জাতীয় সংসদ ও স্থানীয় সরকার নির্বাচন পর্যবেক্ষণের বিষয়ে নতুন নীতিমালা প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। বৃহস্পতিবার (৩০ অক্টোবর) ঘোষিত ‘নির্বাচন পর্যবেক্ষণ নীতিমালা-২০২৫’ শুধু দেশীয় পর্যবেক্ষকদের জন্য প্রযোজ্য হবে।

নীতিমালা অনুযায়ী, পর্যবেক্ষণের মূল লক্ষ্য হলো— নির্বাচনে অনিয়ম শনাক্ত করা, প্রক্রিয়ার স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা ও ভোটারের আস্থা বৃদ্ধি করা।

আরো পড়ুন:

নির্বাচন বানচালের যেকোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করা হবে: প্রধান উপদেষ্টা

১৫ নভেম্বরের মধ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি শেষ করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার

নিবন্ধন প্রক্রিয়া
নিবন্ধনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে। আগ্রহী সংস্থাগুলোকে নির্ধারিত ফরম (EO-1) ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে হবে।

আবেদনের যোগ্যতা
যেসব বেসরকারি সংস্থা গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করে এবং গঠনতন্ত্রে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের প্রতি অঙ্গীকার আছে, তারাই আবেদন করতে পারবে।

অযোগ্যতা
রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা নির্বাচনে প্রার্থী হতে ইচ্ছুক কেউ সংস্থার প্রধান বা পরিচালনা পর্ষদের সদস্য হলে নিবন্ধন বাতিল হবে। একই সঙ্গে রাজনৈতিকভাবে প্রভাবিত প্রতিবেদন দাখিলকারীরাও অযোগ্য হবেন।

নিবন্ধনের মেয়াদ ও প্রতিবেদন
সংস্থার নিবন্ধন ৫ বছরের জন্য বৈধ থাকবে। মেয়াদ শেষে নবায়ন করা যাবে। এ সময়ে জাতীয় সংসদের অন্তত একটি ও স্থানীয় সরকারের চারটি নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করে প্রতিবেদন ইসিতে জমা দিতে হবে। প্রতি দুই বছর অন্তর দ্বিবার্ষিক প্রতিবেদনও দিতে হবে।

পর্যবেক্ষকের যোগ্যতা
পর্যবেক্ষক হতে হলে তাকে বাংলাদেশের নাগরিক হতে হবে। বয়স কমপক্ষে ২১ বছর হতে হবে। ন্যূনতম এইচএসসি বা সমমান পাস হতে হবে। কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকা চলবে না।

পর্যবেক্ষক নিজ নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না এবং কেবল নির্বাচনের আগের দিন, ভোটের দিন ও পরের দিন মাঠে থাকবেন।

নিবন্ধন বাতিল
নীতিমালা ভঙ্গ বা রাষ্ট্রবিরোধী কার্যক্রমে সম্পৃক্ততার অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইসি সংশ্লিষ্ট সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করতে পারবে। এ বিষয়ে কমিশনের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত বলে গণ্য হবে।

ঢাকা/এএএম/রফিক

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ইস ইস র জন য

এছাড়াও পড়ুন:

অস্ত্র কিংবা ছুরি নয়, ‘অভিনব’ কায়দায় ১০ লাখ টাকা ছিনতাই

চট্টগ্রামে ‘অভিনব’ কায়দায় এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১০ লাখ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্র কিংবা ছুরি নয়, যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীরা বমির কথা বলে নির্জন জায়গায় গাড়ি থামিয়ে টাকা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।

গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে নগরের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাট বাস টার্মিনাল এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। ঘটনার ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আনিছুল ইসলাম আজ রোববার দুপুরে চান্দগাঁও থানায় মামলা করার পর বিষয়টি জানাজানি হয়। আনিছুল ইসলাম নগরের বহদ্দারহাট এলাকায় মুঠোফোনে আর্থিক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানের এজেন্ট।

আনিছুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে দোকান বন্ধ করে প্রতিদিনের মতো নগরের চান্দগাঁও এলাকায় বাসায় যাওয়ার জন্য বহদ্দারহাট মোড়ে দাঁড়ান। ওই সময় গাড়িতে ওঠার জন্য লোকজনের ভিড় ছিল। ফলে বাসে উঠতে পারেননি। তখন একটি সিএনজিচালিত অটোরিকশা চান্দগাঁও সিঅ্যান্ডবি মোড় যাবে বলে যাত্রী ডাকতে থাকে। অটোরিকশার পেছনে দুজন এবং চালকও তাঁর পাশে এক যাত্রী ছিলেন। পেছনের আসনে ওঠেন আনিছুল ইসলাম।

অটোরিকশাটি বহদ্দারহাট মোড় থেকে বাস টার্মিনালের সামনে জিয়া কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে যাত্রীবেশে থাকা ছিনতাইকারীদের একজন বমি করবেন বলে জানান। ওই সময় চালক গাড়ি থামিয়ে ফেলেন কিছুটা নির্জন এলাকায়। বমির কথা বলা যাত্রী নামার জন্য আনিছুলসহ আরেক যাত্রী অটোরিকশা থেকে নামেন। তখনই আনিছুলের হাতে থাকা ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে দ্রুত অটোরিকশা করে চলে যান তাঁরা।

চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাহেদুল কবির প্রথম আলোকে বলেন, ‘বিষয়টি আমরা যাচাই-বাছাই করছি। জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ