ট্রাম্পের নির্দেশে ৩০ বছর পর মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা
Published: 30th, October 2025 GMT
প্রায় ৩০ বছর ধরে স্থগিত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা। পুনরায় তা শুরু করার জন্য মার্কিন প্রতিরক্ষা দপ্তরকে (পেন্টাগন) নির্দেশ দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি।
আরো পড়ুন:
কিয়েভে রাশিয়ার হামলায় নিহত ৩, আহত ৩১
পারমাণবিক শক্তিচালিত নতুন ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে রাশিয়া
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে বৈঠকের আগে ট্রাম্প বলেন, তিনি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন, যুক্তরাষ্ট্র যেন অন্যান্য পারমাণবিক শক্তিধর দেশের মতো 'সমানভাবে' পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করে।
ট্রুথ সোশালে ট্রাম্প লিখেছেন, “অন্যান্য দেশের পরীক্ষামূলক কার্যক্রমের কারণে আমি যুদ্ধ দপ্তরকে (ডিপার্টমেন্ট অব ওয়ার) নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা আমাদের পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা শুরু করে। এই প্রক্রিয়া অবিলম্বে শুরু হবে।”
ট্রাম্প উল্লেখ করেছেন, “অন্য যেকোনো দেশের তুলনায় যুক্তরাষ্ট্রের কাছে বেশি পারমাণবিক অস্ত্র আছে। রাশিয়া দ্বিতীয় স্থানে আছে, আর চীন অনেক পিছিয়ে তৃতীয় স্থানে। তবে আগামী পাঁচ বছরের মধ্যেই তারা সমান হয়ে যাবে।”
ট্রাম্প রাশিয়ার একটি পারমাণবিক চালিত ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষার সমালোচনার করার মাত্র কয়েকদিন পরই এই নির্দেশ দিলেন।
চলতি সপ্তাহের শুরুতে ‘বুরেভেস্তনিক’ নামের একটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা সম্পন্ন করেছে রাশিয়া। রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন দাবি করেন, ‘বুরেভেস্টনিক’ এমন এক ক্ষেপণাস্ত্র যার সমকক্ষ কেউ নেই। প্রায় সীমাহীন পাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র। এটি যেকোনো ক্ষেপণাস্ত্র-বিরোধী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থাকে পরাজিত করতে পারে।
ট্রাম্প রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরো কঠোর অবস্থান নেওয়ার পর, পুতিন প্রকাশ্যে তার পারমাণবিক ক্ষমতা প্রদর্শন করেন।
মার্কিন পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষাগুলো কীভাবে করা হবে, তা বিস্তারিত উল্লেখ করেননি ট্রাম্প। তবে ‘প্রক্রিয়াটি অবিলম্বে শুরু হবে’ বলে লিখেছেন।
ট্রাম্পের এই নির্দেশ মার্কিন নীতির স্পষ্ট বিপরীত। যুক্তরাষ্ট্র সর্বশেষ ১৯৯২ সালে পারমাণবিক অস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছিল। সাবেক রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট জর্জ এইচডব্লিউ বুশ রাশিয়ার সঙ্গে শীতল যুদ্ধের অবসানের সাথে সাথে স্থগিতাদেশ জারি করেছিলেন।
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্র শেষবার পারমাণবিক বোমা পরীক্ষা করেছিল ১৯৯২ সালের ২৩ সেপ্টেম্বর। পশ্চিমাঞ্চলীয় রাজ্য নেভাদার একটি ভূগর্ভস্থ স্থাপনায় পরীক্ষাটি করা হয়েছিল।
লস অ্যালামোস ন্যাশনাল ল্যাবরেটরির মতে, ডিভাইডার নামে এই প্রকল্পটি ছিল যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত ১,০৫৪তম পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা, যা বিশ্বের প্রথম পারমাণবিক বোমা তৈরিতে কেন্দ্রীয় ভূমিকা পালন করেছিল।
গবেষণা সংস্থাগুলোর তথ্যানুসারে, বর্তমানে বিশ্বের মোট পারমাণবিক অস্ত্রের প্রায় ৮৭ শতাংশই যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার দখলে। এর মধ্যে রাশিয়ার হাতে রয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার, আর যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে পাঁচ হাজার একশটির মতো পারমাণবিক ওয়ারহেড।
ঢাকা/ফিরোজ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর য ক তর ষ ট র স ত র র পর ক ষ য ক তর ষ ট র র স ত র পর ক ষ
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’
‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।
রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী