অবৈধ মুঠোফোন বন্ধ হবে ১৬ ডিসেম্বর থেকে, কীভাবে জানবেন বৈধ কি না
Published: 30th, October 2025 GMT
দেশে আগামী ১৬ ডিসেম্বর থেকে বন্ধ হবে অবৈধ মুঠোফোন। এ লক্ষ্যে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) নামের একটি ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) জানিয়েছে, নতুন এ ব্যবস্থায় শুধু অনুমোদিত, মানসম্মত ও বৈধভাবে আমদানি করা মুঠোফোন সংযুক্ত হতে পারবে। অবৈধ বা ক্লোন আইএমইআই (মুঠোফোন শনাক্তকরণ নম্বর) মুঠোফোন নেটওয়ার্কে সংযুক্ত হতে পারবে না।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে বিটিআরসি কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, বাংলাদেশ ব্যাংকের ২০২৪ সালের প্রতিবেদন অনুযায়ী, দেশের ৭৩ শতাংশ ডিজিটাল জালিয়াতি হয় অবৈধ ডিভাইস ও সিম থেকে। এনইআইআর চালুর মাধ্যমে তা কমিয়ে আনা সম্ভব হবে। অবৈধ মুঠোফোন হ্যান্ডসেটের কারণে প্রতিবছর সরকারের ৫০০ কোটি টাকার রাজস্ব ক্ষতি হয়।
নতুন মুঠোফোন কেনার আগে করণীয়
বিটিআরসি জানিয়েছে, ১৬ ডিসেম্বর থেকে যেকোনো মাধ্যম থেকে (বিক্রয়কেন্দ্র, অনলাইন বিক্রয়কেন্দ্র, ই-কমার্স সাইট ইত্যাদি) মুঠোফোন কেনার আগে অবশ্যই তার বৈধতা যাচাই করতে হবে। পাশাপাশি মুঠোফোন কেনার রশিদ সংরক্ষণ করতে হবে। মুঠোফোন বৈধ হলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে এনইআইআর ব্যবস্থায় নিবন্ধিত হয়ে যাবে।
কীভাবে জানবেন মুঠোফোনটি বৈধ কি না
ধাপ-১: মুঠোফোনের মেসেজ অপশনে গিয়ে KYD ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখুন। উদাহরণস্বরূপ KYD 123456789012345।
ধাপ-২: আইএমইআই নম্বরটি লেখার পর ১৬০০২ নম্বরে পাঠিয়ে দিন।
ধাপ-৩: ফিরতি বার্তার মাধ্যমে মুঠোফোনের বৈধতা সম্পর্কে জানতে পারবেন।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মুঠোফোনের নিবন্ধন
বিদেশ থেকে ব্যক্তিপর্যায়ে বৈধভাবে কেনা বা উপহার পাওয়া মুঠোফোন প্রাথমিকভাবে নেটওয়ার্কে সচল হবে। খুদে বার্তার (এসএমএস) মাধ্যমে পরবর্তী ৩০ দিনের মধ্যে অনলাইনে প্রয়োজনীয় তথ্য দাখিলের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হবে। দাখিল করা তথ্য যাচাই–বাছাইয়ের পর শুধু বৈধ মুঠোফোন নেটওয়ার্কে সচল হবে।
বিদেশ থেকে কেনা বা উপহার পাওয়া মুঠোফোন নিবন্ধনের উপায়
ধাপ-১: neir.
ধাপ-২: পোর্টালের ‘Special Registration’ সেকশনে গিয়ে মুঠোফোনের আইএমইআই নম্বর দিন।
ধাপ-৩: প্রয়োজনীয় ডকুমেন্টের ছবি/স্ক্যান কপি (পাসপোর্টের ভিসা/ইমিগ্রেশন, ক্রয় রশিদ ইত্যাদি) আপলোড করুন। এরপর সাবমিট বাটনে চাপ দিন।
ধাপ-৪: মুঠোফোনটি বৈধ হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। বৈধ না হলে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহককে জানিয়ে নেটওয়ার্ক থেকে বিচ্ছিন্ন করা হবে।
মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবা বা কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও এই সেবা নেওয়া যাবে। যাত্রী (অপর্যটক) ব্যাগেজ (আমদানি) বিধিমালা (ব্যাগেজ রুলস নামে পরিচিত) অনুযায়ী, একজন ব্যক্তি বিদেশ থেকে দেশের নেটওয়ার্কে আগে ব্যবহৃত ব্যক্তিগত একটি বাদে সর্বোচ্চ একটি মুঠোফোন বিনা শুল্কে আনতে পারবেন। আর শুল্ক দিয়ে আরও একটি মুঠোফোন আনতে পারবেন।
বিশেষ নিবন্ধনের জন্য প্রয়োজনীয় নথি
১. পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতার স্ক্যান বা ছবি।
২. পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের দেওয়া আগমনের সিল–সংবলিত পাতার স্ক্যান বা ছবি।
৩. ক্রয় রসিদের স্ক্যান বা ছবি।
৪. কাস্টমস শুল্ক পরিশোধসংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান বা ছবি (একটি মুঠোফোনের বেশি হলে)।
উপহারপ্রাপ্ত মুঠোফোনের ক্ষেত্রে
১. পাসপোর্টে ব্যক্তিগত তথ্যের পাতার স্ক্যান বা ছবি।
২. পাসপোর্টে ইমিগ্রেশনের দেওয়া আগমনের সিল-সংবলিত পাতার স্ক্যান বা ছবি।
৩. কাস্টমস শুল্ক পরিশোধসংক্রান্ত প্রমাণপত্রের স্ক্যান বা ছবি (একটি হ্যান্ডসেটের বেশি হলে)।
৪. ক্রয় রসিদের স্ক্যান বা ছবি।
৫. উপহার প্রদানকারীর প্রত্যয়নপত্র (শুধু উপহার প্রাপ্তির ক্ষেত্রে)।
আরও পড়ুনঅনিবন্ধিত মুঠোফোনের ব্যবহার বন্ধে ১৬ ডিসেম্বর চালু হচ্ছে এনইআইআর১৫ ঘণ্টা আগেএয়ার মেইলে পাওয়া
১. প্রেরকের পাসপোর্টের ব্যক্তিগত তথ্যের পাতা বা জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান বা ছবি (প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)।
২. প্রাপকের জাতীয় পরিচিতির স্ক্যান বা ছবি।
৩। ক্রয় রসিদের স্ক্যান বা ছবি।
৪। শুল্ক প্রদানের রসিদের স্ক্যান বা ছবি (একটি হ্যান্ডসেটের বেশি হলে)।
ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা যাচাইয়ের প্রক্রিয়া
বর্তমানে মোবাইল নেটওয়ার্কে ব্যবহৃত সব হ্যান্ডসেট আগামী ১৬ ডিসেম্বরের মধ্যে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিবন্ধিত হবে। ১৬ ডিসেম্বরের আগে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট আলাদাভাবে নিবন্ধনের প্রয়োজন নেই। ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের বর্তমান অবস্থা নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করে জানা যাবে—
ধাপ-১: হ্যান্ডসেট থেকে *১৬১৬১# নম্বরে ডায়াল করুন।
ধাপ-২: অটোমেটিক বক্স এলে হ্যান্ডসেটের ১৫ ডিজিটের আইএমইআই নম্বর লিখে পাঠিয়ে দিন।
ধাপ-৩: ফিরতি এসএমএসের মাধ্যমে ব্যবহৃত হ্যান্ডসেটের হালনাগাদ অবস্থা জানানো হবে।
তবে neir.btrc.gov.bd পোর্টাল অথবা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের সাহায্যেও উল্লিখিত সেবা গ্রহণ করা যাবে।
আরও পড়ুন১০টির বেশি সিম থাকলে এসএমএস-বিজ্ঞপ্তি দিয়ে বন্ধ হবে ধাপে ধাপে৩০ জুলাই ২০২৫নিবন্ধিত হ্যান্ডসেট ডি-রেজিস্ট্রেশন করার প্রক্রিয়া
১৬ ডিসেম্বর থেকে গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট বিক্রি বা হস্তান্তরের প্রয়োজন হলে ‘ডি-রেজিস্ট্রেশন’ করে তা করা যাবে। ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অবশ্যই জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) শেষের চার ডিজিট দিতে হবে। গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট নিচের মাধ্যমগুলোর সাহায্যে ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে—
(ক) সিটিজেন পোর্টাল (neir.btrc.gov.bd)
(খ) এমএনও পোর্টাল
(গ) মোবাইল অ্যাপস
(ঘ) ইউএসএসডি চ্যানেল (*১৬১৬১#)
ডি-রেজিস্ট্রেশনের শর্ত
(ক) ডি-রেজিস্ট্রেশনের জন্য গ্রাহকের হ্যান্ডসেটে ব্যবহৃত সিম অবশ্যই নিজ এনআইডিতে নিবন্ধিত হতে হবে।
(খ) ক্লোন বা ডুপ্লিকেট আইএমইআই–সংবলিত হ্যান্ডসেটটি ডি-রেজিস্ট্রেশন করার সময় অতিরিক্ত তথ্য হিসেবে পরবর্তী ব্যবহারকারীর সিম নম্বর দিতে হবে।
আরও পড়ুনব্যক্তি পর্যায়ে মুঠোফোন সিমের ব্যবহার আরও কমাচ্ছে সরকার২৪ জুন ২০২৫করপোরেট সিম ব্যবহারকারী গ্রাহকের ক্ষেত্রে ডি-রেজিস্ট্রেশনের প্রক্রিয়া
করপোরেট সিম ব্যবহারকারীদের ৩০ দিনের মধ্যে ইউএসএসডি চ্যানেল বা সিটিজেন পোর্টালের মাধ্যমে ব্যক্তিগত এনআইডির তথ্য দেওয়ার জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হবে।
বর্ণিত তথ্য জমা সাপেক্ষে ব্যক্তিগত এনআইডি বা কি-কন্টাক্ট-পয়েন্টের (কেসিপি) এনআইডি দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন সুবিধা নেওয়া যাবে। অন্যথায় শুধু কি-কন্টাক্ট-পয়েন্টের এনআইডির তথ্য দিয়ে ডি-রেজিস্ট্রেশন করা যাবে।
আরও পড়ুনদেশে সবার জন্য কিস্তিতে মুঠোফোন কেনার সুবিধা নেই০২ এপ্রিল ২০২৫চুরি বা হারালে ব্লক করার প্রক্রিয়া
গ্রাহকের ব্যবহৃত হ্যান্ডসেট চুরি হলে বা হারিয়ে গেলে সিটিজেন পোর্টাল (neir.btrc.gov.bd)/মোবাইল অ্যাপস বা মোবাইল অপারেটরের গ্রাহকসেবাকেন্দ্র থেকে যেকোনো সময়ে লক বা আনলক করা যাবে।
যেসব গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই, তাঁদের এনইআইআর সেবা নেওয়ার প্রক্রিয়া
মুঠোফোন গ্রাহক ইউএসএসডি চ্যানেল বা এনইআইআরের (neir.btrc.gov.bd) সিটিজেন পোর্টাল বা মোবাইল অ্যাপস বা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টারের মাধ্যমে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে এনইআইআর সিস্টেমের সেবা নিতে পারবেন। তবে যেসব গ্রাহকের ইন্টারনেট সংযোগ নেই, তাঁরা ইউএসএসডি চ্যানেল বা ১২১ ডায়াল করে সংশ্লিষ্ট অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকে এনইআইআর সেবা নিতে পারবেন।
হ্যান্ডসেট উৎপাদন বা আমদানির ক্ষেত্রে করণীয়
বর্তমানে কমিশনে নিবন্ধিত উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান দেশের চাহিদার বেশির ভাগ হ্যান্ডসেট উৎপাদন করে। এ ছাড়া কমিশনে নিবন্ধিত ভেন্ডর অল্প কিছু মডেলের (যেগুলো দেশে উৎপাদন সম্ভব নয়) হ্যান্ডসেট আমদানি করে। হ্যান্ডসেট উৎপাদন বা আমদানির জন্য প্রয়োজনীয় শর্ত হলো—
(ক) কমিশনের জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী হ্যান্ডসেট উৎপাদন বা আমদানি করতে হবে।
(খ) উৎপাদন বা আমদানি করা হ্যান্ডসেট বাজারজাতকরণের আগে আইএমইআই নির্দিষ্ট ফরম্যাটে কমিশনে জমা দিতে হবে।
(গ) বাজারজাতকরণের আগে আইএমইআই কমিশনে জমা না দিলে বৈধভাবে উৎপাদন বা আমদানি করা হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে না।
আরও পড়ুনচার মাসে মুঠোফোনের গ্রাহক কমেছে ৬১ লাখ১৭ ডিসেম্বর ২০২৪হ্যান্ডসেট বিক্রেতার ক্ষেত্রে করণীয়
হ্যান্ডসেট বিক্রির ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় শর্ত হলো—
(ক) উৎপাদনকারী বা আমদানিকারক থেকে হ্যান্ডসেটের ডেলিভারি নেওয়ার আগে আইএমইআই যাচাই করতে হবে।
(খ) ভুয়া বা নকল আইএমইআই যুক্ত হ্যান্ডসেট (যেগুলো বিটিআরসির ডেটাবেজে নেই) বিক্রি করা থেকে বিরত থাকতে হবে। কারণ, এই হ্যান্ডসেট নেটওয়ার্কে প্রবেশ করতে পারবে না।
এনইআইআরের যেকোনো বিষয়ে জানার ক্ষেত্রে করণীয়এনইআইআর-সম্পর্কিত কোনো বিষয়ে জানার প্রয়োজন হলে বিটিআরসির হেল্প ডেস্ক নম্বর (১০০) অথবা মোবাইল অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার নম্বরে (১২১) ডায়াল করতে হবে। এ ছাড়া অপারেটরের কাস্টমার কেয়ার সেন্টার থেকেও তথ্য জানা যাবে।
আরও পড়ুনমোবাইল ব্যাংকিংয়ে প্রতারণায় গ্রাহকের ক্ষতি গড়ে ৯,২১৯ টাকা৩০ মার্চ ২০২২আরও পড়ুনদেশেই তৈরি হচ্ছে বিশ্বমানের স্মার্টফোন, বাড়ছে কর্মসংস্থান২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২৫উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: রস দ র স ক য ন ব র প রক র য় ন টওয় র ক ন বন ধ ত বন ধ ত হ গ র হক র উপহ র প র ব যবহ ব ট আরস ব যবহ র প রব ন র জন য আমদ ন
এছাড়াও পড়ুন:
‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’
‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।
সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।
রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।
সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী