শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে কার্যকর পদক্ষেপ নিতে পরিবেশ উপদেষ্টার নির্দেশ
Published: 29th, October 2025 GMT
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং পানি সম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান দেশের অন্যতম বড় সামাজিক সমস্যা ও স্বাস্থ্যঝুঁকির কারণ শব্দদূষণ মোকাবেলায় দ্রুত ও কার্যকর পদক্ষেপ নিতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি মন্ত্রণালয় এলক্ষ্যে গৃহীত প্রকল্প যাতে বাস্তবায়িত হয়, সেজন্য কর্মকর্তাদের প্রয়োজনীয় নির্দেশনা প্রদান করেন।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভা কক্ষে অনুষ্ঠিত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি (এডিপি) বাস্তবায়ন অগ্রগতি পর্যালোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব নির্দেশনা প্রদান করেন।
আরো পড়ুন:
দেশের সর্ববৃহৎ ভাসমান সৌর বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট এখন ওয়ালটনে
জলবায়ু ও জ্বালানি রূপান্তরে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করা জরুরি
সভায় উপদেষ্টা শব্দদূষণ নিয়ন্ত্রণে সমন্বয় বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, “আইন প্রয়োগের পাশাপাশি জনসচেতনতা বাড়ানো জরুরি। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, গণমাধ্যম ও নাগরিক সংগঠনগুলোকে একযোগে এগিয়ে আসতে হবে। শব্দদূষণ রোধে স্থানীয় প্রশাসনকে আরো সক্রিয় ভূমিকা রাখতে হবে।”
তিনি আরো বলেন, “পরিবেশ সংরক্ষণ শুধু মন্ত্রণালয়ের একার দায়িত্ব নয়, এটি সবার যৌথ দায়িত্ব। উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় পরিবেশগত মানদণ্ড কঠোরভাবে অনুসরণ করতে হবে। উন্নয়ন ও পরিবেশের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা না করলে টেকসই উন্নয়ন সম্ভব নয়।”
সভায় পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের সচিব ড.
উপদেষ্টা বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি পর্যালোচনা করেন এবং দ্রুত বাস্তবায়ন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা প্রদান করেন।
ঢাকা/এএএম/মেহেদী
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর পর ব শ উপদ ষ ট প রকল প উপদ ষ ট পর ব শ
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫