হামাস নিরস্ত্র হোক, চান না ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি
Published: 30th, October 2025 GMT
বেশির ভাগ ফিলিস্তিনি গাজায় হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করেছেন। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনায় ইসরায়েল সত্যিই গাজায় যুদ্ধের ইতি টানবে কি না, তা নিয়েও তাঁদের গভীর সংশয় রয়েছে।
এ নিয়ে অধিকৃত পশ্চিম তীর ও গাজাজুড়ে একটি জরিপ চালিয়েছে ফিলিস্তিনি নীতি ও জরিপ গবেষণাকেন্দ্র (পিসিপিএসআর)। তাদের তথ্য অনুযায়ী, জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৭০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাঁরা হামাসের নিরস্ত্রীকরণের ঘোরবিরোধী। হামাস নিরস্ত্র না হলে ইসরায়েল আবার হামলা শুরু করতে পারে, এমন আশঙ্কা থাকার পরও তাঁরা ফিলিস্তিনি স্বাধীনতাকামী সংগঠনটির অস্ত্র ছাড়ার পক্ষে নন।
হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাঁরা চান হামাসের সশস্ত্র শাখা নিজেদের অস্ত্র ধরে রাখুক।২২ থেকে ২৫ অক্টোবর এ জরিপ পরিচালিত হয়। গত মঙ্গলবার জরিপের ফলাফল প্রকাশ করা হয়।
জরিপের প্রতিবেদনে একটি বিষয় বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়। বলা হয়, হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা সবচেয়ে বেশি দেখা গেছে অধিকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে জরিপে অংশ নেওয়া প্রায় ৮০ শতাংশ ফিলিস্তিনি বলেছেন, তাঁরা চান হামাসের সশস্ত্র শাখা (ইজ্জেদিন আল–কাসাম ব্রিগেড) নিজেদের অস্ত্র ধরে রাখুক।
অধিকৃত পশ্চিম তীর ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের (পিএ) অধীন পরিচালিত হয়। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষের মধ্যে সবচেয়ে প্রভাবশালী দল ফাতাহ। মাহমুদ আব্বাসের দল ফাতাহর সঙ্গে হামাসের মতবিরোধ রয়েছে।
আরও পড়ুনগাজায় আবার তীব্র হামলা চালানোর নির্দেশ নেতানিয়াহুর২৮ অক্টোবর ২০২৫অন্যদিকে গাজার ৫৫ শতাংশ ফিলিস্তিনি হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করেছেন।
মোট ১ হাজার ২০০ ফিলিস্তিনি এ জরিপে অংশ নিয়েছেন। তাঁদের মধ্যে ৭৬০ জন অধিকৃত পশ্চিম তীর ও ৪৪০ জন গাজার বাসিন্দা।
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা করেছেন, তা নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে সন্দিহান।মুখোমুখি কথা বলে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে। পরে সমীক্ষার উত্তরগুলো এমন একটি সার্ভারে জমা হয়, যেখানে শুধু পিসিপিএসআর গবেষকদের প্রবেশাধিকার রয়েছে। জরিপটির ত্রুটির সীমা ৩ দশমিক ৫ শতাংশ।
কেন ফিলিস্তিনিরা হামাসের নিরস্ত্রীকরণের বিরোধিতা করছেন, তার উত্তরও জরিপে উঠে এসেছে।
জরিপে অংশগ্রহণকারীরা বলেছেন, গাজা যুদ্ধ অবসানে ট্রাম্প যে শান্তি পরিকল্পনা করেছেন, তা নিয়ে তাঁরা গভীরভাবে সন্দিহান।
আরও পড়ুনগাজা যুদ্ধ শেষ হয়েছে, ইসরায়েলে যাওয়ার আগে ট্রাম্প১৩ অক্টোবর ২০২৫জরিপে দেখা গেছে, ৬২ শতাংশ ফিলিস্তিনি মনে করেন, ট্রাম্প এ যুদ্ধ স্থায়ীভাবে বন্ধ করতে পারবেন না।
ট্রাম্পের পরিকল্পনা নিয়ে সংশয় বেশি অধিকৃত পশ্চিম তীরে। সেখানে ৬৭ শতাংশ উত্তরদাতা এ পরিকল্পনা নিয়ে সন্দিহান, গাজায় ৫৪ শতাংশ ফিলিস্তিনি সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
মুখোমুখি কথা বলে এ জরিপ পরিচালিত হয়েছে। পরে সমীক্ষার উত্তরগুলো এমন একটি সার্ভারে জমা হয়, যেখানে শুধু পিসিপিএসআর গবেষকদের প্রবেশাধিকার রয়েছে।যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় ৯ অক্টোবর মিসরের পর্যটন শহর শারম আল-শেখে গাজায় যুদ্ধবিরতির চুক্তি সই হয়। পরদিন ১০ অক্টোবর থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকর হয়।
আরও পড়ুনট্রাম্পের প্রস্তাব ও হামাসের আংশিক সম্মতি নিয়ে বিশ্বনেতারা কে কী বললেন০৪ অক্টোবর ২০২৫.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: পর চ ল ত হয় সন দ হ কর ছ ন বল ছ ন
এছাড়াও পড়ুন:
কনকনে শীতে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় হাফ ম্যারাথনে ৩৫০ জন
কনকনে শীত নিয়ে এসেছে হিমেল হাওয়া। ঘরের বাইরে বেরোলেই সেই হাওয়া শরীরে কাঁপন ধরায়। এমন আবহাওয়ার মধ্যে আজ শনিবার ভোরে ব্রাহ্মণবাড়িয়া শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতু এলাকায় জড়ো হন বিভিন্ন জেলার ৩৫০ দৌড়বিদ। সেখানে তরুণ-তরুণীদের সঙ্গে ছিলেন বয়োজ্যেষ্ঠ ও শিশুরাও। তবে উচ্ছ্বাস প্রকাশে যেন কেউ কারও থেকে কম নয়। হাফ ম্যারাথনে অংশ নিতেই তাঁদের এই জমায়েত।
আজ সকালে এই হাফ ম্যারাথনের আয়োজন করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া রানার্স কমিউনিটি (বিআরসি)। আয়োজকেরা জানান, চার পর্যায়ের দূরত্বে এই হাফ ম্যারাথন দৌড় হয়। এর মধ্যে ছিল ২ কিলোমিটার, ৫ কিলোমিটার, ১০ কিলোমিটার ও ২১ কিলোমিটার।
আয়োজক, অংশগ্রহণকারী ও স্থানীয় একাধিক বাসিন্দার সূত্রে জানা গেছে, সূর্য ওঠার আগেই ভোর পাঁচটা থেকে সাড়ে পাঁচটার মধ্যে দৌড়বিদেরা জেলা শহরের তিতাস নদীর প্রথম সেতুর ওপর জড়ো হতে শুরু করেন। সকাল ৬টায় প্রথমে ২১ কিলোমিটার ক্যাটাগরিতে অংশগ্রহণকারীরা সেখান থেকে গন্তব্যের উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। এরপর পর্যায়ক্রমে ৫ ও ১০ কিলোমিটারের দৌড়বিদেরা রওনা দেন। সর্বশেষ সকাল ৭টায় শিশুদের দুই কিলোমিটারের দৌড় শুরু হয়।
২১ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নেন ৬৫ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী একজন। ১০ কিলোমিটারে অংশগ্রহণ করেন ১৬৮ জন। এর মধ্যে পুরুষ ১৬৬ জন ও নারী দুজন। ৫ কিলোমিটারে অংশ নেন ৭৪ জন। এর মধ্যে পুরুষ ৬৪ জন ও নারী ১০ জন। ২ কিলোমিটার দৌড়ে ৪৩ জন শিশু অংশ নেয়।
দৌড় প্রতিযোগিতায় বিভিন্ন বয়সী দৌড়বিদের পাশাপাশি ভারত, জাপান, নেপাল ও ডেনমার্কের চারজন অংশ নেন। জেলা শহরের তিতাস নদীর ওপর নির্মিত ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর ও বিজয়নগর উপজেলার সংযোগ সড়ক কালীবাড়ি মোড় থেকে বিজয়নগরের নূরপুর জিসি সড়ক (সিমনা-ব্রাহ্মণবাড়িয়া) পথে দৌড়বিদেরা ছড়িয়ে পড়েন। নির্দেশিত পথ ধরে প্রত্যেকে নিজের নির্ধারিত দূরত্ব অনুযায়ী দৌড় সম্পন্ন করেন।
অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়া ন্যাশনাল হার্ট ফাউন্ডেশন হাসপাতালের হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক মুহাম্মদ আবদুল মতিন বলেন, ‘১০ কিলোমিটার দৌড়ে অংশ নিয়েছি। ভালো লাগছে। হৃদ্রোগ প্রতিরোধে নিয়মিত হাঁটা ও দৌড়ের বিকল্প নেই।’
দৌড় শেষের ফিনিশিং লাইনে পৌঁছান এক দৌড়বিদ