আসন্ন নির্বাচনের চ্যালেঞ্জ ও হামলার শঙ্কা প্রকাশ করে সরকারের পক্ষ থেকে যে বক্তব্য দেওয়া হয়েছে, সেটা ঠিক হয়নি। নির্বাচন নিয়ে যদি কোনো চক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সরকারের দায়িত্ব এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করে ভোটারদের মধ্যে নির্বাচন নিয়ে আস্থা সৃষ্টি করা। সরকারকেই একটা অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে এত দিন ধরে আলোচনার পর এখন যদি বলা হয় যে হঠাৎ আক্রমণ আসতে পারে; এটা তো মানুষের মধ্যে ভীতির সঞ্চার করবেই। নির্বাচনে যারা ঝামেলা তৈরি করতে চায়, এ ধরনের বক্তব্য তাদের জন্য একটা সুযোগ তৈরি করতে পারে।

প্রধান উপদেষ্টার কাছ থেকে নির্বাচনে সব বাধা অতিক্রম করার বক্তব্য জাতি আশা করে। তাঁর উচিত নির্বাচনে ঝুঁকি যাতে দূর হয়, সেটার জন্য প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা নেওয়া। ভোটারদের মনে একটা আস্থা তৈরি করা।

নির্বাচন প্রশ্নে রাজনৈতিক দলগুলো যাতে ঐক্যবদ্ধ থাকে সে বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার আরও শক্ত ভূমিকা নেওয়া উচিত। অন্যান্য বিষয়ে অনৈক্য থাকলেও নির্বাচন ঠিকমতো করার ব্যাপারে দলগুলো যাতে ঐক্যবদ্ধ থাকে, নির্বাচন অনুষ্ঠানে কোনো সংকট যেন কেউ তৈরি করতে না পারে, সেটা নিশ্চিত করতে সরকারকেই ভূমিকা নিতে হবে।

নির্বাচন এগিয়ে আনলে এ ধরনের ঝামেলাগুলো কম হতো। নির্বাচনকে সামনে রেখে এতগুলো এজেন্ডা নিয়ে আসা অযৌক্তিক। সব রাজনৈতিক দল সব বিষয়ে একমত হবে, এমন ভাবাটাও ঠিক নয়। রাজনৈতিক দলগুলো একটি নির্দিষ্ট মতাদর্শ নিয়ে চলে। সুতরাং সবাই তো সব বিষয়ে একমত হবে না।

ন্যূনতম জায়গায় ঐকমত্য তৈরি করে নির্বাচন করার বিষয়ে যে রকম গুরুত্ব দেওয়ার দরকার ছিল, সেটার বিষয়ে সরকারের দিক থেকে গাফিলতি আছে।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন ত ক সরক র র দলগ ল

এছাড়াও পড়ুন:

৫ দাবিতে ৮ দলের নতুন কর্মসূচি, বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি 

জুলাই জাতীয় সনদ বাস্তবায়ন আদেশ জারি ও আদেশের ওপর নভেম্বরের মধ্যে গণভোট আয়োজনসহ ৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলনসহ ৮টি দল নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে।

কর্মসূচিআর মধ্যে রয়েছে ৩০ অক্টোবর নির্বাচন কমিশনে স্মারকলিপি প্রদান। এর মধ্যে দাবি আদায় না হলে ৩ নভেম্বর দলগুলোর শীর্ষ নেতাদের সংবাদ সম্মেলনে বৃহত্তর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

বুধবার জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলসমূহের যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।

লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ মাওলানা ইউনুস আহমদ।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত রাজনৈতিক দলের  নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, ইসলামী আন্দোলনের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুছ আহমদ, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব ড. আহমদ আবদুল কাদের, সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা সাখাওয়াত হোসাইন, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের সিনিয়র নায়েবে আমির মাওলানা ইউসুফ আশরাফ, বাংলাদেশ নেজামে ইসলামী পার্টির মহাসচিব মাওলানা মুসা বিন ইজহার, বাংলাদেশ খেলাফত আন্দোলনের নায়েবে আমির মাওলানা মুজিবুর রহমান হামিদী, জাগপা মুখপাত্র ইঞ্জিনিয়ার রাশেদ প্রধান, বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট পার্টির মহাসচিব নিজামুল হক নাঈম।

লিখিত বক্তব্যে সদ্য ঘোষিত জুলাই সনদ বাস্তবায়ন রুপরেখা নিয়ে বলা হয়, ইতোমধ্যে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন প্রধান উপদেষ্টার নিকট ‘জুলাই সনদ’ বাস্তবায়নের সুপারিশমালা জমা দিয়েছে। গণভোটের বিষয়ে সবাই একমত হয়েছেন। গণভোট ব্যতীত ‘জুলাই জাতীয় সনদ’ আইনগতভাবে টেকসই ভিত্তি পাবে না। আমরা মনে করি, জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পূর্বে, অর্থাৎ নভেম্বর মাসের মধ্যেই গণভোট সম্পন্ন করতে হবে।

লিখিত বক্তব্যে পিআরের পক্ষে যুক্তি তুলে ধরে বলা হয়, কালো টাকার ব্যবহার বন্ধ, ভোটকেন্দ্র দখল, পেশিশক্তির প্রদর্শন ও ভোটের অনিয়ম ও অপতৎপরতা প্রতিরোধ, গুণগতমানসম্পন্ন পার্লামেন্ট এবং দক্ষ আইনপ্রণেতা তৈরি ও প্রতিটি ভোটের সঠিক মূল্যায়নের জন্য পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন প্রয়োজন। বাংলাদেশের অধিকাংশ রাজনৈতিক দল, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, লেখক, গবেষক, শিক্ষাবিদ এবং নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচনের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছেন।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন/সাইফ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • সংবিধান সংস্কারে জগাখিচুড়ির গণভোট
  • ৫ দাবিতে ৮ দলের নতুন কর্মসূচি
  • ৫ দাবিতে ৮ দলের নতুন কর্মসূচি, বৃহস্পতিবার স্মারকলিপি 
  • ইতিবাচক মনে করছে এনসিপি
  • প্রতীক নিয়ে নির্বাচনের বিধান আগের মতোই থাকা উচিত: সালাহউদ্দিন আহমদ