দেশের প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) সদস্যভুক্ত দুইটি ব্রোকারেজ হাউজের ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট (ট্রেক) বা নিবন্ধন সনদ বাতিল করেছে। ব্রোকারেজ হাউজ দুটি হলো- আল হারামাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেড ও মাহিদ সিকিউরিটিজ লিমিটেড।

বৃহস্পতিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) ডিএসইর ওয়েবসাইটে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়েছে।

ডিএসই জানিয়েছে, বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর ৭(৩) বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ধারা লঙ্ঘনের কারণে ডিএসই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ডিএসইর এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আল হারামাইন সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নামে ইস্যুকৃত ট্রেক নম্বর- ২৬৩ বাতিল করা হয়েছে বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (ট্রেডিং রাইট এনটাইটেলমেন্ট সার্টিফিকেট) বিধিমালা, ২০২০ এর ৩ (২) (গ) বিধি লঙ্ঘনের কারণে। বিধি অনুযায়ী, একটি ব্রোকারেজ হাউসকে ট্রেক লাইসেন্স পেতে হলে কমপক্ষে ৫ কোটি টাকা পরিশোধিত মূলধন থাকতে হবে। কোনো অবস্থাতেই প্রতিষ্ঠানটির ইকুইটি মূলধন প্রাথমিক পরিশোধিত মূলধনের ৭৫ শতাংশের নিচে নামতে পারবে না।

এদিকে, মাহিদ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের নামে ইস্যুকৃত ট্রেক- নম্বর ২৭৩ বাতিল করা হয়েছে আলোচ্য বিধিমালার ৭(১) বিধি ভঙ্গের কারণে। ব্রোকারেজ হাউজটি এখন পর্যন্ত কোনো ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু করতে পারেনি এবং বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি) থেকে প্রয়োজনীয় স্টক–ডিলার ও স্টক–ব্রোকার নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বিধিমালা অনুযায়ী, কোনো ব্রোকারেজ হাউস TREC লাইসেন্স পাওয়ার এক বছরের মধ্যে স্টক–ব্রোকার নিবন্ধন সনদ সংগ্রহ করতে হবে এবং সনদ প্রাপ্তির ছয় মাসের মধ্যে ট্রেডিং কার্যক্রম শুরু করতে হবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো জানানো হয়, আল হারামাইন সিকিউরিটিজের বিনিয়োগকারী ও ক্লায়েন্টদের তাদের নিজ নিজ হিসাব পর্যালোচনা করে অসম্পন্ন নিষ্পত্তি সম্পন্ন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। কারও যদি তহবিল বা সিকিউরিটিজ নিষ্পত্তি সংক্রান্ত অভিযোগ থাকে, তাহলে তিনি লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দিতে পারবেন ১৩ নভেম্বর ২০২৫–এর মধ্যে। একই তারিখের মধ্যে মাহিদ সিকিউরিটিজ লিমিটেডের বিরুদ্ধেও যেকোনো দাবি বা অভিযোগ জমা দেওয়া যাবে।

লিখিত অভিযোগ ও প্রমাণপত্র পাঠাতে হবে নিচের ঠিকানায়: চিফ রেগুলেটরি অফিসার, ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ পিএলসি, ডিএসই টাওয়ার, লেভেল–০৩, প্লট নং–৪৬, রোড নং–২১, নিকুঞ্জ–২, ঢাকা–১২২৯।

ডিএসই সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি বাজারের সুশাসন ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে এক্সচেঞ্জ কর্তৃপক্ষ ট্রকহোল্ডারদের কার্যক্রম পর্যালোচনা জোরদার করেছে। যে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ম মেনে ট্রেডিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে না বা আর্থিক সুরক্ষা সংক্রান্ত নিয়ম লঙ্ঘন করছে, তাদের বিরুদ্ধে পর্যায়ক্রমে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাজার সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এই ধরনের সিদ্ধান্ত বাজারে বিনিয়োগকারীর আস্থা বাড়াতে সহায়ক হবে, কারণ এটি প্রমাণ করে—বিধি লঙ্ঘনের ঘটনায় নিয়ন্ত্রক সংস্থা ও এক্সচেঞ্জ এখন আরো সক্রিয়।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর স ক উর ট জ ল ম ট ড ম হ দ স ক উর ট জ ড এসই

এছাড়াও পড়ুন:

বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে

ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে (৭ থেকে ১১ ডিসেম্বর) সূচকের উত্থানের মধ্যে দিয়ে লেনদেন শেষ হয়েছে। এ সময়ে ডিএসই ও সিএসইতে লেদেনের পরিমান বেড়েছে। তবে বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে বাজার মূলধন বাড়লেও সিএসইতে কমেছে।

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএসইর সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

তথ্য মতে, সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স ৭৭.২৬ পয়েন্ট বা ১.৫৮ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৪ হাজার ৯৬৩ পয়েন্টে। অপর সূচকগুলোর মধ্যে ডিএসই-৩০ সূচক ১১.৬৬ পয়েন্ট বা ০.৬২ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৯০৩ পয়েন্টে, ডিএসই শরিয়াহ সূচক ৯.৬৯ পয়েন্ট বা ০.৯৫ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৪ পয়েন্টে এবং ডিএসএমইএক্স সূচক (এসএমই ইনডেক্স) ৫৫.০১ পয়েন্ট বা ৬.৬৪ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৮৩.৮ পয়েন্টে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৮৬ হাজার ৩৬৮ কোটি ২২ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ডিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৮৪ হাজার ৭৬২ কোটি ২ লাখ কোটি টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন বেড়েছে ১ হাজার ৬০৬ কোটি ১৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ২ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ২ হাজার ৫৭ কোটি ৩০ লাখ টাকার। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে ডিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ৩০ কোটি ৬৯ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে ডিএসইতে মোট ৩৯১টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিটের লেনদেন হয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ৩৩৩টির, দর কমেছে ৩৬টির ও দর অপরিবর্তিত রয়েছে ২২টির। তবে লেনদেন হয়নি ২২টির।

অপর পুঁজিবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইর সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ১২৪.৫৫ পয়েন্ট বা ০.৯০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১৩ হাজার ৮৭১ পয়েন্টে। সিএসইর অপর সূচকগুলোর মধ্যে সিএসই-৩০ সূচক ১.০৭ শতাংশ বেড়ে ১২ হাজার৩০৭ পয়েন্টে, সিএসসিএক্স সূচক ০.৯১ শতাংশ কমে ৮ হাজার ৫৫১ পয়েন্টে, সিএসআই সূচক ১.২৩ শতাংশ বেড়ে ৮৭৫ পয়েন্টে এবং এসইএসএমইএক্স (এসএমই ইনডেক্স) ০.১৭ শতাংশ কমে ১ হাজার ৬২৭ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।

বিদায়ী সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৬ লাখ ৯২ হাজার ৬০৭ কোটি ২৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে সিএসইর বাজার মূলধন ছিল ৬ লাখ ৯৫ হাজার ৫২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা। টাকায়। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে বাজার মূলধন কমেছে ২ হাজার ৯১৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে লেনদেন হয়েছে ৬৮ কোটি ৭৬ লাখ টাকা। আর বিদায়ী সপ্তাহের আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৫৭ কোটি ৭৩ লাখ টাকা। অর্থাৎ সপ্তাহের ব্যবধানে সিএসইতে লেনদেন বেড়েছে ১১ কোটি ৩ লাখ টাকা।

বিদায়ী সপ্তাহে সিএসইতে মোট ২৮৪টি কোম্পানির শেয়ার ও ইউনিট লেনদেনে অংশ নিয়েছে। কোম্পানিগুলোর মধ্যে দর বেড়েছে ১৬২টির, দর কমেছে ৯৩টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৯টির শেয়ার ও ইউনিট দর।

ঢাকা/এনটি/এস

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যুক্তরাষ্ট্র নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার পর বেলারুশের প্রধান বিরোধী নেতার মুক্তি পাওয়ার খবর
  • সিএসইর এজিএমে ৩.৫০ শতাংশ লভ্যাংশ অনুমোদন
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম কমার শীর্ষে মেঘনা পেট্রোলিয়াম
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক দাম বাড়ার শীর্ষে জিল বাংলা সুগার মিলস
  • ডিএসইতে সাপ্তাহিক লেনদেনের শীর্ষে ওরিয়ন ইনফিউশন
  • বিদায়ী সপ্তাহে পুঁজিবাজারে সূচক ও লেনদেন বেড়েছে
  • ডিএসইর পিই রেশিও বেড়েছে ০.৬৮ শতাংশ