চার বেহারার কাঁধে দুলছে পালকি। হারিয়ে যাওয়া বাঙালির ঐতিহ্যের স্মারক পালকিতে চড়ে হাজির হলেন চিত্রনায়িকা পূজা চেরি। তার পরন লাল শাড়ি, একেবারে নববধূ সাজে মন ভোলানো উপস্থিতি। অন্যদিকে, তাকে বরণের জন্য দাঁড়িয়ে আছেন দুই জনপ্রিয় তারকা চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো। মুহূর্তেই যেন পুরো পরিবেশ ভরে উঠল সিনেমার দৃশ্যের মতো এক বাস্তব আবহে। 

এটি কোনো বিয়ের আয়োজন নয়—এ দৃশ্য ছিল রেদওয়ান রনির নতুন সিনেমা ‘দম’-এর মহরত অনুষ্ঠানে। দীর্ঘ প্রায় এক দশক পর বড় পর্দায় ফিরছেন এই নির্মাতা। সত্য ঘটনা অবলম্বনে নির্মিত হতে যাওয়া সিনেমাটির মহরত বুধবার (২৯ অক্টোবর) সন্ধ্যায় অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর গুলশান শুটিং ক্লাবে। 

আরো পড়ুন:

১১০০ কোটি টাকা বাজেট: আইটেম কন্যা পূজার পারিশ্রমিক কত?

পূজামণ্ডপে যেন ধ্বণিত হচ্ছে গাজার শিশুদের আর্তনাদ

এই সিনেমায় প্রথমবারের মতো একসঙ্গে কাজ করতে যাচ্ছেন চঞ্চল চৌধুরী ও আফরান নিশো—ঘোষণার পর থেকেই শোবিজপাড়ায় ছিল তুমুল কৌতূহল, “নায়িকা কে হচ্ছেন?” গুঞ্জনে একসময় ভেসে আসে মেহজাবীন চৌধুরীর নামও। কিন্তু সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে অবশেষে জানা গেল, চঞ্চল-নিশোর সঙ্গী হচ্ছেন পূজা চেরি। 

রেদওয়ান রনি জানান, বাস্তব জীবনের একটি ঘটনাকে উপজীব্য করে তৈরি হচ্ছে ‘দম’। রোমাঞ্চ, আবেগ আর সামাজিক বাস্তবতার মিশেলে ভিন্ন ঘরানার এক গল্প নিয়ে সিনেমাটি নির্মাণ করা হবে।  

আসন্ন ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে মুক্তি পাওয়ার লক্ষ্য নিয়ে নির্মাণ হচ্ছে সিনেমাটি। শুধু বাংলাদেশেই নয়, সৌদি আরব, জর্দান ও কাজাখস্তানের মনোরম লোকেশনে হবে শুটিং। গ্ল্যামার, গল্প আর গুণের মিশেলে ‘দম’-এর এই পালকিযাত্রা যেন ইতিমধ্যেই দর্শকের মনে কৌতূহল জাগিয়েছে। চঞ্চল-নিশো-পূজার নতুন রসায়ন বড় পর্দায় কেমন দম দেবে, সেটাই এখন অপেক্ষার বিষয়।

ঢাকা/রাহাত/শান্ত

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর চলচ চ ত র

এছাড়াও পড়ুন:

রিকশার গ্যারেজে তৈরি হচ্ছিল নকল ‘ডেটল’ সাবান

বাইরে থেকে দেখতে রিকশার গ্যারেজ। তবে এর আড়ালে সেখানে চলছিল নকল সাবান তৈরির কাজ। রাত হলেই সেখানে ডেটল, সলিড, লিফোর্ডসহ বিভিন্ন ব্যান্ডের ছাঁচ ও মোড়ক নকল করে এসব সাবান তৈরি হতো। আজ রোববার দুপুরে অভিযান চালিয়ে নকল সাবান তৈরির কারখানাটি সিলগালা করে নকল সাবান জব্দ করা হয়।

আজ দুপুর ১২টার দিকে চট্টগ্রামের কর্ণফুলী উপজেলার শিকলবাহা ইউনিয়নের ইউনুছ মার্কেট এলাকায় ওই কারখানায় অভিযান পরিচালনা করেন র‍্যাব সদর দপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. আবু হাসান এবং বাংলাদেশ স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড টেস্টিং ইনস্টিটিউশনের (বিএসটিআই) পরিদর্শক আবদুর রহিম। অভিযানে র‍্যাব-৭–এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

র‍্যাব জানায়, সরকারি অনুমোদন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে একটি কারখানায় অবৈধভাবে সাবান উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছিল। কারখানাটি ইউনিয়ন পরিষদের একটি ট্রেড লাইসেন্স ব্যবহার করলেও বিএসটিআইয়ের অনুমোদন বা মান নিয়ন্ত্রণ সনদ ছিল না। সেখানে ডেটল সাবান তৈরির ছাঁচ ও মোড়ক পাওয়া গেছে। হুবহু নকল এসব মোড়কে ভুল তথ্য দিয়ে ক্রেতাদের কাছে বিক্রি করা হতো। কারখানাটি সিলগালা করা হয়েছে।

র‌্যাব-৭–এর অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, রিকশার গ্যারেজের আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে কিছু ব্যক্তি এখানে নকল সাবান তৈরি করছে; এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালায় র‍্যাব-৭। এসব নকল সাবানে বিভিন্ন নামী কোম্পানির লোগো ব্যবহার করে বাজারজাত করা হচ্ছিল। এসব সাবানে যেসব রাসায়নিক ব্যবহার করা হচ্ছে সেগুলোর কোনো অনুমোদন নেই।

সম্পর্কিত নিবন্ধ