে আরো কয়েকটি রাজনৈতিক দলকে নিয়ে বৈঠক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
নির্বাচন ভবনের আশপাশে বৈঠকের সময় বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থা দেখা যায়। তবে ফটক এলাকা ও কার্যক্রমে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি বলে পুলিশ ও দায়িত্বশীল সূত্র জানিয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, রাজনৈতিক পক্ষগুলোর সঙ্গে এমন সংলাপ বানানো স্বাভাবিকভাবে নির্বাচনী পরিবেশের ওপর ইতিবাচক মনোভাব তৈরিতে সহায়ক হলেও বাস্তবে তা কী পরিমাণে ফলাফল দেয়—সেই বিষয়টি বিদেশি ও স্থানীয় পর্যবেক্ষকদের নজরে থাকবে।
গণঅধিকার পরিষদ ও নির্বাচন কমিশনের এ ধরনের বৈঠকগুলোকে অনেকে স্বাগত জানালেও দাবি রয়েছে- এসব সংলাপ কেবল আনুষ্ঠানিকতা না রেখে প্রতিশ্রুত বাস্তব পরিবর্তনে রূপান্তরিত হবে কি না, তা সময়ই বলে দেবে বলে জানান নেতৃবৃন্দ।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী