গান না গেয়েই কেন চলে যেতে হবে পাকিস্তানি ব্যান্ড কাবিশকে?
Published: 5th, December 2025 GMT
‘ওয়েভ ফেস্ট: ফিল দ্য উইন্টার’ কনসার্টে গান গাইতে ঢাকায় এসেছে পাকিস্তানি ব্যান্ড ‘কাবিশ’। শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) বিকাল ৫টায় কনসার্টটি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে গান না গেয়েই পাকিস্তানে ফিরে যেতে হচ্ছে দলটিকে।
জানা যায়, কনসার্টটির আয়োজন করেছে প্রাইম ওয়েব কমিউনিকেশনস। ভেন্যু ছাড়া সব ধরনের আয়োজন প্রস্তুত ছিল। ঢাকায় পৌঁছেছে ব্যান্ড কাবিশও। কিন্তু গতকাল গভীর রাতে কনসার্টের আয়োজক ভেন্যুর নিশ্চয়তা দিতে পারেনি। তাই পাকিস্তানি ব্যান্ড দলটিকে গান না গেয়েই ঢাকা ছাড়তে হবে।
আরো পড়ুন:
নীলুফার: পাকিস্তানি অভিনেত্রী মাহিরা কত পারিশ্রমিক নিয়েছেন?
ইমরান খানের মৃত্যুর খবর গুজব
আয়োজক প্রতিষ্ঠানের একাধিক কর্মকর্তা গণমাধ্যমে জানান, তাদের প্রস্তুতিতে কোনো গাফিলতি ছিল না। ভেন্যু নিশ্চিত করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। কিন্তু অনুমতি দেওয়া হবে হবে বলার পরও শেষ মুহূর্তে অনুমতি দেওয়া হয়নি। এতে সংগীতপ্রেমী শ্রোতারা যেমন বঞ্চিত হয়েছেন, তেমনই আয়োজকরাও অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। শেষ মুহূর্তে কনসার্টের আয়োজনের অনুমতি না দেওয়ার বিষয়টি ভীষণ উদ্বেগজনক বলে মনে করছেন সংগীতসংশ্লিষ্টরা।
বিমানবন্দ থেকে ‘কাবিশ’ ব্যান্ডের একটি ছবি প্রাইম ওয়েব কমিউনিকেশনসের ফেসবুকে পোস্ট করে জানানো হয়েছিল, ‘ওয়েভ ফেস্ট সিজন ১’–এ অংশ নিতে নিরাপদে ঢাকায় পৌঁছেছে কাবিশ। ঢাকার মাদানী অ্যাভিনিউর কোর্টসাইডে এই কনসার্ট হবে। কাবিশের সঙ্গে বাংলাদেশের ব্যান্ড ‘শিরোনামহীন’, ‘মেঘদল’সহ আরো কয়েকজন শিল্পীও অংশ নেবেন।
১৯৯৮ সালে জাফর জাইদি ও মাজ মওদুদ মিলে গঠন করেন সেমি ক্ল্যাসিক্যাল ব্যান্ড কাবিশ। দলটির ‘বাচপান’, ‘তেরে পেয়ার মে’-এর মতো গানে পাকিস্তানের গণ্ডি পেরিয়ে ভারত, বাংলাদেশের শ্রোতাদের মাঝে মুগ্ধতা ছড়িয়েছে। চলতি বছরের জানুয়ারিতে রাজধানীতে আয়োজিত ‘ঢাকা ড্রিমস’ কনসার্টে গান গেয়েছে কাবিশ।
ঢাকা/শান্ত
.উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে নেস্লের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্যবিষয়ক দুই দিনব্যাপী বিশেষ বৈজ্ঞানিক কর্মশালা আয়োজন করেছে নেস্লে বাংলাদেশ। এই আয়োজনের শিরোনাম ছিল ‘দ্য গাট নেক্সাস, দ্য সায়েন্স অব দ্য গাট মাইক্রোবায়োম’। কর্মশালায় গাট স্বাস্থ্যবিষয়ক সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন খাতের ২৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক অংশ নেন। নেস্লের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক শামন রাজেন্দ্রজিৎ ও নেদারল্যান্ডসের অধ্যাপক মার্ক এ বেনিঙ্গা। তাঁরা গাট হেলথ ও ফাংশনাল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আইসিডিডিআরবির অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন স্থানীয় খাদ্যাভ্যাসে গাট-বান্ধব খাবারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা প্রোবায়োটিক ও সিনবায়োটিক উদ্ভাবনবিষয়ক বৈজ্ঞানিক বুথগুলো পরিদর্শন করেন। যেখানে গাট স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও উন্নত শিক্ষার প্রসার ও নিউট্রিশনের অগ্রসরতা ও সমাধানে নেস্লের প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয়।