ছবি: পেক্সেলস

.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ছড়াচ্ছিল ম্যালওয়্যার

ইউটিউব ভিডিওর মাধ্যমে ক্ষতিকর সফটওয়্যার বা ম্যালওয়্যার ছড়ানোর একটি বিশাল নেটওয়ার্কের সন্ধান পেয়েছে সাইবার নিরাপত্তাপ্রতিষ্ঠান চেক পয়েন্ট রিসার্চ। প্রতিষ্ঠানটির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হওয়া বিভিন্ন টিউটোরিয়াল ভিডিওর মাধ্যমে দীর্ঘদিন ধরে স্মার্টফোন ও কম্পিউটারে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করাচ্ছিল ‘ইউটিউব ঘোস্ট নেটওয়ার্ক’ নামের একটি চক্র। বিষয়টি গুগলকে জানানোর পর ম্যালওয়্যার ছড়ানোর সঙ্গে যুক্ত তিন হাজারের বেশি ভিডিও মুছে ফেলেছে ইউটিউব কর্তৃপক্ষ।

চেক পয়েন্ট রিসার্চের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হ্যাকড হওয়া ও ভুয়া ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করে ইউটিউব ঘোস্ট নেটওয়ার্ক চক্রটি র‌্যাডাম্যানথিস ও লুমা নামের ইনফোস্টিলারসহ নানা ধরনের ম্যালওয়্যার ছড়াতো। এসব ভিডিওতে জনপ্রিয় সফটওয়্যারের ‘ক্র্যাকড’ সংস্করণ ব্যবহারের পাশাপাশি গেম হ্যাক করার কৌশল শেখানো হতো। ভিডিওর বিবরণ বা মন্তব্যে থাকা লিংকে ক্লিক করে ব্যবহারকারীরা যখন ফাইল ডাউনলোড করতেন, তখনই তাদের স্মার্টফোন বা কম্পিউটারে ইনস্টল হয়ে যেত ক্ষতিকর ম্যালওয়্যার।

ইউটিউব ব্যবহারকারীদের বোকা বানাতে অসংখ্য ভুয়া বা হ্যাকড করা ইউটিউব অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করতো ইউটিউব ঘোস্ট নেটওয়ার্ক নামের চক্রটি। প্রতিটি অ্যাকাউন্টকে এমনভাবে সাজানো হতো, যাতে তা বাস্তব ও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। এ জন্য নির্দিষ্ট কিছু অ্যাকাউন্ট থেকে ম্যালওয়্যার ফাইলের লিংকযুক্ত টিউটোরিয়াল ভিডিও আপলোড করা হতো। অন্য অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ভিডিওর বিষয়ে ইতিবাচক মন্তব্য করা হতো, যাতে ভিডিওগুলো আরও বিশ্বাসযোগ্য মনে হয়। এই কাঠামোর কারণে নেটওয়ার্কটির কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে গেলেও অন্যগুলো সক্রিয় থেকে একই কার্যক্রম চালিয়ে যেত, ফলে পুরো চক্রটিকে একসঙ্গে বন্ধ করা ইউটিউবের জন্য কঠিন হয়ে পড়ে।

ইউটিউব ব্যবহারকারীদের সতর্ক করে চেক পয়েন্ট রিসার্চ জানিয়েছে, ইউটিউবের মতো জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমেও এখন ম্যালওয়্যার ছড়ানোর ঝুঁকি রয়েছে। আর তাই অনলাইনে বিনা মূল্যের সফটওয়্যার ব্যবহারের পাশাপাশি গেমের কোড হ্যাক করার ভিডিও টিউটোরিয়াল থেকে দূরে থাকতে হবে। এ ছাড়া অজানা উৎস থেকে ফাইল ডাউনলোড বা লিংকে ক্লিক করা থেকেও বিরত থাকতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

সম্পর্কিত নিবন্ধ