জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে গণভোট আয়োজন ও জুলাই সনদ বাস্তবায়নের দাবিতে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে সমাবেশ করেছে কয়েকটি রাজনৈতিক দল। 

বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) সকাল থেকেই বিভিন্ন দলের নেতাকর্মীরা আলাদা আলাদা মিছিল ও ব্যানার নিয়ে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ইসি ভবনের সামনে আসেন। ধীরে ধীরে তা বিশাল সমাবেশে রূপ নেয়।

সমাবেশ শেষে ইসিতে স্মারকলিপি পেশ করবে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস, নেজামে ইসলাম পার্টি, খেলাফত আন্দোলন, জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টি (জাগপা) ও ডেভেলপমেন্ট পার্টি।

বেলা সাড়ে ১১টার দিকে জাগপা, খেলাফত মজলিস ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাকর্মীরা সমাবেশে যোগ দেন। পর্যায়ক্রমে অন্য দলগুলোও যোগ দেয়।

ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মহাসচিব অধ্যক্ষ ইউনুস আহমাদ বলেছেন, জাতীয় নির্বাচনের আগে নভেম্বরে গণভোট দিতে হবে এবং জুলাই সনদকে আইনি ভিত্তি দিতে হবে। সরকারের কিছু ব্যয় হলেও এটি আয়োজন করতে হবে, নইলে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়।

জাতীয় গণতান্ত্রিক পার্টির (জাগপা) সহ-সভাপতি রাশেদ প্রধান বলেছেন, আমরা জুলাই সনদের আইনি স্বীকৃতি ও তার বাস্তবায়নের দাবিতে ইসিতে স্মারকলিপি দিতে এসেছি। গণভোট ছাড়া জনগণের মতামত প্রতিফলিত হবে না। জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট একই দিনে হওয়া সম্ভব নয়। নভেম্বরেই গণভোট দিতে হবে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ন র আগ ইসল ম গণভ ট

এছাড়াও পড়ুন:

ফরিদপুরে পদ্মা নদীতে ভাঙন, ঝুঁকিতে ২০০ পরিবার

ফরিদপুরের সদরপুর উপজেলার পদ্মা নদী তীরবর্তী গ্রামগুলোতে নতুন করে ভাঙন দেখা দিয়েছে। ফলে স্থানীয় বাসিন্দাদের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানায়, নদীর পানি কমতে শুরু করায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।

গ্রামগুলোর বাসিন্দারা জানান, উপজেলার আকোটের চর ইউনিয়নের শয়তানখালী ও ছলেনামা গ্রাম এলাকায় নতুন করে ভাঙন শুরু হয়েছে। পাশাপাশি আকোটের চর গুচ্ছ গ্রামটিও চরম ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছে। এই তিন এলাকার প্রায় দুই শতাধিক পরিবার নদীগর্ভে বাড়ি বিলীন হওয়ার শঙ্কায় এখন নির্ঘুম রাত কাটাচ্ছেন।

আরো পড়ুন:

বিষখালীতে হঠাৎ ভাঙন

ফুঁসছে তিস্তা, লালমনিরহাটে রেড অ্যালার্ট জারি

স্থানীয় বাসিন্দা মালেক প্রামাণিক উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, “সারা বছরই ভাঙনের শিকার হচ্ছি। হঠাৎ করে ভাঙন তীব্র হওয়ায় এখন বাড়ি না সরালে নদীতে চলে যাবে। কোথায় যাব, তা নিয়ে চিন্তায় আছি।”

মো. মোজাম্মেল বেপারী নামে অপর এক বাসিন্দা বলেন, “এ বছর পদ্মায় ফসলি জমি ও গাছপালা বিলীন হয়েছে। অনেকেই ইতোমধ্যে নিরাপদ স্থানে চলে গেছেন, অনেকে ঘর সরানোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।”

ফরিদপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. রাকিব হোসেন বলেন, “নদীর পানি কমতে শুরু করায় ভাঙনের ঝুঁকি বেড়েছে। ভাঙন প্রবণ এলাকা পর্যবেক্ষণ করে ইতোমধ্যেই ৬০ লাখ টাকা ব্যয়ে ১৩ হাজার জিও ব্যাগ ফেলা হয়েছে। ভাঙন রোধে খুব শিগগিরই টেকসই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” 

সদরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জাকিয়া সুলতানা বলেন, “নদী ভাঙনের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জরুরি ভিত্তিতে জানানো হয়েছে। ভাঙন রোধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা চলছে।

ঢাকা/তামিম/মাসুদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ