একটি ঘোষণা, আকস্মিক আক্রমণ—তারপর গল্প আর একমুহূর্তও থামে না। আক্ষরিক অর্থেই প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলতে থাকে ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’, অর্থাৎ একের পর এক যুদ্ধ। প্রথম আধঘণ্টার এক বিপ্লবী লড়াইয়ের প্রতিক্রিয়া চলতে থাকে বাকি সময়জুড়ে। অপহরণ, পালানো, ধাওয়া আর দিশাহারা এক বাবার মেয়েকে খুঁজে বেড়ানোর গল্পে পুরো সময়ে বুঁদ হয়ে থাকেন দর্শক। একের পর এক ঘটনা ঘটতে থাকে, কিন্তু কোথাও কোনো কিছু বাড়তি মনে হয় না; বরং তিন ঘণ্টার বিস্তৃত এ সিনেমা পুরোটাই ডার্ক হিউমারে ভরপুর এক উপভোগ্য জার্নি হয়ে ওঠে।

একনজরে
সিনেমা: ‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’
ধরণ : অ্যাকশন-থ্রিলার
নির্মাতা: পল টমাস অ্যান্ডারসন
অভিনয়ে: লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, টেয়ানা টেইলর, শন পেন, বেনিসিও দেল তোরো, রেজিনা হল
রান টাইম: ২ ঘণ্টা ৫০ মিনিট

১৯৯০ সালে প্রকাশিত টমাস পিনচনের উপন্যাস ‘ভাইনল্যান্ড’ থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে সিনেমাটি বানিয়েছেন পল টমাস অ্যান্ডারসন। যার সঙ্গে এ সময়ের যুক্তরাষ্ট্রের বাস্তবতার মিল পাওয়া যায়। বিপ্লব, অভিবাসন, দুর্নীতি, সংঘর্ষ, শ্বেতাঙ্গদের আধিপত্য—এসবই উঠে এসেছে এখানে। তবে বিষয় গুরুগম্ভীর হলেও বিনোদনের মেজাজে সিনেমাটি বানিয়েছেন টমাস অ্যান্ডারসন। এটিই সম্ভবত তাঁর সবচেয়ে সহজবোধ্য সিনেমা।

‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’ শুরুতেই মনোযোগ কেড়ে নেয়। ‘ফ্রেঞ্চ ৭৫’ নামের এক কল্পিত বিপ্লবী গোষ্ঠী মেক্সিকো-মার্কিন সীমান্তে অভিযান চালায়। বিপ্লবীরা অফিসারদের জিম্মি করে বন্দী অভিবাসীদের মুক্ত করে। দলটির নেতৃত্ব দেয় পারফিডিয়া বেভারলি হিলস (টেয়ানা টেইলর)। পারফিডিয়া প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী, স্বাধীনচেতা, বেপরোয়া; কিন্তু ক্রোধে উন্মত্ত এক তরুণী। অভিযান চালানোর সময় সে কর্নেল স্টিভেন লকজয়কে (শন পেন) অপমান করে। এ ঘটনা কর্নেল লকজয়কে উন্মাদ করে তোলে।

‘ওয়ান ব্যাটল আফটার অ্যানাদার’ সিনেমায় শন পেন। আইএমডিবি.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ