পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের অন্যতম বড় সামাজিক সমস্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ শব্দদূষণ মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রণালয় এলক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্প যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।

আরো পড়ুন:

দেশের সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এখন ওয়ালটনে

জলবায়ু ও জ্বালানি রূপান্তরে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা জরুরি

সভায় উপদেষ্টা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। শব্দদূষণ রোধে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”

তিনি আরো বলেন, “পরিবেশ সংরক্ষণ শুধু মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব নয়, এটি সবার যৌথ দায়িত্ব। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশগত মানদণ্ড কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। উন্নয়ন ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা না করলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।”

সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.

ফারহিনা আহমেদ, অতিরিক্ত সচিব (জলবায়ু পরিবর্তন) মোহাম্মদ নাভিদ শফিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন ও উন্নয়ন) মো. খায়রুল হাসান, বন অধিদপ্তরের প্রধান বন সংরক্ষক মো. আমীর হোসাইন চৌধুরীসহ মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন প্রকল্প পরিচালকগণ উপস্থিত ছিলেন।

উপদেষ্টা বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

ঢাকা/এএএম/মেহেদী

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট প রকল প উপদ ষ ট পর ব শ

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ