পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তি-বিনিয়োগ সম্ভাবনা নিয়ে ডিএসই-বিসিএমইএর বৈঠক
Published: 30th, October 2025 GMT
পুঁজিবাজার উন্নয়নের ধারাবাহিক উদ্যোগের অংশ হিসেবে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সঙ্গে বৈঠক করেছে বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশন (বিসিএমইএ)।
বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিসিএমইএ’র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. মামুনুর রশিদের নেতৃত্বে ১৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ডিএসই’র ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ সময় তারা পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্তির কাঠামো, প্রক্রিয়া এবং সম্ভাব্য সুবিধা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
ডিএসই থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
বৈঠকে ডিএসইর প্রধান পরিচালনা কর্মকর্তা ও ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আসাদুর রহমান বলেন, “ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) বর্তমানে একটি গুরুত্বপূর্ণ রূপান্তর যাত্রায় রয়েছে—যেখানে প্রতিষ্ঠানটি শুধু একটি নিয়ন্ত্রক সংস্থা নয়, বরং একটি আধুনিক, সেবা ও কাস্টমার-সেন্ট্রিক প্রতিষ্ঠান হিসেবে আত্মপ্রকাশ করছে।”
তিনি বলেন, “প্রাইমারি মার্কেট তথা আইপিও প্রক্রিয়ায় ডিএসই বৃহত্তর ডিজিটাল রূপান্তর আনছে। অতীতে যেখানে একটি আইপিও সম্পন্ন হতে দুই থেকে চার বছর সময় লাগত, এখন সেটি ছয় মাসের মধ্যে শেষ করার লক্ষ্য নেওয়া হয়েছে। শিগগিরই নতুন আইপিও রুলস অনুমোদন পেতে যাচ্ছে, যা এক্সচেঞ্জকে আরো ক্ষমতায়ন করবে এবং পুরো প্রক্রিয়াটি অনলাইনে সম্পন্ন করা সম্ভব হবে।”
একটি সেন্ট্রাল ডিজিটাল সাবমিশন সিস্টেম চালুর কথা জানিয়ে আসাদুর রহমান বলেন, “ডিএসই একটি সেন্ট্রাল ডিজিটাল সাবমিশন সিস্টেম চালুর উদ্যোগ নিয়েছে, যার মাধ্যমে তালিকাভুক্ত কোম্পানিগুলো তাদের পিএসআই, শেয়ারহোল্ডিং ও ম্যানেজমেন্ট পরিবর্তনসহ সকল তথ্য এক জায়গায় জমা দিতে পারবে। দীর্ঘদিন নতুন কোম্পানি লিস্টিংয়ের ঘাটতির কারণে বাজারের সরবরাহ প্রক্রিয়া দুর্বল হয়ে পড়েছিল। এ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠতে গুণগতমান সম্পন্ন নতুন কোম্পানি আনার উদ্যোগ গ্রহণ করেছে ডিএসই।”
পরে ডিএসই’র উপ-মহাব্যবস্থাপক সাঈদ মাহমুদ জুবায়ের এক প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে বাংলাদেশের পুঁজিবাজারের কাঠামোগত ওভারভিউ, ডিএসই’র প্রোডাক্ট সমূহ, ট্রেডিং প্ল্যাটফর্ম বাংলাদেশের পুঁজিবাজার থেকে তহবিল সংগ্রহের প্রক্রিয়া, এটিবি ও অন্যান্য প্লাটফর্মে মালিকানা হস্তান্তরের তুলনা, তালিকাভুক্তির প্রক্রিয়া, বিভিন্ন ধরণের ইনভেস্টমেন্ট অপশন, তালিকাভুক্তির সুবিধা এবং পণ্যের বৈচিত্র্যকরণের জন্য চলমান উদ্যোগ সম্পর্কে আলোকপাত করেন।
বাংলাদেশ সিরামিক ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যান্ড এক্সপোর্টার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিসিএমইএ) সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো.
তিনি ডিএসই’র এই উদ্যোগকে সময়োপযোগী ও ইতিবাচক বলে অভিহিত করে বলেন, “ব্যবসায়িক সম্প্রদায়ের সঙ্গে সরাসরি আলোচনায় বসে লিস্টিং প্রক্রিয়া, টাইমলাইন ও চ্যালেঞ্জ নিয়ে মতবিনিময় করা একটি প্রশংসনীয় পদক্ষেপ, যা বাজারের প্রতি আস্থা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভূমিকা রাখবে।”
মামুনুর রশিদ বলেন, “বাংলাদেশের অর্থনীতি বিগত পাঁচ দশকে ব্যাপক প্রবৃদ্ধি অর্জন করলেও ইকুইটি ফাইন্যান্সিং এখনো খুবই সীমিত। বর্তমানে শিল্প বিনিয়োগের প্রায় ৯৮ শতাংশই ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে হয়, যা টেকসই পুঁজিবাজার গঠনে একটি বড় বাধা।”
এসময় তিনি আইপিও প্রক্রিয়া সহজীকরণ, লিস্টিংয়ের নিয়ম ও কাগজপত্রের চেকলিস্ট সংক্ষিপ্ত করা এবং কর ও ডিভিডেন্ড সংক্রান্ত নীতিমালা আরো বিনিয়োগবান্ধব করার উদ্যোগ নেওয়ার পরামর্শ দেন।
বৈঠকে বক্তারা কর্পোরেট গভর্নেন্স চর্চা জোরদার, কমপ্লায়েন্স কস্ট হ্রাস, ইস্যু ম্যানেজারদের কার্যক্রমে স্বচ্ছতা বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক বিনিয়োগকারীদের আকৃষ্ট করতে বিদেশে রোডশো আয়োজনের পরামর্শ দেন।
তাদের মতে, এসব পদক্ষেপ বাস্তবায়িত হলে পুঁজিবাজারে মানসম্মত কোম্পানির লিস্টিং বাড়বে, বাজারে আস্থা পুনঃস্থাপিত হবে এবং দেশের সামগ্রিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি আরও ত্বরান্বিত হবে।
বৈঠকে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা এবং বিভিন্ন সিরামিক কোম্পানির সিএফও এবং কোম্পানি সেক্রেটারিরা উপস্থিত ছিলেন।
ঢাকা/এনটি/ইভা
উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প রক র য় ব যবস থ ড এসই র উদ য গ আইপ ও
এছাড়াও পড়ুন:
অভিজ্ঞদের নিয়ে দুই প্যানেল, সরে যাচ্ছেন অন্যরা
আগামী শনিবার অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে দ্য চিটাগং চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (সিসিসিআই) নির্বাচন। দীর্ঘ এক যুগ পর এই চট্টগ্রাম চেম্বারের সরাসরি ভোট হচ্ছে। সর্বশেষ এই চেম্বারে ভোট হয়েছিল ২০১৩ সালে। এরপর সব কমিটি গঠিত হয় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায়। চট্টগ্রাম চেম্বারের ভোট গ্রহণ আগামী ১ নভেম্বর। এর আগেই আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে চেম্বারের নির্বাচন। স্পষ্ট হয়ে উঠেছে ব্যবসায়ীদের দুই পক্ষে বিরোধ।
এ বছর নির্বাচনে ইতিমধ্যে দুটি প্যানেল ঘোষণা করেছে ব্যবসায়ীদের দুটি পক্ষ। সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদের নেতৃত্বে আছেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি এস এম নুরুল হক। অন্যদিকে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের নেতৃত্ব দিচ্ছেন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক আমিরুল হক। তাঁরা দুজনই এর আগে চট্টগ্রাম চেম্বারে নেতৃত্ব দিয়েছেন।
চট্টগ্রাম চেম্বারে ব্যবসায়ীদের ভোটে ১২ জন সাধারণ শ্রেণিতে, ৬ জন সহযোগী শ্রেণিতে এবং ৩ জন করে টাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণি থেকে পরিচালক নির্বাচিত হয়ে থাকেন। তবে অকার্যকর সংগঠনকে সদস্য করা হয়েছে—এ অভিযোগ করে এই ছয় পদে প্রার্থী দেয়নি সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামের ৬ প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পরিচালক নির্বাচিত হওয়ার পথে আছেন।
দুই শ্রেণির আটটি সংগঠনকে নির্বাচনের সুযোগ দেওয়ায় এফবিসিসিআইয়ের বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তি ট্রাইব্যুনালে অভিযোগ করেন চট্টগ্রাম গার্মেন্টস অ্যাকসেসরিজ গ্রুপের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বেলাল। আদালতেও এ বিষয়ে রিট করেন তিনি। তবে পাল্টা রিট করেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। বিষয়টি এখনো আদালতে। তবে এসবের বাইরে চলছে দুই প্যানেলের প্রচারণা।
অভিজ্ঞদের বিজনেস ফোরামচেম্বারের ২৪ পদে প্রার্থী দিয়েছে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরাম। এই চেম্বারের মূল শক্তি—এই প্যানেলের অধিকাংশ বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনে নেতৃত্ব দিয়েছেন। পোশাক, পেট্রো-কেমিক্যাল, লজিস্টিকস, মেরিন, ট্রেডিং—সব খাতের ব্যবসায়ী নিয়ে সাজানো হয়েছে এই প্যানেল। এই প্যানেলের উপদেষ্টা হিসেবে আছেন চেম্বারের সাবেক সভাপতি আমির হুমায়ুন মাহমুদ চৌধুরী ও সাবেক জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি এম এ সালাম।
এই প্যানেলের নেতৃত্বে আছেন সিকম গ্রুপ ও প্রিমিয়ার সিমেন্ট মিলসের প্রতিষ্ঠাতা ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক। দেশের পেট্রো-কেমিক্যাল, শিপিং, রিয়েল এস্টেটসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ খাতে ব্যবসা রয়েছে তাঁর। তিনি চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক পরিচালক এবং ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআইয়ের সাবেক পরিচালক।
এই প্যানেলে পোশাক খাতের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছেন বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সহসভাপতি নাসির উদ্দিন চৌধুরী ও ব্যবসায়ী আবু হায়দার চৌধুরী। শিপিং ও মেরিন খাত থেকে নির্বাচন করছেন মো. গোলাম সরওয়ার, মোহাম্মদ আলাউদ্দিন আল আজাদ ও মোহাম্মদ মশিউল আলম। তালিকায় আছেন বাংলাদেশ শিপ ব্রেকার্স অ্যান্ড রিসাইক্লার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) আমজাদ হোসাইন চৌধুরী।
ব্যবসায়ী নেতাদের মধ্যে আছেন রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানি এবং পরিবেশকদের জাতীয় সংগঠন বারবিডার সাবেক মহাসচিব মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান। ট্রেডিং, লজিস্টিকস ও অন্যান্য খাত থেকে আছেন কামাল মোস্তফা চৌধুরী, আমান উল্লা আল ছগির, মোহাম্মদ শফিউল আলম, এ এস এম ইসমাইল খান, আসাদ ইফতেখার, মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী, শহিদুল আলম, সরোয়ার আলম খান, মো. জাহিদুল হাসান, মো. নুরুল ইসলাম ও মো. সেলিম নুর।
মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা চাই যাঁরা প্রকৃতপক্ষে ব্যবসায়ী, তাঁরা যেন চেম্বারের নেতৃত্বে আসেন। সুষ্ঠু ভোট হোক, ভোটের মধ্য দিয়ে নেতৃত্ব নির্বাচিত হোক, এটাই কাম্য।’
তরুণ-প্রবীণদের সম্মিলিত পরিষদটাউন অ্যাসোসিয়েশন ও ট্রেড গ্রুপ শ্রেণি দুটিকে বাদ রেখে ১৮ পদে নির্বাচন করছে সম্মিলিত ব্যবসায়ী পরিষদ। পোশাক, তৃণমূল ব্যবসায়ী, গণমাধ্যমে বিনিয়োগকারী, উদ্যোক্তা—সব খাত মিলিয়েই চেম্বারে প্রতিনিধিত্ব দিতে চায় এই প্যানেল। তাঁদের ভাষ্য, সব খাতের ব্যবসায়ীরা চেম্বারে থাকলে চট্টগ্রামের সামগ্রিক ব্যবসায় প্রসার সম্ভব। এ কারণে তরুণ-প্রবীণ মিলিয়েই প্যানেল সাজানো হয়েছে।
এই প্যানেলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন চট্টগ্রাম চেম্বারের সাবেক সহসভাপতি এস এম নুরুল হক। তিনি মোসমার্ক গ্রুপের কর্ণধার। বিজিএমইএর সাবেক প্রথম সভাপতিও ছিলেন তিনি। একসময় তিনি অগ্রণী ব্যাংকের পরিচালকও ছিলেন। পোশাকশিল্প ও ট্রেডিং ব্যবসার সঙ্গেও জড়িত তিনি।
এই প্যানেলে পোশাক খাত–সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী আছেন বিজিএমইএর সাবেক পরিচালক মোহাম্মদ মুছা, মো. আবচার হোসেন ও বিজিএপিএমইএর সদস্য মো. আরিফ হাসান। তৃণমূল ব্যবসায়ীদের নেতা হিসেবে আছেন কাজী ইমরান এফ রহমান, এস এম কামাল উদ্দিন, আহমদ রশিদ আমু, মো. কামরুল হুদা ও মোস্তাক আহমদ চৌধুরী।
স্বাস্থ্যসেবা সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীদের মধ্যে আছেন এ টি এম রেজাউল করিম, মো. হুমায়ুন কবির পাটোয়ারী, মোহাম্মদ আজিজুল হক, মোহাম্মদ রাশেদ আলী ও জসিম উদ্দিন চৌধুরী। এ টি এম রেজাউল করিম চট্টগ্রাম বেসরকারি হাসপাতাল মালিক সমিতির সহসভাপতি। আজিজুল হকে পরিবহন খাতে চারটি সংগঠনের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। অন্যদিকে জসিম উদ্দিন চৌধুরী দৈনিক পূর্বকোণের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক।
এই প্যানেল থেকে নির্বাচন করছেন ব্যবসায়ী ও নগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহমেদ-উল আলম চৌধুরী এবং নগর বিএনপির আহ্বায়ক এরশাদ উল্লাহর ছেলে ইমাদ এরশাদ। এ ছাড়া আছেন কাস্টমস এজেন্ট এবং লিফট ও বৈদ্যুতিক সরঞ্জাম আমদানিকারক মোহাম্মদ রফিকুল ইসলাম এবং সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার অ্যান্ড কমার্স ব্যাংক লিমিটেডের পরিচালক মোহাম্মদ আইয়ুব।
সরে যাচ্ছেন প্রার্থীরাএদিকে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামকে সমর্থন জানিয়ে নির্বাচনের তিন দিন আগেই পত্রিকায় বিজ্ঞাপন দিয়ে নির্বাচন থেকে সরে গেছেন তিনজন। তাঁরা হলেন ওয়াইএনটি লিমিটেডের তাওসিফ ইমরোজ, আহমের ইন্টারন্যাশনালের মো. পারভেজ ইকবাল শরীফ এবং মেরিডিয়ান গ্রুপের সৈয়দ মোস্তফা কামাল পাশা। এর আগে একইভাবে সরে গেছেন রাকিবুল আলম চৌধুরী ও সারতাজ মোহাম্মদ ইমরান; যদিও তাঁরা কোনো প্যানেলকে সমর্থনের কথা জানাননি।
এর বাইরে নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে আছেন মো. ছালামত আলী, জাবেদ সিদ্দিক, মাসুদ আহমেদ, মো. আবদুল কাদের, মো. আবু হেনা ফারুকী, মো. দেলওয়ার হোসেন, মো. জামাল উদ্দিন, মো. নাজমুল হুদা, রিয়াজ ওয়াজ ও মোহাম্মদ ফওজুল আলিফ খান; যদিও তাঁদের কেউ কেউ নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াবেন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন।
এদিকে ইউনাইটেড বিজনেস ফোরামকে সমর্থন করে বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি চট্টগ্রাম নগরের সভাপতি মো. ছালামত আলী নির্বাচন করবেন না বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘আমি মৌখিকভাবে ঘোষণা দিয়েছি আমি নির্বাচন করব না। বিভিন্ন সভায়ও জানিয়েছি বিষয়টি।’
জানতে চাইলে নির্বাচন বোর্ডের সদস্য আহমেদ হাছান বলেন, ‘চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকায় যাঁদের নাম আছে, ব্যালটেও তাঁদের নাম থাকবে। আচরণবিধি প্রকাশ হয়েছে, এখনো কোনো অভিযোগ পাইনি।’