৯ মাসে প্রাইম ব্যাংকের মুনাফা ৬২৯ কোটি টাকা
Published: 29th, October 2025 GMT
চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে (জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর) বেসরকারি খাতের প্রাইম ব্যাংক ৬২৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটি মুনাফা করেছিল ৪৯৫ কোটি টাকা। ফলে গত বছরের একই সময়ের তুলনায় মুনাফা বেড়েছে ২৭ শতাংশ। ব্যাংকটির এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আজ বুধবার প্রাইম ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদের সভায় তৃতীয় প্রান্তিকের অনিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন চূড়ান্ত করা হয়।
আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে প্রাইম ব্যাংক ঋণের সুদ বাবদ আয় করেছে ২ হাজার ৪৯৫ কোটি টাকা। তার বিপরীতে আমানতের সুদ বাবদ ব্যয় করেছে ২ হাজার ১১৯ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে ব্যাংকটি ঋণের সুদ থেকে ২ হাজার ২৮৯ কোটি টাকা আর আমানতের সুদ বাবদ ব্যয় হয় ১ হাজার ৫৫০ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের তুলনায় ঋণের সুদ বাবদ ব্যাংকটির আয় ২০৬ কোটি টাকা বেড়েছে। আর একই সময়ের ব্যবধানে আমানতের সুদ বাবদ ব্যয় বেড়েছে ৫৬৯ কোটি টাকা।
ঋণের সুদের চেয়ে আমানতের সুদ ব্যয় বেশি হওয়ার পরও ব্যাংকটির মুনাফা বেড়েছে মূলত বিনিয়োগ আয় উল্লেখযোগ্য পরিমাণে বৃদ্ধির ফলে। আর্থিক প্রতিবেদনের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে বিনিয়োগ থেকে প্রাইম ব্যাংক আয় করেছে ১ হাজার ২২২ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৬৯৩ কোটি টাকা। সেই হিসাবে গত বছরের প্রথম ৯ মাসের তুলনায় চলতি বছরের একই সময়ে বিনিয়োগ থেকে ব্যাংকটির আয় বেড়েছে ৫২৯ কোটি টাকা। এই আয়ের ওপর ভিত্তি করে ব্যাংকের মুনাফায়ও বড় প্রবৃদ্ধি হয়েছে।
প্রাইম ব্যাংক জানিয়েছে, চলতি বছরের প্রথম ৯ মাসে ব্যাংকটির নিট মুনাফায় ২৭ শতাংশ প্রবৃদ্ধি হয়েছে। তাতে ব্যাংকটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) চলতি বছরের জানুয়ারি-সেপ্টেম্বর শেষে বেড়ে হয়েছে ৫ টাকা ৪২ পয়সা, যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৪ টাকা ২৭ পয়সা।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র প রথম ৯ ম স র স দ ব বদ ব য ঋণ র স দ
এছাড়াও পড়ুন:
বাবার কবরে শায়িত বিজ্ঞানী ও লেখক রেজাউর রহমান
বাবার কবরে চিরনিদ্রায় শায়িত হলেন বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত লেখক ড. রেজাউর রহমান। গতকাল বুধবার তাঁকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদ কমপ্লেক্স কবরস্থানে বাবা ফজলুর রহমানের কবরে দাফন করা হয়। এর আগে বাদ আসর এই মসজিদে মরহুমের তৃতীয় জানাজা হয়।
ধানমন্ডির ১২/এ সড়কের তাকওয়া মসজিদে বাদ জোহর রেজাউর রহমানের প্রথম জানাজা সম্পন্ন হয়। এখানে মসজিদের মুসল্লিরা ছাড়াও মরহুমের আত্মীয়, সুহৃদ, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী, স্কুল–কলেজের সতীর্থদের অনেকে অংশ নেন। তাঁদের মধ্যে কেউ কেউ পরে দাফনেও অংশ নিয়েছেন। জানাজা ও দাফনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক নজরুল ইসলাম, শিল্পী রফিকুন নবী, প্রাবন্ধিক মফিদুল হক, শিল্পী আবুল বার্ক্ আলভী, মনিরুল ইসলাম, অধ্যাপক সৈয়দ আজিজুল হক, প্রাণিবিজ্ঞানী অধ্যাপক আনোয়ারুল ইসলাম, এথিকস অ্যাডভান্স টেকনোলজি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ মুবিন খান, লেখক আনিসুল হকসহ কবি, শিল্পী, চিকিৎসকদের অনেকে।
প্রথম জানাজার পরে শেষবারের মতো রেজাউর রহমানের মরদেহ তাঁর ধানমন্ডির বাসভবনে আনা হয়। এখানে পরিবারের সদস্য, বিশেষত নারী আত্মীয়স্বজনসহ অনেকে শেষবারের মতো তাঁকে দেখতে আসেন। বাসভবন ছেড়ে যাওয়ার আগে এখানে দ্বিতীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিবেশী ও স্বজনেরা জানাজায় অংশ নেন। এরপর দাফনের জন্য মোহাম্মদপুর সলিমুল্লাহ রোড জামে মসজিদে আনা হয়।
রেজাউর রহমান ৮১ বছর বয়সে ২৬ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় ল্যাবএইড হাসপাতালের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
আরও পড়ুনরেজাউর রহমানের চলে যাওয়া শুধু ব্যক্তিগত ক্ষতি নয়…২৭ অক্টোবর ২০২৫ব্যক্তিগত জীবনে বিনয়ী ও সদাচারী ছিলেন রেজাউর রহমান। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১৯৬৫ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন। পরে ১৯৭৯ সালে চেক একাডেমি অব সায়েন্সেস-প্রাগ থেকে কীটতত্ত্বে পিএইচডি সম্পন্ন করেন। দীর্ঘ ৩৫ বছর কাজ করেছেন বাংলাদেশ পরমাণু শক্তি কমিশনে। পেশাগত জীবনে কীটপতঙ্গ নিয়ে দেশ-বিদেশে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণা করেছেন তিনি।
পেশাগতভাবে বিজ্ঞানী হলেও লেখক
হিসেবে রেজাউর রহমান বিশেষ খ্যাতি অর্জন করেছিলেন। দেশের বিজ্ঞানবিষয়ক লেখক হিসেবে তিনি ছিলেন বিশিষ্ট স্থানে। বিজ্ঞানে সামগ্রিক অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০২৪ সালে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। সাহিত্যচর্চা ও বিজ্ঞান গবেষণার পাশাপাশি দেশের বিজ্ঞানচর্চার বিভিন্ন আন্দোলনে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন রেজাউর রহমান।
আরও পড়ুনগ্রহান্তরে ভালো থাকবেন ড. রেজাউর রহমান২৮ অক্টোবর ২০২৫