জগদ্ধাত্রী নামের মধ‍্যেই জগতকে ধারণ করার ইঙ্গিত রয়েছে। বর্ষাশেষে পর স্বর্গে যখন অসুরদের ভয়ানক তাণ্ডব চলছে, স্বর্গরাজ‍্যের অধিবাসী দেবদেবীরা যখন সেই তাণ্ডবলীলায় নাজেহাল ওপর্যুদস্ত, তখন সিংহবাহিনী মহিষাসুরমর্দিনীরূপে দেবী দুর্গা অসুরদের নিধন করতে রণক্ষেত্রে নেমেছিলেন। স্বর্গমর্ত‍্যপাতাল সেদিন কেঁপে উঠেছিল এই মহাযুদ্ধে। শেষে দশভূজা দেবী দুর্গার কাছে পরাস্ত হন মহিষাসুর। অবশেষে স্বর্গ সেদিন শান্ত হয়। পুরাণ বলছে, মহিষাসুর বধের পর স্বর্গের দেবতারা আনন্দে শুধু আত্মহারাই হননি, তাঁরা তখন খুব অহংকারী হয়ে ওঠেন। তাঁরা তখন ভুলেই গেছিলেন কার মায়ায় এবং শক্তিতে স্বর্গের দেবতারা পরাক্রমশালী অসুরদের পরাস্ত করতে সক্ষম হয়েছিলেন। তাঁরা আনন্দে ভুলেই যান যে দেবী জগদ্ধাত্রীর শক্তিতেই তাঁরা এত শক্তিশালী হয়েছেন। এই দেবী জগদ্ধাত্রী হলেন দুর্গারই আরেক রূপ। তিনিও দুর্গার মতো সিংহবাহিনী, তবে দশভূজা নন। চতুর্ভূজা।

দেবতারা যখন আত্মতুষ্টিতে ভুগছেন‍, দেবী জগদ্ধাত্রী একদিন ঠিক করলেন যে দেবতাদের এই অহং বিনাশ করতে হবে। সরাসরি তো আর তাঁদের শক্তি পরীক্ষা নিতে পারবেন না। ফলে কৌশলের মাধ্যমে তাঁকে সেই পরীক্ষা নিতে হলো। আসলে স্বর্গের দেবতারা, ভাবতেন দেবী দুর্গা তাঁদেরই সবার সম্মিলিত রূপ, তাই মহিষাসুরকে নিধনের কৃতিত্ব আসলে কমবেশি সকলেরই। যেহেতু ব্রহ্মা নির্দেশ দিয়েছিলেন যে মহিষাসুর বধের জন‍্য একটি নারীদেহের প্রয়োজন এবং তবেই তিনি বর দেবেন, তাই দেবতারা দেবী দুর্গাকে নির্বাচিত করেছিলেন অসুর নিধনের জন্য। আসলে এটি খানিকটা দেবতাদের দর্পচূর্ণ করার জন্য দেবীর এই রূপের সৃষ্টি করেছিলেন ব্রহ্মা।

আরও পড়ুনরাখিবন্ধন: ভেদাভেদ ভুলে মানবতার উৎসব০৯ আগস্ট ২০২৫

তাই অসুরবধের পর যখন অহংকারে দেবতাদের পা যেন আর স্বর্গের মাটিতে পড়ছিল না তখন কার কেমন শক্তি দেবী জগদ্ধাত্রী প্রত‍্যেককে তা পরীক্ষা করে বুঝিয়ে দেওয়া শুরু করলেন। দেবতাদের অহংকার চূর্ণ করতে এবং তাঁদের শক্তি পরীক্ষা করতে দেবী জগদ্ধাত্রী তখন তাঁদের দিকে একটি তৃণখণ্ড ছুঁড়ে দিলেন। কী আশ্চর্য! দেখা গেল ইন্দ্র, অগ্নি, বায়ু বা বরুণ দেবতাদের কেউই সেই তৃণখণ্ডটিকে নিজেদের শক্তি দিয়ে আটকাতে পারছেন না। সকলেই চূড়ান্তভাবে ব‍্যর্থ। কারণ ইন্দ্র তাঁর কঠিন ভয়ঙ্কর বজ্র দিয়ে তৃণখণ্ডকে ধ্বংস করতে ব‍্যর্থ হলেন। অগ্নিদেব সেই তৃণখণ্ডকে বাধা দিয়ে তাকে দগ্ধ করতে পারলেন না। বায়ুদেবও সেই তৃণখণ্ডকে তাঁর সর্বশক্তি প্রয়োগ করে কোথাও উড়িয়ে নিয়ে যেতে পারেন নি। বরুণদেব ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামালেন ঠিকই, তবে তাতে তৃণখণ্ডকে ভাসিয়ে নিয়ে যেতে পারলেন না এক স্থান থেকে অন‍্য স্থানে। এমন যখন বেকায়দায় পড়েছেন দেবকুলের রথী-মহারথীরা তখন তাঁদের সামনে আবির্ভূতা হলেন স্বয়ং দেবী জগদ্ধাত্রী। একটি ক্ষুদ্র তৃণখণ্ডকে যে দেবতারা সরাতে পারেন না, তাঁরা মহিষাসুরকে কীভাবে, কীসের বলে, কোন শক্তিতে বধ করলেন,তা তাঁদের কাছে জানতে চান তিনি। তাঁদের নিরুত্তর দেখে তিনি তখন বলেন, তাঁরই শক্তিতে দেবী দুর্গা এই মহৎ কাজটি করতে সক্ষম হন এবং তিনিই দুর্গার আরেক রূপ ও সমগ্র জগতের ধারিণী শক্তিও।

সনাতন ধর্মে দুর্গা, কালী, লক্ষ্মী বা সরস্বতী পূজার মতো জগদ্ধাত্রী পূজা তত বেশি জনপ্রিয় না হলেও বাঙালি হিন্দুদের মধ‍্যে বেশ অনেককাল আগে থেকেই ইতিহাসের পাতায় জগদ্ধাত্রী পূজার সংবাদ পাওয়া যায়। খ্রিষ্টীয় পঞ্চদশ শতকে সনাতন ধর্মের বিভিন্ন ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালনের আখরগ্রন্থ জীমূতবাহন রচিত কালবিবেক গ্রন্থে দেখা যায় কার্তিক মাসে জগদ্ধাত্রী পূজার উল্লেখ। বরিশালে প্রত্নতাত্ত্বিকরা মাটি খনন করে অষ্টম শতকে নির্মিত দেবী জগদ্ধাত্রীর একটি প্রস্তরমূর্তি পেয়েছেন, যা এখন কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের সংগ্রহশালায় সংরক্ষিত আছে। এছাড়াও অষ্টাদশ শতকে নদীয়ার মহারাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজত্বকালে শান্তিপুরের জলেশ্বর ও রাঘবেশ্বরের শিবমন্দিরের গাত্রে টেরাকোটার ভাস্কর্যে জগদ্ধাত্রীর মূর্তি দেখা যায়।

জগদ্ধাত্রীও দেবী দুর্গার মতো সিংহকে বাহন হিসেবে রেখেছেন। দশ হাতের বদলে চার হাতে রয়েছে বামদিক থেকে যথাক্রমে শঙ্খ ও শার্ঙ্গধনু এবং ডানহাতে চক্র ও পঞ্চবান। দেবীর গায়ের রং প্রভাতের সূর্যের মতো রক্তবর্ণা কমলা। তিনি সালঙ্কারা। তিনি ত্রিনয়না। উপনিষদে তাঁকে আদিশক্তিরূপে বর্ণনা করা হয়েছে।

আরও পড়ুনভাই-বোনের মধ্যকার অনিন্দ্যসুন্দর সম্পর্ক ঘিরেই প্রচলিত ভাইফোঁটা ০৩ নভেম্বর ২০২৪

তবে, চণ্ডীতে আছে তিনি মহামায়া দেবী দুর্গার ভিন্ন একটি রূপ। মহিষাসুর যখন দেবতাদের নাস্তানাবুদ করার জন‍্য মায়াবলে নানা ছদ্মরূপে হাজির হচ্ছিলেন দেবতাদের সামনে তখন তিনি হাতির রূপও ধারণ করেছিলেন। তখন হস্তীরূপী অসুরকে বধ করতে দেবী দুর্গা জগদ্ধাত্রী রূপে আবির্ভূত হয়ে চক্র দ্বারা হাতির শূঁড় ও মাথা ছেদ করে পরাস্ত করেন।

বর্তমানে একসময়ের ফরাসি উপনিবেশ ফরাসডাঙায় নদীয়ারাজ কৃষ্ণচন্দ্রের সুহৃদ ইন্দ্রনারায়ণ চৌধুরী জগদ্ধাত্রী পুজোর প্রবর্তন করেন। আজ চন্দননগরের জগদ্ধাত্রী পুজোর আয়োজন ও জৌলুস বিশ্বখ‍্যাত। সেখানকার বেশ কয়েকটি পুজো শতাব্দীপ্রাচীন। তবে কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প‍্যাঁচার নকশা গ্রন্থে কলকাতায় জগদ্ধাত্রী পুজোর সুন্দর বর্ণনা পাওয়া যায়। তিনি লিখেছেন, ‘বারোইয়ারি প্রতিমাখানি প্রায় বিশ হাত উঁচু—ঘোড়ায় চড়া হাইল‍্যান্ডের গোরা, বিবি, পরী ও নানাবিধ চিড়িয়া, শোলার ফল ও পদ্ম দিয়ে সাজানো; মধ‍্যে মা ভগবতী জগদ্ধাত্রী-মূর্তি—সিঙ্গির গায়ে রূপুলি গিলটি ও হাতী সবুজ মখমল দিয়ে মোড়া। ঠাকরুণের বিবিয়ানা মুখ, রং ও গড়ন আদল ইহুদী ও আরমানী কেতা, ব্রহ্মা, বিষ্ণু,মহেশ্বর ও ইন্দ্র দাঁড়িয়ে জোড়হাত ক’রে স্তব কচ্চেন।’

কার্তিক মাসের শুক্লা নবমী তিথিতে জগদ্ধাত্রীর পূজা সম্পন্ন হয়। তবে পূজার নিয়ম কিছুটা স্বতন্ত্র বলা যায়। কোথাও কোথাও সপ্তমী অষ্টমী ও নবমী তিথি পালন করে তিনদিনই পূজা করা হয়। আবার কেউ কেউ শুধু নবমীর দিনই তিন বার পূজার আয়োজন করে সপ্তমী, অষ্টমী ও নবমী পূজা সম্পন্ন করেন।

আরও পড়ুনমনসা: বাংলার লোকপ্রকৃতির দেবী১৬ জুলাই ২০২৫.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: জগদ ধ ত র র স বর গ র ইন দ র পর ক ষ

এছাড়াও পড়ুন:

বাতিল হচ্ছে ১২৮ জুলাই যোদ্ধার গেজেট

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের জুলাই গণ–অভ্যুত্থানে আহত ব্যক্তিদের প্রকাশিত গেজেট তালিকা থেকে ১২৮ জুলাই যোদ্ধার নাম বাতিল করা হচ্ছে। মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, কিছু জুলাই যোদ্ধা আহত নন, আন্দোলনে সম্পৃক্ত থেকে আহত হননি এবং কয়েকজনের নামে একাধিক গেজেট প্রকাশিত হওয়ায় গেজেট তালিকা থেকে তাঁদের নাম বাদ দেওয়া হচ্ছে।

গেজেট বাতিলের জন্য জেলা কমিটির সুপারিশের ভিত্তিতে ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন, সিলেট বিভাগের ২৭ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন, খুলনা বিভাগের ৯ জন, রংপুর বিভাগের ৩ জন, ঢাকা বিভাগের ১৪ জন, রাজশাহীর ১৩ জন, বরিশাল বিভাগের ২ জনসহ মোট ১২৮ জনের গেজেট বাতিল করা হয়েছে।

এর মধ্যে গেজেটে দ্বৈততায় কারণে ২৩ জন এবং আহত নন অথবা আন্দোলনে সম্পৃক্ত নন, এমন ১০৫ জনের গেজেট বাতিল প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।

গেজেট বাতিল করা ময়মনসিংহ বিভাগের ২১ জন হলেন নেত্রকোনার সৈয়দ তরিকুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০, মোহাম্মদ নুরুল আমিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৮, তানভীর আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২১, কাজী আবুল বাশার সুমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৩, রুহুল আমিন শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৭, অমি হাসান রুপম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৯, মোহাম্মদ আকিব তালুকদার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৪৬, সুজন মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৫৫, মো. ইমন শাহারিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৬৫, আশরাফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট ১৭২, মুশফিকুর রহমান শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৭, মো. সজিব, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৮, সোহাগ মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৯, রুবেল, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ৩৬২, মো. জসিম উদ্দিন, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ৩৬৩, রাব্বি হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬৫, মো. আজহারুল ইসলাম বিপ্লব, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬৬, আবু ফরিদ আহামেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬৭, আফরিনা জান্নাত, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৭০, মাজহারুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৪৮, ময়মনসিংহ জেলার আবু নাঈম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৮৭।

গেজেট বাতিল করা চট্টগ্রাম বিভাগের ৩৯ জন হলেন চট্টগ্রাম জেলার মো. সাগর, শ্রেণি-খ, গেজেট নম্বর ৩২৮, আবদুল্লাহ আল নোমান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৬৯, নাঈম উদ্দীন সাইদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯২, মোহা. শরিফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর-৫১৫, শাহাদাত ইকরাজ তাহনি, শ্রেণি-গ গেজেট নম্বর ৫২১, তাহমিনা ইকরাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫২২, মাহিবী তাজওয়ার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৩৪, জসিম উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৪২, মো. আতিকুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৫২, মো. ইয়াছিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬০, আরফাতুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৯৫, ফরহাদ আলম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬০১, মোহাম্মদ সাজ্জাদ কবির এমরান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬০৩, মুনতাসিরুল হক চৌধুরী মামুর, শ্রেণি–গ, গেজেট নম্বর ৬১৬, পবন চন্দ্র নাথ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬২২, মিশকাত আলম রিয়াদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৭৫, মো. এমরান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭১৭, মোহাম্মদ সাগর, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৬৮, নূরুল্লাহ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৮৯, মোহাম্মদ রাফি, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৯৯, ফয়সাল মোহাম্মদ শিহাব, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০২, ইছনিয়া আকতার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮২৪, মো. মাঈনুদ্দীন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর-৮২৫, সাইমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৭৩, মো. আরিফ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৭৬, রাসেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৮৬, রমজান আলী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৮৭, মাহিম চৌধুরী, শ্রেণি–গ, গেজেট নম্বর ১৯৯১, রিফাত বিন আল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৯৯, লক্ষ্মীপুর জেলার মো. হাছান, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ২৫৮, আবু জুহামুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৮৮১, ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলার মো. তানভির হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর-৪৩৭, চাঁদপুর জেলার মোহাম্মদ মোস্তফা কামাল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৪৮, নোয়াখালী জেলার শেখ মো. রাশেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৬৮, মো. জসিম উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৭৮, মো. বেলায়েত হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১০০, মো. গিয়াস উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬৩, মো. নাজিম মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৮১, মো. ইমাম হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৮২।

গেজেট বাতিল করা বরিশাল বিভাগের দুজন হলেন পিরোজপুর জেলার আলী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৩, বরিশাল জেলার নাঈম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৩০।

গেজেট বাতিল করা সিলেট বিভাগের ২৬ জন হলেন মৌলভীবাজার জেলার মো. আজমল আলী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২, নুর ইসলাম আহমেদ সুজন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৫, মাহমুদুল হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৬, তামিম আহমদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪০, মিনহাজুর রহমান রিমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪১, দেলোয়ার আহমেদ সেলিম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৬, মো. রিয়াদ মাহমুদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯, মো. আরিফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০, শেখ মো. মাহফুজুর রহমান মাহিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫১, জমির মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫২, মো. রায়হান চৌধুরী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৪, মো. রুমান আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৫, হুমায়ুন আহমদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৬, তানবির মিয়া, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৭, নবিবুর রহমান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৯, জিসাম হোসেন রাহী, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৩, ইমাদ উদ্দিন আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০, মো. আলী হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৯, তারেকুল ইসলাম তারেক, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৯০, মো. সুমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৯১, নাঈম আহমদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৯০৬, সিলেট জেলার ফখরুল হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৫৬, সুনামগঞ্জ জেলার মো. রুহুল আমিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৪৫, মোফাজ্জল হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯১, মো. আফতাব উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৭১, আল-হেলাল মো. ইকবাল মাহমুদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫৮৫, মো. মোবারক হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬০১।

ঢাকা বিভাগের ১৪ জন হলেন গাজীপুর জেলার রাসেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৭০, জিহাদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৪১৩, মো. শাহিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৩৩, মোছা. রুমি, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৪৩১, টাঙ্গাইল জেলার খন্দকার রাজ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১০৬৩, রাফিউল নাঈম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬১, রাশিদুল ইসলাম অনিক, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬৩, আব্দুল্লাহ আল রাহাত, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৬৬, নরসিংদী জেলার মো. মঞ্জুমুল আলম জিসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৯৩২, মাদারীপুর জেলার মো. সাইফুল ইসলাম শুভ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৬৮২, মুন্সীগঞ্জ জেলার মুহাম্মদ রিয়াজুল হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৮৩৮, বেলায়েত হোসেন শাহিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৮৩৯, রাজবাড়ী জেলার মজিবর মৃধা, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৯৬৪, কিশোরগঞ্জ জেলার মো. মাসুদুর রহমান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৬৪৫, ঢাকা জেলার মো. মিরাজ শরীফ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১৪৮২।

গেজেট বাতিল করা রাজশাহী বিভাগের ১৩ জন হলেন পাবনা জেলার মো. সোহেল রানা, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ২৯৭, বগুড়া জেলার মো. সজিব আহমেদ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৮৪, রশিদা, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৮৯, নিরব কুমার দাস, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১১৪৭, রাজশাহী জেলার মো. মেহেদী হাসান অমি, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৬০, মো. নাঈম উদ্দিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৮০, মো. সাইফুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৯৬, মেহেদী হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৭৮৯, পলাশ, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮০৩, মো. জাহিদ হাসান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৩৪, সিরাজগঞ্জ জেলার শ্রী দিপ্ত কুমার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৬২, মো. আলামিন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৬৪, মো. মহিউদ্দিন সরকার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৮৭৭।

খুলনা বিভাগের ৯ জন হলেন কুষ্টিয়া জেলার মো. বদিউজ্জামান বাবুল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৮১, মো. ইয়াছিন আহমেদ পাভেল, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৪৯৮, মো. জিয়াউল মালিক, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০৬, মাহাবুল হোসেন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২১৩, মো. জুয়েল আক্তার জয়, শ্রেণি-ক, গেজেট নম্বর ৫০৫, খুলনা জেলার মো. মিনারুল ইসলাম, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০১, মো. সোহেল, শ্রেণি-খ, গেজেট নম্বর ৫০৮, মো. মিন্টু হাওলাদার, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০৮, খালিদ শামস প্রান্ত, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৫০৯।

গেজেট বাতিল করা রংপুর বিভাগের তিনজন হলেন দিনাজপুর জেলার মো. সুমন হোসেন, শ্রেণি-খ, গেজেট নম্বর ৭৪৫, লালমনিরহাট জেলার মো. রাসিফুল ইসলাম প্রধান, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ১২৯৫, ঠাকুরগাঁও জেলার সুমন, শ্রেণি-গ, গেজেট নম্বর ৩৮৮।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, যেসব জুলাই যোদ্ধা প্রতারণার মাধ্যমে জুলাই যোদ্ধা হিসেবে তালিকাভুক্ত হয়েছেন এবং যাঁরা তাদের তালিকাভুক্ত করতে সহায়তা করেছেন ও বেআইনিভাবে সরকারের অর্থ আত্মসাৎ করেছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ