যুক্তরাষ্ট্র ও ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ ইউক্রেন: জেলেনস্কি
Published: 24th, November 2025 GMT
কিয়েভকে সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প যেসব উদ্যোগ নিয়েছেন, তার জন্য ইউক্রেন কৃতজ্ঞ বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।
গতকাল রোববার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে এক পোস্টে জেলেনস্কি লেখেন, ‘জ্যাভলিন (ক্ষেপণাস্ত্র) দিয়ে যে সহায়তার শুরু, তা ইউক্রেনীয়দের জীবন বাঁচাচ্ছে। এর জন্য আমরা যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি, দেশটির নাগরিকদের প্রতি, বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রতি কৃতজ্ঞ।’
জেলেনস্কির এই কৃতজ্ঞতা প্রকাশের আগে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছিলেন, যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার জন্য ‘কোনো কৃতজ্ঞতা দেখায়নি’ ইউক্রেন।
রোববার ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প লেখেন, ‘আমাদের প্রচেষ্টার প্রতি ইউক্রেনের নেতৃত্ব শূন্য কৃতজ্ঞতা দেখিয়েছে।’
প্রায় চার বছর ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ঘিরে যে মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে, সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি। পূর্বসূরি জো বাইডেনকেও আক্রমণ করেন ট্রাম্প। তবে সরাসরি মস্কোর কোনো নিন্দা তিনি করেননি।
ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করতে যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তৈরি ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে জেনেভায় আলোচনা চলছে। এতে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন।ট্রাম্প এমন একসময়ে ইউক্রেনের কৃতজ্ঞতা না দেখানোর অভিযোগ তুলেছেন যখন জেনেভায় যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার তৈরি ২৮ দফা পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা চলছে। এতে ইউক্রেনের পাশাপাশি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের কর্মকর্তারাও যোগ দিয়েছেন।
এই বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সবচেয়ে ফলপ্রসূ ও অর্থবহ’ বলে উল্লেখ করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও।
জেলেনস্কি ইউরোপ, জি-৭ এবং জি-২০ভুক্ত দেশগুলোর প্রতিও তাদের সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা জানান। তিনি বলেন, এই সমর্থন ধরে রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
জেলেনস্কি লেখেন, ‘এ কারণেই আমরা শান্তির দিকে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কভাবে নিচ্ছি। সবকিছু সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমরা সত্যিকারভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি এবং ভবিষ্যতে আবার যেন যুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করা যায়।’
এ কারণেই আমরা শান্তির দিকে, প্রতিটি ক্ষেত্রে, প্রতিটি পদক্ষেপ খুব সতর্কভাবে নিচ্ছি। সবকিছু সঠিকভাবে নির্ধারণ করতে হবে, যাতে আমরা সত্যিকারভাবে এই যুদ্ধের অবসান ঘটাতে পারি এবং ভবিষ্যতে আবার যেন যুদ্ধ না হয়, তা নিশ্চিত করা যায়।ভলোদিমির জেলেনস্কি, ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টযুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার পরিকল্পনা অনুযায়ী, যুদ্ধ থামাতে ইউক্রেনকে নিজেদের পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা রাশিয়ার কাছে ছেড়ে দিতে হবে। এ ছাড়া কিয়েভকে নিজেদের সামরিক বাহিনীর আকার কমাতে হবে। দেশটিতে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তাও কমবে। এসব শর্ত মস্কোর কাছে কিয়েভের আত্মসমর্পণ করার শামিল বলে মনে করছে ইউক্রেন ও দেশটির মিত্ররা।
আরও পড়ুনট্রাম্পের ক্ষোভ: যুক্তরাষ্ট্রের প্রতি কোনো ‘কৃতজ্ঞতা’ দেখায়নি ইউক্রেন৯ ঘণ্টা আগে.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: য ক তর ষ ট র র য ক তর ষ ট র ও ইউক র ন র র জন য
এছাড়াও পড়ুন:
মিরসরাইয়ে ডাকাত-আতঙ্ক, রাত জেগে এলাকাবাসীর পাহারা
দিবাগত রাত দেড়টা। হঠাৎ দরজা ভাঙার শব্দে ঘুম ভাঙে সাবেক সেনা সার্জেন্ট আবু সুফিয়ানের। কিছু বুঝে ওঠার আগেই দুই ডাকাত ধারালো অস্ত্রের মুখে বেঁধে ফেলেন তাঁকে। এরপর বাড়িতে থাকা নারী ও শিশুদেরও জিম্মি করে মারধর করা হয়। একে একে স্বর্ণালংকার, টাকা ও মুঠোফোন লুট করে নেয় ডাকাত দলের সদস্যরা।
১৮ নভেম্বর চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের খৈয়াছড়া ইউনিয়নের মাছুমের তালুক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এরপর থানায় অভিযোগ করেছিলেন আবু সুফিয়ান। তবে এখন পর্যন্ত কেউ আটক হয়নি। অবশ্য শুধু ওই দিনই নয়; এ উপজেলায় গত চার মাসে এমন অন্তত নয়টি ঘটনা ঘটেছে। প্রতিবারই আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে ডাকাত দল মধ্যরাতে হানা দিয়েছে। বেশির ভাগ ডাকাতিই হয়েছে প্রবাসীদের বাড়িতে। পরপর এমন ঘটনায় আতঙ্কে রয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গত চার মাসে উপজেলার হিঙ্গুলী, খৈয়াছড়া, মিরসরাই পৌরসভা ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের নয়টি বাড়িতে একই কায়দায় ডাকাতি হয়েছে। এর মধ্যে শুধু হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর গ্রামেই ডাকাতি হয়েছে চারবার। নয়টির আটটি ডাকাতিই হয়েছে প্রবাসীদের বাড়িতে। এসব ঘটনায় ৪২ ভরি স্বর্ণালংকার, ৩ লাখ টাকা ও ২২টি মুঠোফোন লুট হয়েছে বলে অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।
গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এখন নিজ উদ্যোগেই পাহারা দিচ্ছেন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই রাত হলেই গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে লাঠি হাতে পাহারায় বসেন তরুণেরা। গ্রামটিকে সাত ভাগ করে প্রায় ১৫০ জন মানুষ এতে অংশ নেন। মাঝেমধ্যে পুলিশের টহল দলের সদস্যরাও তরুণদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন।গ্রামে একের পর এক ডাকাতির ঘটনায় এখন নিজ উদ্যোগেই পাহারা দিচ্ছেন উপজেলার হিঙ্গুলী ইউনিয়নের আজমনগর এলাকার বাসিন্দারা। প্রতিদিনই রাত হলেই গ্রামের গুরুত্বপূর্ণ সড়কে লাঠি হাতে পাহারায় বসেন তরুণেরা। গ্রামটিকে সাত ভাগ করে প্রায় ১৫০ জন মানুষ এতে অংশ নেন। মাঝেমধ্যে পুলিশের টহল দলের সদস্যরাও তরুণদের সঙ্গে অংশ নিচ্ছেন।
জানতে চাইলে এ উদ্যোগের সংগঠক স্থানীয় ব্যবসায়ী সাজ্জাদুল হক প্রথম আলোকে বলেন, ‘গত আগস্ট ও অক্টোবর মাসে আমাদের এলাকায় একে একে চার বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। তাই আমরা এক হয়ে এলাকা পাহারা দিচ্ছি। পাহারা শুরু করার পর আর ডাকাতির ঘটনা ঘটেনি।’
মিরসরাইয়ের দুর্গাপুর ইউনিয়নের হাজিরসরাই গ্রামে গত শুক্রবার রাতে একটি বিয়ে বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পরদিন সকালে তোলা