উপাচার্যের পিএসের বিরুদ্ধে গোপন নথি ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ
Published: 29th, October 2025 GMT
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের দপ্তরসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিভাগের প্রায় ৫০টি গোপন নথির ছবি ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। গত সোমবার গভীর রাতে উপাচার্যের ব্যক্তিগত সচিব (পিএস) মো. মিজানুর রহমান তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডি থেকে এসব নথি শেয়ার করেন বলে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক–শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা জানিয়েছেন। অবশ্য এসব নথি ফেসবুকের স্টোরিতে শেয়ার করার কিছুক্ষণ পরেই মুছে ফেলেন পিএস।
এর মধ্যে অনেকে সেসব নথির স্ক্রিনশট নিয়ে তা ফেসবুকে শেয়ার করেছেন। মঙ্গলবার সকালে বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
ফেসবুকে প্রকাশিত ফাইলগুলোর মধ্যে ছিল শিক্ষক ও কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুতির প্রস্তাব–সংক্রান্ত নথি, ব্যক্তিগত ফাইল, শাস্তিমূলক তদন্ত প্রতিবেদন, অডিট আপত্তির নথি, শিক্ষার্থীদের মামলা–সংক্রান্ত কাগজপত্র, এমনকি কর্মকর্তাদের চাকরির আবেদনপত্র ও ব্যক্তিগত ছবি।
অভিযোগের বিষয়ে পিএস মিজানুর রহমানের বক্তব্য জানতে তাঁর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দেননি। এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ তৌফিক আলম বলেন, ‘বিষয়টি আমাদের নজরে এসেছে। এ ঘটনায় বিধি অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বলেন, ‘আমি উপাচার্যের কাছে একটি আবেদনপত্র জমা দিয়েছিলাম, এর কপি কেবল অফিসের গোপন নথিতে ছিল। অথচ সেই আবেদনপত্রের ছবি ফেসবুকে দেখা গেছে। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা ও প্রশাসনিক গোপনীয়তার জন্য হুমকিস্বরূপ।’
তিনজন শিক্ষক নাম প্রকাশ না করার শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, এ ঘটনা আবারও সামনে এনেছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অভ্যন্তরীণ জবাবদিহি ও তদারকি ব্যবস্থার দুর্বলতা। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তরে কে কী তথ্যের অধিকার রাখবে, গোপন নথি কাদের অ্যাকসেসে থাকবে, ডিজিটাল নিরাপত্তা কীভাবে নিশ্চিত হবে—এসব বিষয়ে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়েই কোনো স্পষ্ট নীতিমালা নেই। বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্রে ঘটনাটি প্রমাণ করেছে, গোপন নথির নিরাপত্তা ও প্রাতিষ্ঠানিক তথ্যব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণহীনতা ভয়াবহ পর্যায়ে পৌঁছেছে।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: কর মকর ত উপ চ র য ফ সব ক ব ষয়ট
এছাড়াও পড়ুন:
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটে ১৫ পদে চাকরি, আবেদন করুন দ্রুত
জনস্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের রাজস্ব খাতভুক্ত ১৪ থেকে ১৬তম গ্রেডের ১৫টি পদে নিয়োগে আবেদন চলছে। সাত ক্যাটাগরির এসব পদে আবেদন করতে হবে অনলাইনে। সব পদের নিয়োগ পরীক্ষা একই দিনে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় একজন প্রার্থীকে কেবল একটি পদে আবেদনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। আবেদনের সুযোগ আছে আর দুই দিন।
পদের নাম ও বিবরণ—১. সাঁটমুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর
পদসংখ্যা: ০৩
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৪) ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
২. সিনিয়র মেকানিক
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৪) ১০,২০০-২৪,৬৮০ টাকা
৩. ড্রাইভার
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৫) ৯,৭০০-২৩,৪৯০ টাকা
আরও পড়ুনপরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের ২৭ পদের চাকরি পেতে আর কত অপেক্ষা১১ ডিসেম্বর ২০২৫৪. লাইব্রেরিয়ান
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৫. অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক
পদসংখ্যা: ০৫
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৬. টেলিফোন অপারেটর
পদসংখ্যা: ০২
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
৭. ক্যাশিয়ার
পদসংখ্যা: ০১
গ্রেড ও বেতন স্কেল: (গ্রেড-১৬) ৯,৩০০-২২,৪৯০ টাকা
বয়সসীমা১ নভেম্বর ২০২৫ তারিখে প্রার্থীর বয়স ১৮-৩২ বছরের মধ্যে হতে হবে।
আরও পড়ুনসরকারি আবাসন পরিদপ্তরে নিয়োগ, পদ ৮১০৪ ডিসেম্বর ২০২৫আবেদনের নিয়মপরীক্ষায় অংশগ্রহণে ইচ্ছুক ব্যক্তি এই ওয়েবসাইটে https://iph.gov.bd/ আবেদনপত্র পূরণ করবেন।
আবেদন ফি১ থেকে ৬ নম্বর পদের পরীক্ষার ফি বাবদ ১০০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ১২ টাকাসহ মোট ১১২ টাকা; ৭ নং পদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
*সব পদের অনগ্রসর (ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠী, শারীরিক প্রতিবন্ধী ও তৃতীয় লিঙ্গ) প্রার্থীদের পরীক্ষার ফি বাবদ ৫০ টাকা ও টেলিটকের সার্ভিস চার্জ বাবদ ৬ টাকাসহ মোট ৫৬ টাকা।
আবেদনের সময়সীমাআবেদনপত্র জমাদানের শেষ তারিখ ও সময়: ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, বিকেল ৫টা।
আরও পড়ুনসহকারী শিক্ষক নিয়োগে দুই ধাপের লিখিত পরীক্ষা ২ জানুয়ারি১০ ডিসেম্বর ২০২৫প্রার্থীদের প্রতি নির্দেশনা১. সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত প্রার্থীদের অবশ্যই যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমতিক্রমে আবেদন করতে হবে। অন্যান্য প্রার্থীর ক্ষেত্রে এই শর্ত প্রযোজ্য নয়।
২. সব পদের পরীক্ষা একই তারিখে অনুষ্ঠিত হওয়ার সম্ভাবনা থাকায় আবেদনকারীকে একাধিক পদে আবেদন না করার পরামর্শ দেওয়া হলো।
৩. নির্ধারিত কোটায় যোগ্য প্রার্থী পাওয়া না গেলে সংশ্লিষ্ট কোটার শূন্য পদসমূহ সাধারণ মেধা তালিকা থেকে পূরণ করা হবে।
*নিয়োগ পরীক্ষার তারিখ, সময় ও বিস্তারিত তথ্য ওয়েবসাইট থেকে জানা যাবে।
আরও পড়ুনচট্টগ্রাম ওয়াসা ৯ম-১০ম গ্রেডে নেবে ২১ জন, আবেদনের সুযোগ বছরের শেষ দিন পর্যন্ত৪ ঘণ্টা আগে