নিজস্ব ভবন নির্মাণের জন্য ৩০০ কোটি টাকায় গুলশানে জমি কিনবে বেসরকারি মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক বা এমটিবি। ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদের গতকাল বুধবারের সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একই সভায় এর আগে গুলশানে ৪৫০ কোটি টাকায় একটি ভবনের ১৫ তলা কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়েছে। শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি হিসেবে এমটিবি গতকালের পর্ষদ সভায় নেওয়া এসব সিদ্ধান্তের কথা আজ বৃহস্পতিবার স্টক এক্সচেঞ্জের মাধ্যমে শেয়ারধারীদের জানিয়েছে।

ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, গত ২ ফেব্রুয়ারি ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ প্রধান কার্যালয়ের জন্য গুলশানের ২১ তলা এক ভবনের ১৫ তলা কিনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। ভবনটির নিচতলা থেকে ১৪ তলা পর্যন্ত মোট ১৫ তলা কিনতে নিবন্ধন ফি ও ভ্যাট ছাড়া আনুমানিক খরচ ধরা হয়েছিল ৪৫০ কোটি টাকা। তাতে ভবনটির প্রতিটি ফ্লোর কিনতে ব্যাংকটির খরচ ধরা হয় ৩০ কোটি টাকা। তবে এ সিদ্ধান্ত থেকে এখন সরে এসেছে ব্যাংকটি। ভবনের জায়গা কেনার বদলে এখন জমি কেনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

ব্যাংকটি জানিয়েছে, ঢাকার গুলশান অ্যাভিনিউয়ের ১১৩ নম্বর সড়কের ১১০ নম্বর বাড়ির ১ বিঘা বা ২০ কাঠা জমি কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ। তার জন্য প্রাথমিকভাবে খরচ ধরা হয়েছে ৩০০ কোটি টাকা। সংশ্লিষ্ট নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদনের পর জমি কেনার এই সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করবে ব্যাংকটি। নিয়ন্ত্রক সংস্থার অনুমোদন পেলে এই জমিতে ব্যাংকটি তাদের নিজস্ব কার্যালয় নির্মাণ করবে।

এদিকে জমি কেনার সিদ্ধান্তের পাশাপাশি গত বুধবারের সভায় ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের আর্থিক প্রতিবেদনও চূড়ান্ত করেছে। তাতে দেখা যায়, চলতি বছরের প্রথম নয় মাসে ব্যাংকটি ২০৯ কোটি টাকা মুনাফা করেছে। গত বছরের প্রথম নয় মাসেও ব্যাংকটির মুনাফা একই ছিল। চলতি বছরের প্রথম নয় মাসের মধ্যে শেষ তিন মাসে অর্থাৎ জুলাই–সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে ব্যাংকটি মুনাফা করেছে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা। গত বছরের একই সময়ে যার পরিমাণ ছিল ৭৯ কোটি টাকা।

মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক ২০০৩ সালে শেয়ারবাজারে তালিকাভুক্ত হয়। এটির শেয়ারের বাজারমূল্য এখন ১২ টাকা। আজ বৃহস্পতিবার মুনাফার খবরে লেনদেনের প্রথম দেড় ঘণ্টায় ব্যাংকটির প্রতিটি শেয়ারের দাম ১০ পয়সা বেড়ে দাঁড়ায় ১২ টাকা ২০ পয়সায়।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বছর র প রথম নয় ম স

এছাড়াও পড়ুন:

‘আমাদের নতুন সংসার, সব স্বপ্ন ভেঙে গেল’

‘আমাদের নতুন সংসার। অনেক স্বপ্ন ছিল। সব স্বপ্ন ভেঙে গেল। এখন স্বামীকেই হারালাম। আমি টাকা চাই না, আপনারা আমার স্বামীকে এনে দেন।’ কান্নাজড়িত কণ্ঠে কথাগুলো বলছিলেন সুদানে জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে হামলায় নিহত বাংলাদেশি শান্তিরক্ষী বাহিনীর লন্ড্রি কর্মচারী মো. সবুজ মিয়ার স্ত্রী নূপুর আক্তার (২২)।

সবুজ মিয়ার বাড়ি গাইবান্ধার পলাশবাড়ী উপজেলায়। তিনি উপজেলার মহদিপুর ইউনিয়নের ছোট ভগবানপুর গ্রামের প্রয়াত হাবিদুল ইসলামের ছেলে। দেড় বছর আগে তিনি বিয়ে করেছিলেন। তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর থেকে ছোট ভগবানপুর গ্রামে মাতম চলছে।

রোববার বিকেলে গাইবান্ধা শহর থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে ছোট ভগবানপুর গ্রামে গিয়ে দেখা যায়, সবুজ মিয়ার বাড়িতে আহাজারি চলছে। কান্নায় ভেঙে পড়েছেন আত্মীয়স্বজনেরা। তাঁদের সান্ত্বনা দিতে আশপাশের লোকজন বাড়িতে ভিড় করছেন। সবুজের স্ত্রী নূপুর বারবার লুটিয়ে পড়ছেন।

সুদানের আবেই এলাকায় জাতিসংঘ শান্তি রক্ষা মিশনের ঘাঁটিতে সন্ত্রাসীদের ড্রোন হামলায় শাহাদাতবরণকারী বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ছয় শান্তিরক্ষী

সম্পর্কিত নিবন্ধ