মিথিলা মিস ইউনিভার্সে কত ভোট পেয়েছেন, দেশে ফিরে জানালেন
Published: 26th, November 2025 GMT
থাইল্যান্ডে ১৯ দিনের মিস ইউনিভার্স মিশন। আগে–পরে ৯ দিন—সব মিলিয়ে চার সপ্তাহ থাইল্যান্ডে কেটেছে মিস ইউনিভার্স বাংলাদেশ চ্যাম্পিয়ন তানজিয়া জামান মিথিলার। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে দেশে ফিরেছেন। কথা বলেন সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে। দেশের মানুষ ও বিনোদন অঙ্গনে যাঁরা তাঁর প্রতি সমর্থন ও ভালোবাসা জানিয়েছেন, সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন মিথিলা। মিস ইউনিভার্স প্রতিযোগিতায় সেরার মুকুট জিততে না পারলেও সেরা ত্রিশে থাকাটা নিয়ে সন্তুষ্ট বাংলাদেশি এই মডেল ও অভিনয়শিল্পী।
তানজিয়া জামান মিথিলা.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: ম স ইউন ভ র স
এছাড়াও পড়ুন:
জোছনায় জলঝিঁঝি
ডোডো
কষ্টগুলো পাখির মতন পোষা ছিল
ডানা ঝাপটে উড়ে গেল, শীত থেকে শীতে,
তোমারও অনেক পাখি ছিল, পোষা ছিল,
পাঁজরখাঁচায় পুষে কারে ছেড়ে দিলে?
সেই পাখি বনে বনে নীড় খুঁজে যায়
আমরা ছিলাম ডোডো পাখি মরিশাসে
মানুষ দেখলে ছুটে যেতাম তাদের কাছে
একদিন মরে গেছি, ভেসে গেছি জলে—
জেনে গেছি স্পর্শে প্রেম ফিকে হয়ে আসে
তার চোখে ঘুম লেগে আছে
প্রচণ্ড প্রেমের নেশা করেছে সে,
যত দীর্ঘ শীতরাত, তার চেয়ে
দীর্ঘ রাত নামে তার চোখে,
বাদুরের ডানার মতন ভাঁজ খুলে
উড়ে যায় ঘুম, তার শীৎকার
রোদ হয়ে মিশে যায় কুয়াশায়
ম্রিয়মাণ নিবু নিবু আলো
সুদান, সুগন্ধী কালো ফুল,
জোছনা বিছানো বালুপথে
থরে থরে পড়ে আছ তুমি,
পাপড়ি আঁকড়ে ধরে আছে
ফুলপ্রেমী পতঙ্গের দল—
সামান্য বাতাসে উড়ে রেণু,
সেই রেণু সাহারার পথে
লাল বালুঝড় হয়ে বয়—
সুদান, সুন্দর ফুল তুমি,
তোমাকে কামড়ে ধরে আছে
মৌপোক, ভ্রমর, মাকড়েরা...
কাঁঠালচাঁপার মৃদু ঘ্রাণ চেটেপুটে খাই
ফুলের সুবাস ছুঁয়ে যায় আলজিব অবধি
আজন্ম মৌপোক জেনে তবু তুমি
প্রসারিত করে দিলে তোমার পাপড়িগুচ্ছ,
বুকে শুনি শুকনো ক্যাকটাস হাহাকার করে,
তবু বেদুইনের চোখ পেয়েছে তোমার
গহিনে লুকোনো এক মরুব্যাঙের মুখে
পানীয় জলের খোঁজ,
আমরা দুজন কোনো ম্যানগ্রোভ বনের
কাদামাটির ভেতর ঢুকে আছি,
আমাদের শরীরে নোনাজলের স্রোত,
জোছনায় আমরা দুজন জলঝিঁঝি হয়ে
একটি দীর্ঘ সুরের মতন পড়ে আছি...
মোরগ হত্যাকে আমি পাপ মনে করি, মনে লয়
আমার পালিত সেই মোরগের সঙ্গে হয়তো আবার
দেখা হবে স্বর্গে, হবে অতিকায় মোরগ সে এক,
তার পিঠে চেপে আমি পাড়ি দেব আগুনের নদী—
পৃথিবীতে আকাশে সূর্যকে ডেকে এনেছে সে
পৃথিবীর সব পাখি যপে সূর্যদেবতার নাম,
পাখিকে নমস্য জানি, একদিন তাদের ডানায়
ভর করে সরীসৃপ জীবনে মিটবে উড়ো-স্বাদ,
প্রজাপতি, ভ্রমরের কাছে ফুল জানায় মিনতি
যে জীবন ঝরে যায় পাপড়ির জৌলুশ হারিয়ে
তারে যেন নতুন প্রাণের দেয় তারা স্পন্দন,
ফুলেরা পূজারী আজও সূর্যদেব আমুনের—
সূর্যমুখীবনে আমি ক্রন্দন শুনেছি পূর্ণগ্রাসে