বাগমারায় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতার বাড়ি থেকে ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ
Published: 5th, December 2025 GMT
রাজশাহীর বাগমারা উপজেলায় স্বেচ্ছাসেবক লীগের এক নেতার বাড়ি থেকে অবৈধভাবে মজুত রাখা ৪৪৪ বস্তা সার জব্দ করেছে প্রশাসন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে উপজেলার ভবানীগঞ্জ পৌরসভার দানগাছি গ্রামে কৃষি দপ্তর ও বাগমারা থানার পুলিশ যৌথ অভিযান চালিয়ে এই সার জব্দ করে। এ সময় ওই নেতা বাড়ি থেকে পালিয়ে যান।
জব্দ করা সারের মালিক ওয়ারেস আলী (৩৫) ভবানীগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহসভাপতি। তিনি ভবানীগঞ্জের গরুহাটায় খুচরা সার বিক্রি করেন। গত বছরের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার ওপর হামলার অভিযোগে তিনি গ্রেপ্তার হয়েছিলেন।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুর রাজ্জাক প্রথম আলোকে বলেন, ওয়ারেস আলীর খুচরা বিক্রেতা হিসেবে নিবন্ধন আছে। ডিলারদের কাছ থেকে সার কিনে দোকানে রেখে খুচরা বিক্রেতা করতে পারবেন। তবে বাড়িতে মজুত করা রহস্যজনক। এ ঘটনায় থানায় মামলার প্রস্তুতি চলছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায়, গতকাল রাত সাড়ে ১০টার দিকে ওই বাড়িতে সার মজুতের খবর পেয়ে কৃষি দপ্তর ও পুলিশ অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে ওয়ারেস আলী পালিয়ে যান। পরে বাড়ির একটি কক্ষ থেকে ২০০ বস্তা টিএসপি, ২০০ বস্তা ডিএপি ও ৪৪ বস্তা এমওপি সার জব্দ করা হয়। বাড়িটি সিলগালা করা হয়েছে।
পুলিশের এক কর্মকর্তা বলেন, দুজন ডিলারের লাইসেন্স ব্যবহার করে ওয়ারেস আলী সারের ব্যবসা করেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছেন। তবে সারগুলো কালোবাজারির জন্য নিজের বাড়িতে মজুত করা হয়েছিল।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম বলেন, সমন্বিত সার নীতিমালা ও সার ব্যবস্থাপনায় বলা হয়েছে, অনুমোদিত ডিলার পয়েন্টের বাইরে সার মজুত বা রাখা যাবে না। তিনি নিজ বাড়িতে রেখেছেন, যা অবৈধ।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে ওয়ারেস আলী বলেন, জব্দ করা সব সার বৈধ। কাগজপত্রও আছে। উপজেলা বিএনপির এক নেতা আর পৌরসভার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের এক নেতার লাইসেন্স দিয়ে ব্যবসা করেন তিনি। এসব সার রাজশাহী বিএডিসি গুদাম থেকে তোলা। ভবানীগঞ্জ বাজারের দোকানে সার রাখার পরিবেশ না থাকায় বাড়িতে রেখেছিলেন।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: উপজ ল
এছাড়াও পড়ুন:
পুষ্টিবিজ্ঞান নিয়ে নেস্লের কর্মশালা অনুষ্ঠিত
প্রথমবারের মতো স্বাস্থ্যবিষয়ক দুই দিনব্যাপী বিশেষ বৈজ্ঞানিক কর্মশালা আয়োজন করেছে নেস্লে বাংলাদেশ। এই আয়োজনের শিরোনাম ছিল ‘দ্য গাট নেক্সাস, দ্য সায়েন্স অব দ্য গাট মাইক্রোবায়োম’। কর্মশালায় গাট স্বাস্থ্যবিষয়ক সর্বশেষ বৈজ্ঞানিক অগ্রগতি তুলে ধরা হয়। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন খাতের ২৫০ জনের বেশি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক অংশ নেন। নেস্লের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কর্মশালায় গুরুত্বপূর্ণ বক্তব্য তুলে ধরেন আন্তর্জাতিকভাবে স্বনামধন্য শ্রীলঙ্কার অধ্যাপক শামন রাজেন্দ্রজিৎ ও নেদারল্যান্ডসের অধ্যাপক মার্ক এ বেনিঙ্গা। তাঁরা গাট হেলথ ও ফাংশনাল গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল ডিজঅর্ডার বিষয়ে তাঁদের বক্তব্য দেন। বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপট তুলে ধরে আইসিডিডিআরবির অধ্যাপক মো. ইকবাল হোসেন স্থানীয় খাদ্যাভ্যাসে গাট-বান্ধব খাবারের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন।
কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীরা প্রোবায়োটিক ও সিনবায়োটিক উদ্ভাবনবিষয়ক বৈজ্ঞানিক বুথগুলো পরিদর্শন করেন। যেখানে গাট স্বাস্থ্য বিষয়ে আরও উন্নত শিক্ষার প্রসার ও নিউট্রিশনের অগ্রসরতা ও সমাধানে নেস্লের প্রতিশ্রুতি দৃঢ়ভাবে তুলে ধরা হয়।