৩০০ কোটি টাকায় গুলশানে জমি কিনবে এমটিবি
Published: 30th, October 2025 GMT
নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকায় গুলশানে জমি কিনবে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক বা এমটিবি। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের গতকাল বুধবারের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সভায় এর আগে গুলশানে ৪৫০ কোটি টাকায় একটি ভবনের ১৫ তলা কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে এমটিবি গতকালের পর্ষদ সভায় নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের কথা আজ বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারধারীদের জানিয়েছে।
ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ প্রধান কার্যালয়ের জন্য গুলশানের ২১ তলা এক ভবনের ১৫ তলা কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভবনটির নিচতলা থেকে ১৪ তলা পর্যন্ত মোট ১৫ তলা কিনতে নিবন্ধন ফি ও ভ্যাট ছাড়া আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা। তাতে ভবনটির প্রতিটি ফ্লোর কিনতে ব্যাংকটির খরচ ধরা হয় ৩০ কোটি টাকা। তবে এ সিদ্ধান্ত থেকে এখন সরে এসেছে ব্যাংকটি। ভবনের জায়গা কেনার বদলে এখন জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ব্যাংকটি জানিয়েছে, ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১১৩ নম্বর সড়কের ১১০ নম্বর বাড়ির ১ বিঘা বা ২০ কাঠা জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। তার জন্য প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর জমি কেনার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে ব্যাংকটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে এই জমিতে ব্যাংকটি তাদের নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ করবে।
এদিকে জমি কেনার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি গত বুধবারের সভায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদনও চূড়ান্ত করেছে। তাতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ব্যাংকটি ২০৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের প্রথম নয় মাসেও ব্যাংকটির মুনাফা একই ছিল। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের মধ্যে শেষ তিন মাসে অর্থাৎ জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করেছে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭৯ কোটি টাকা।
মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটির শেয়ারের বাজারমূল্য এখন ১২ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার মুনাফার খবরে লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টাকা ২০ পয়সায়।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: বছর র প রথম নয় ম স
এছাড়াও পড়ুন:
টানা ৬ মাস রাতের খাবার দেরিতে খেলে যা হয়
আমাদের অনেকেই অনেক রাত পরযন্ত জেগে থাকি অথবা সারাদিন কাজ করার পর বাড়ি ফিরি, প্রায়শই রাত ৮টার পরে রাতের খাবার খাই। কিন্তু নিয়মিত রাতের খাবার দেরি করে খাওয়ার ফলে আপনার ঘুমের ব্যাঘাত ঘটার পাশাপাশি আরও অনেক সমস্যা তৈরি হতে পারে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্যের ওপর নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।
দেরি করে খাবার খেলে আপনার শরীর খাবার প্রক্রিয়াকরণের পদ্ধতিতে পরিবর্তন আসতে পারে। ঘুমানোর আগে খাবার খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ, চর্বি জমা এবং সার্কাডিয়ান ছন্দে প্রভাব পড়তে পারে, যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ঘুমের ব্যাঘাত এবং কিছু বিপাকীয় সমস্যার ঝুঁকি বেড়ে যেতে পারে।
আরো পড়ুন:
গিউলিয়া তোফানা: যার বানানো বিষ খেয়ে মরেছে ৬০০ পুরুষ
সকালে মুখ ফুলে যায় যে পাঁচ কারণে
মাসের পর মাস, এই প্রভাবগুলো আরও জটিল হতে পারে, যা আপনার দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্যের ওপর এমনভাবে প্রভাব ফেলতে পারে যে আপনি তাৎক্ষণিকভাবে লক্ষ্য করবেন না।
বেশির ভাগ খাবার চর্বি হিসেবে জমা হয়
ফিটনেস ডায়েটিশিয়ান এবং পুষ্টিবিদ আশলেশা জোশী বলেন, “গভীর রাতে খাবার গ্রহণ করলে আমাদের শরীরের স্বাভাবিক বিপাকীয় ছন্দ ব্যাহত হয়। সূর্যাস্তের পরে, আমাদের হজম ক্ষমতা ধীরে ধীরে কমতে শুরু করে। রক্তে গ্লুকোজ সহনশীলতা হ্রাস পায়। তাই যদি কেউ কয়েক মাস ধরে রাত ৮টার পরে নিয়মিত খায়, তাহলে সেই খাবার থেকে প্রাপ্ত শক্তির বেশির ভাগই পুড়ে যাওয়ার পরিবর্তে চর্বি হিসেবে জমা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।”
সার্কাডিয়ান অ্যালাইনমেন্টকে ঠিক মতো কাজ করতে দেয় না
গভীর রাতে খাবার গ্রহণ করলে ওজন বৃদ্ধি, রক্তে শর্করার বৃদ্ধি, এলডিএল কোলেস্টেরলের মাত্রা বৃদ্ধি এবং এমনকি পেট ফাঁপা এবং অ্যাসিড রিফ্লাক্সের মতো হজমের অস্বস্তি তৈরি হতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এই অভ্যাস চরচা করলে এটি সার্কাডিয়ান অ্যালাইনমেন্টকে ব্যাহত করতে পারে।
অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস তৈরি হয়
রাতের বেলায় দেরিতে খাওয়ার ফলে হরমোনের উপর উল্লেখযোগ্য প্রভাব পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই রাতে ইনসুলিন সংবেদনশীলতা কমে যায়, যার ফলে শরীরের রক্তে শর্করার মাত্রা কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে। লেপটিন, যে হরমোন পেট ভরা থাকার ইঙ্গিত দেয়, তাও কম সাড়া দেয়, যার ফলে অতিরিক্ত খাবার খেতে হতে পারে।
রাতের খাবারে বেশি পরিমাণে প্রোটিন, শাকসবজি এবং ফাইবারযুক্ত খাবার বেছে নেওয়ার পরামরশ দেন চিকিৎসকেরা।
সূত্র: ইন্ডিয়া এক্সপ্রেস
ঢাকা/লিপি