সৌদি আরব থেকে মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য পাঠানো দুম্বার মাংস ছিনতাই করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। ছিনতাইকারীদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি এখনো।

বুধবার (২৯ অক্টোবর) বিকেলে সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলা পরিষদের মসজিদের পাশে এ ছিনতাই হয়।

স্থানীয়রা জানিয়েছেন, তাড়াশ উপজেলার ৪৪টি মাদ্রাসা ও এতিমখানার জন্য ১৬৪ কার্টন দুম্বার মাংস বরাদ্দ দেওয়া হয়। বুধবার বিকেলে উপজেলা পরিষদ চত্বরে সেই মাংস বিতরণের খবর পেয়ে শত শত মানুষ ভিড় জমান। সেখানে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুসরাত জাহানের উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও দুই দিনের সরকারি প্রশিক্ষণ থাকায় উল্লাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত উপস্থিত হন। তিনি উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) আবু ছাঈদ মল্লিককে সঙ্গে নিয়ে পুলিশি পাহারায় মাংস বিতরণ শুরু করেন। বরাদ্দের তালিকা অনুযায়ী সদর ইউনিয়নের মথুরাপুর মহিলা মাদ্রাসার পক্ষে শিক্ষক সুলতান মাহমুদ এক কার্টন দুম্বার মাংস বুঝে নেন। পরে এ মাংস নিয়ে উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন মসজিদের রাস্তায় গেলে ভিড়ের মধ্যে কয়েকজন মিলে তাকে আটকে মাংসের কার্টন জোরপূর্বক ছিনিয়ে নেন।

শিক্ষক সুলতান মাহমুদ বলেছেন, দুস্থদের হক এভাবে মানুষ ছিনতাই করে নিয়ে যাবে, কখনো ভাবিনি। তবে, আমি কাউকে চিনতে পারিনি। এর বিচার আল্লাহ করবেন।

মাংস বিতরণকালে দায়িত্বে থাকা তাড়াশ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আনোয়ার হোসেন এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেছেন, দুম্বার মাংস বিতরণকালে কোনো প্রকার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেনি। বিতরণের সময় উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা স্যারসহ অনেকে উপস্থিত ছিলেন।

উল্লাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আবু সালেহ্ মোহাম্মদ হাসনাত বলেছেন, ছিনতাইয়ের বিষয়টি আমার জানা নেই। যদি কেউ এ ধরনের কাজ করে থাকে, তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ঢাকা/অদিত্য/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর কর মকর ত ছ নত ই উপজ ল

এছাড়াও পড়ুন:

স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ, পরে নিজেই বিপাকে

সেন্ট মার্টিনে যাওয়ার উদ্দেশে সকালে কক্সবাজারের নুনিয়াছটায় বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাটে হাজির হয় ১১ পর্যটকের একটি দল। তবে ঘাটে পৌঁছানোর আগেই নির্ধারিত জাহাজ ছেড়ে যাওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন দলের সদস্যরা। একপর্যায়ে তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডায় জড়ান জাহাজ কর্তৃপক্ষ ও ঘাটে থাকা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) সঙ্গে। দলের একজন নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দিয়ে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন। এরপর ঘাটে থাকা এক পুলিশ সদস্যকে বলেন ইউএনওকে গ্রেপ্তার করতে। যদিও বিষয়টি নিয়ে পরে বিপাকে পড়তে হয় ওই পর্যটক দলের সদস্যদের। আজ শুক্রবার সকাল সাতটার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত জাহাজমালিকদের সংগঠন সি ক্রুজ ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক হোসাইন ইসলাম বাহাদুর বলেন, বাঁকখালী নদীর জোয়ার–ভাটা একেক সময় একেক রকম। জোয়ার–ভাটা বিবেচনায় নিয়ে জাহাজ ছাড়ার সময় নির্ধারণ করা হয়। ইউএনওর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করা ওই পর্যটক ঘাটে এসে জাহাজ দেখতে না পেয়ে ক্ষিপ্ত হয়েছেন।

হোসাইন ইসলাম বাহাদুর আরও বলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয় দেওয়া ওই ব্যক্তির নাম ইব্রাহিম। তিনি হয়তো ঘাটে থাকা ইউএনওকে চিনতে পারেননি। সাধারণ নারী মনে করে গ্রেপ্তারের ভয় দেখিয়েছেন। পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর তিনি ইউএনওর কাছে দুঃখ প্রকাশ করেছেন। পরে আরেকটি জাহাজে পর্যটকদের ওই দল সেন্ট মার্টিনে যায়।

জানতে চাইলে কক্সবাজার সদরের ইউএনও তানজিলা তাসনিম বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের আগে কেন জাহাজ ছেড়ে গেছে, এ বিষয়টি নিয়ে হট্টগোল শুরু করেন ইব্রাহিম নামের ওই ব্যক্তি। এ সময় নিজেকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা দাবি করে ঘটনাস্থলে থাকা এক পুলিশ সদস্যকে বলেন, আমাকে গ্রেপ্তার করতে। এ ঘটনার ভিডিও সংরক্ষণ করা হয়েছে। ওই ব্যক্তি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হলেও এভাবে কাউকে গ্রেপ্তার করতে বলার এখতিয়ার রাখেন না।’

ইউএনও বলেন, পর্যটকদের অসুবিধার কথা বিবেচনা করে তাৎক্ষণিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। এ বিষয়টি এরই মধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। ওই ব্যক্তির পরিচয় যাচাই করা হচ্ছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নুনিয়াছটায় বিআইডব্লিউটিএর জেটিঘাট থেকে প্রতিদিন সকাল সাতটায় সেন্ট মার্টিনগামী জাহাজ ছাড়ে। কয়েকটি জাহাজে দৈনিক দুই হাজার পর্যটকের সেন্ট মার্টিন ভ্রমণের সুযোগ রাখা হয়। জাহাজে অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন যাতে করা না হয়, সে বিষয়টি তদারকি করে ইউএনওর নেতৃত্বে গঠিত একটি কমিটি।

১ ডিসেম্বর কক্সবাজার–সেন্ট মার্টিন রুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হয়েছে। সেন্ট মার্টিনে রাত্রী যাপনের সুযোগও রাখা হয়। এ ক্ষেত্রে সেন্ট মার্টিনের জীববৈচিত্র্য রক্ষায় পর্যটকদের সরকার ঘোষিত ১২টি নির্দেশনা মেনে চলতে হচ্ছে। আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত দ্বীপটি ভ্রমণের সুযোগ থাকবে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • কক্সবাজারে ইউএনওকে গ্রেপ্তারের হুমকি পর্যটকের
  • স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা পরিচয়ে ইউএনওকে গ্রেপ্তারের নির্দেশ, পরে নিজেই বিপাকে
  • নবাগত সদর ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়