2025-06-15@01:07:56 GMT
إجمالي نتائج البحث: 29
«আমচ ষ র»:
আমের প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষিরা। চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাটে এখন আমের দাম গড়পড়তায় প্রতি কেজি ২০ টাকা। আমের মানভেদে দাম ১৬-১৭ টাকায় শুরু হয়, ওঠে ৩০ টাকা পর্যন্ত। আমের মান ও দর-কষাকষির ওপর দাম নির্ভর করছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জে এখন হিমসাগর আমের ভরা মৌসুম।সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কানসাটের বাজারে আমচাষি, আড়তমালিক, আমের ব্যাপারীদের ভিড় লেগেই থাকে। মৌসুমি আম ক্রেতারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জের কানসাট, বানেশ্বরের পাশাপাশি রাজশাহীতে ছুটছেন।চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট বাজার সরেজমিন ঘুরে এ চিত্র পাওয়া গেছে। কানসাট বাজার দেশের সবচেয়ে বড় আমের বাজার হিসেবে পরিচিত। রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জসহ ওই অঞ্চলে এখন আমের ভরা মৌসুম। চাষি পর্যায়ে এবার আমের দাম বেশ কম। তাঁরা প্রত্যাশিত দাম পাচ্ছেন না। কারণ, ঈদের লম্বা ছুটি ও অতিরিক্ত গরম।অন্যদিকে রাজধানীর ঢাকার বাজারে হিমসাগর বিক্রি হচ্ছে গড়ে...
রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার খোঁড়াগাছ ইউনিয়নের পাইকারহাটের আমচাষি মো. নুরুজ্জামান (৬৫)। ওই এলাকায় দুই একর আয়তনের আমবাগান চার লাখ টাকায় এক মৌসুমের জন্য ভাড়া নিয়েছেন তিনি। চলতি মাসের শেষের দিকে আম সংগ্রহ শেষে বাগান ফেরত দেবেন তিনি। শেষ মুহূর্তে এখন তাঁর নাওয়া-খাওয়া চলছে আমবাগানেই।আর কদিন পর শুরু হবে হাঁড়িভাঙা আমের ভরা মৌসুম। তাই নুরুজ্জমানের মতো হাজারো আমচাষির এখন ব্যস্ততা হাঁড়িভাঙা আম ঘিরে।মিঠাপুকুরের খোঁড়াগাছ, ময়েনপুর, চ্যাংমারী, বালুয়া মাসুমপুর; বদরগঞ্জের কুতুবপুর, গোপালপুর, লোহানীপাড়া, রামনাথপুর, কালুপাড়া ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় হাঁড়িভাঙা আমের চাষ হয়েছে প্রচুর। এসব এলাকা যেন এখন হাঁড়িভাঙা আমের রাজ্য। গতকাল বুধবার সরেজমিনে দেখা গেল, আমবাগানের মালিক, আমের ফড়িয়া, আমবাগানের পরিচর্যায় নিয়োজিত ব্যক্তি, মৌসুমি আম বিক্রেতা, অনলাইনে আম বিক্রেতা, পরিবহন ব্যবসায়ী, কুরিয়ার সার্ভিস ব্যবসায়ী—সবাই যে যাঁর মতো করে আম কেনাবেচার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।রংপুরের...
চারঘাটের রাওথা এলাকার আমচাষি শফিকুল ইসলাম তিন বিঘা বাগান দুই বছরের জন্য লিজ দিয়েছিলেন। শর্ত ছিল হরমোন ব্যবহার করা যাবে না। এর পরও গোপনে হরমোন প্রয়োগ করেছেন ব্যবসায়ী। পর পর দুই বছর প্রচুর মুকুল এলেও এ বছর আম টেকেনি। উল্টো ১৩টি গাছ মরে গেছে। এ বিষয়ে গ্রাম্য আদালতে অভিযোগ করেছেন। বাঘা উপজেলার মীরগঞ্জ এলাকার আমচাষি শরিফুল ইসলামও এ বছর গাছে হরমোন ব্যবহার করেছেন। ৩২টি গাছে প্রচুর মুকুল এসেছে। কিন্তু আম টেকানো যায়নি। মাত্র ১৭ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছেন। অথচ গত বছর মুকুল কম এলেও ৬২ হাজার টাকার আম বিক্রি করেছেন। হরমোনের প্রভাবে এলাকার সব বাগানের একই অবস্থা। চারঘাটের ভায়ালক্ষ্মীপুর এলাকার আবু সিনা বলেন, আমের এমন দুরবস্থা এক যুগেও দেখিনি। বাধ্য হয়ে গত সপ্তাহে পাঁচ বিঘা আমের বাগান কেটে ফেলেছি।...
চাঁপাইনবাবগঞ্জের বিশ্বনাথপুর গ্রামের আমচাষি মিজানুর রহমান। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ৭টায় ২০০ মণ ফল নিয়ে যান দেশের অন্যতম বড় আম বাজার কানসাটে। প্রথম ২ ঘণ্টায় কোনো ক্রেতা পাননি। এরপর এক ব্যাপারী এলেও আগের মতো ৫২ কেজিতে মণ ধরে আম নিতে চান। দামও বলেন এক দিন আগের চেয়ে মণে ৫০০ টাকা কম। ওই ব্যাপারীকে বুধবার রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আমের ওজন ও কমিশন নিয়ে নতুন সিদ্ধান্তের কথা বলতেই রাগ দেখিয়ে চলে যান। এ নিয়ে মিজান সমকালকে বলেন, ভরা মৌসুমে একটি পক্ষ জেলার আমশিল্পকে ধ্বংস করতে উঠেপড়ে লেগেছে। আম এখন চাষির গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এর চেয়ে ১০ বছর আগে যেভাবে ৪৫ কেজিতে মণ ধরে আম বিক্রি হতো, সেটা চালু হলেই ভালো হয়। দিনাজপুরের একটি বাগান থেকে দুই ভ্যান আম নিয়ে কানসাটে...
রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে গতকাল বুধবার দিনভর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছিল, রাজশাহী অঞ্চলে আম বেচাকেনা হবে কেজি দরে। সভায় রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের আমচাষি ও ব্যবসায়ীরা সম্মত হয়েছিলেন, আমের মণ আর ৪৮ বা ৫২ কেজিতে ধরা হবে না। কেজিতে দেড় টাকা কমিশনে আম বিক্রি হবে। তবে রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে আমের মোকাম ঘুরে সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের চিত্র দেখা যায়নি।আজ বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহীর বড় আমের মোকাম পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজারে গিয়ে দেখা যায়, ব্যবসায়ীরা আগের নিয়মেই (ঢলন প্রথায়) বেচাকেনা করছেন। বাজারের কোথাও ৪০ কেজি মণ দরে বা কেজি দরে আম বিক্রির দৃশ্য দেখা যায়নি। স্থানীয় আমচাষি ও ব্যবসায়ী মো. আবুল হোসেন (৪২) বলেন, ৪০ মণ আম বিক্রি করেছেন। ৪৫ কেজিতে মণ দিতে হয়েছে। কেজি দরে আম বিক্রির আইন কেউ মানছেন না।বানেশ্বরের চাষি ও ব্যবসায়ী...
আমার নিবাস প্রত্যন্ত চলনবিলে। চলনবিলের সর্ববৃহৎ মাছের আড়ত সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার মহিষলুটিতে। এ আড়তে মাছচাষিরা যখন তাদের উৎপাদিত কষ্টার্জিত মাছ বিক্রি করতে যান, তখন স্থানীয় ভাষায় ‘ঢলতা’র ফাঁদে পড়েন। ‘ঢলতা’ হলো নির্দিষ্ট পরিমাণের চেয়ে মণপ্রতি কিছু বেশি নেওয়া বা দেওয়া। মাছের আড়তে ক্রেতা একজন সাধারণ বিক্রেতার কাছ থেকে ৪০ কেজি মাছ কিনতে ৪৪-৪৫ কেজিতে এক মণ ধরেন। এখানে মণপ্রতি ৪-৫ কেজি মাছ বেশি নেওয়া হয়। অতিরিক্ত ৪-৫ কেজি মাছ বেশি নেওয়াকেই ‘ঢলতা’ বলে। এই ঢলতা দেওয়া মহিষলুটি আড়তের প্রায় ২৫ বছরের পুরোনো অভ্যাস। এটা শুধু যে মাছের ক্ষেত্রেই করা হয়, তা নয়। উত্তরবঙ্গের রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নওগাঁ, নাটোর, পাবনাসহ বিভিন্ন জেলায় আমের মণ ৪০ কেজির বদলে ধরা হতো ৫৪ কেজিতে। এখানে ঢলতা প্রথার মাধ্যমে মণে ১৪ কেজি বেশি নেওয়া হচ্ছে। এ...
রাজশাহী, নাটোর, নওগাঁ ও চাঁপাইনবাবগঞ্জে চলতি মৌসুমে আম কেনাবেচায় ‘ঢলন’ প্রথা বাতিল করা হয়েছে। এর পরিবর্তে চালু হয়েছে ‘কমিশন’ পদ্ধতি। নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আড়তদাররা চাষিদের কাছ থেকে প্রতি কেজিতে দেড় টাকা, অর্থাৎ প্রতি মণে ৬০ টাকা পর্যন্ত কমিশন নিতে পারবেন। বুধবার (১১ জুন) রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আয়োজিত এক দীর্ঘ বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন বিভাগীয় কমিশনার খোন্দকার আজিম আহমেদ। এর আগে, ঢলন প্রথা বাতিলের দাবিতে কৃষক, আড়তদার ও প্রশাসনের মধ্যে কয়েক সপ্তাহ ধরে টানাপোড়েন চলছিল। যুগের পর যুগ ধরে রাজশাহী অঞ্চলে এক মণ আমের ওজন ৪২ থেকে ৫৫ কেজি পর্যন্ত ধরা হত, অথচ দাম দেওয়া হতো ৪০ কেজি ধরে। এই অতিরিক্ত ওজনের অংশটিই ছিল ‘ঢলন’। প্রশাসনের নানা উদ্যোগেও এই অনিয়ম বন্ধ হয়নি। ...
চাঁপাইনবাবগঞ্জের আড়তগুলোতে আমের মণ ৪০ কেজির বদলে ধরা হতো ৫৪ কেজিতে। এ নিয়ে ৫ জুন রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে আলোচনায় সর্বসম্মতিক্রমে কেজি দরে আম কেনাবেচার সিদ্ধান্ত হয়। এর তিন দিন পরই আড়তদাররা কেজিপ্রতি ৩ টাকা কমিশন দাবি করেন। এতে গত সোমবার থেকে বন্ধ হয়ে গেছে পুরো জেলায় আম কেনাবেচা। আমের ভরা মৌসুমে আড়তদারদের এমন সিদ্ধান্তে বিপাকে পড়েছেন চাষিরা। গাছে আম পেকে যাওয়ার পরও অনেকে পাড়ছেন না। যারা বাধ্য হয়ে বাজারে আম নিচ্ছেন, তাদের হয় আগের মতো ৫৪ কেজিতে মণ ধরে বিক্রি করতে হচ্ছে অথবা কেজিতে দিতে হচ্ছে ৩ টাকা কমিশন। জেলার প্রধান আমবাজার শিবগঞ্জের কানসাট, গোমস্তাপুরের রহনপুর ও ভোলাহাট– সব স্থানেই দেখা গেছে একই চিত্র। দেশের সর্ববৃহৎ আমবাজার কানসাটে গতকাল দেখা যায়, অধিকাংশ আড়ত আম কেনাবেচা বন্ধ রেখেছে। গুটিকয়েক আড়তে...
আমের বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রসিদ্ধ জাতগুলোর মধ্যে ক্ষীরশাপাতি ও ল্যাংড়া আম পাওয়া গেলেই ধরে নেওয়া হয়, আমের ভরা মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ভরা মৌসুম শুরু হলেও সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আমের বাজার হিসেবে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের আমের বাজার তেমনভাবে জমে ওঠেনি। আর শুরুতে দুই দিন থেকে আমের বাজার পড়েছে ছুটির ফাঁদে। এতে প্রতি মণে দাম কমেছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কানসাট আমের বাজারে কথা হয় শিবগঞ্জের শেখটোলা গ্রামের আমচাষি অপু ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাড়ে ৯ মণ আম নিয়ে তিনি বাজারে আছেন সকাল পৌনে নয়টা থেকে। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মেজাজ খারাপ। পৌনে দুইটার দিকে আম বিক্রি করেছেন ১৭০০ টাকা মণ দরে। অথচ গতকাল বুধবার এই পরিমাণ আম বিক্রি...
রাজশাহীর পুঠিয়ার আমচাষি মাহবুব ইসলাম একসময় বাগান ধরে ব্যবসায়ীদের কাছে আম বিক্রি করতেন। ব্যবসায়ীরা আম বিক্রি করে টাকা দিতেন। অনেক সময় টাকার জন্য ঘুরতেও হতো তাঁকে। ব্যবসায় ভালো করলে ব্যবসায়ীরা টাকা দিয়ে দিতেন। আর যদি ব্যবসা না হতো, তখন চাষিরা চুক্তি অনুযায়ীও টাকা পেতেন না। এতে মাহবুবের খুব বেশি পোষাত না। তবে তিন থেকে চার বছর ধরে তাঁকে আর আমবাগান ধরে বিক্রি করতে হয় না। আম পরিপক্ব হতে না হতেই বাগানে চলে আসেন ক্রেতা কিংবা নিজেই হাঁটে নিয়ে বিক্রি করেন। এতে মাহবুব দামও ভালো পাচ্ছেন। আড়তদার বা অন্য ব্যবসায়ীদের হাতে জিম্মি থাকতে হচ্ছে না তাঁকে।মাহবুব প্রথম আলোকে বলেন, ‘একসময় আমার বাগানের আম আমি ছুঁতে পারতাম না। বাধ্য হয়ে বাগান ধরে বিক্রি করে দিতে হতো। এখন আমার আম আমি বিক্রি করি।...
জ্যৈষ্ঠকে বলা হয় মধুমাস। নানা রকম সুস্বাদু ফল ফলে এ মাসে। তাই, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো— আম, জাম, কাঁঠাল, লিচু প্রভৃতি। কবি জসীম উদ্দীনও তার ‘মামার বাড়ি’ কবিতায় লিখেছেন, ‘ঝড়ের দিনে মামার দেশে আম কুড়াতে সুখ, পাকা জামের মধুর রসে রঙিন করি মুখ।’ মধুমাসে আমের ব্যাপক ফলন হয় দেশের অন্যতম সুস্বাদু আম উৎপাদনকারী জেলা চুয়াডাঙ্গায়। এ জেলার আমের কদর রয়েছে দেশ ও দেশের বাইরে। স্থানীয় চাষি ও কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চুয়াডাঙ্গা জেলায় চলতি মৌসুমে ২০০ কোটির বেশি টাকার আম বাণিজ্যের সম্ভাবনা আছে। আম পাড়ার পঞ্জিকা অনুযায়ী, পহেলা জ্যৈষ্ঠ (১৫ মে) থেকে আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম পাহরণের সময় শুরু হয়েছে। সে মোতাবেক আনুষ্ঠানিকভাবে এ মৌসুমের আম পাড়া উৎসব উদ্বোধন ঘোষণা করেছেন জেলা প্রশাসক জহুরল ইসলাম। এর...
স্বাদে-গন্ধে অতুলনীয় ও জিআই পণ্য হিসেবে স্বীকৃত উত্তরাঞ্চলের বিখ্যাত হাড়িভাঙ্গা আম বাজারে মিলবে জুনের তৃতীয় সপ্তাহে। চলতি বছরে রংপুরে প্রায় ২ হাজার হেক্টর জমিতে হাড়িভাঙ্গা আমের চাষ করা হয়েছে। সবকিছু ঠিক থাকলে এ বছরেও ২০০ কোটির বেশি টাকার হাড়িভাঙ্গা আম বিক্রি করা সম্ভব হবে বলে আশাবাদী চাষি ও ব্যবসায়ীরা। সম্প্রতি রংপুরের বদরগঞ্জ উপজেলার তেকানি বাজার এলাকায় ঘুরে দেখা গেছে, শেষ সময়ে ঝড়-বৃষ্টির হাত থেকে আম রক্ষা করতে পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষিরা। এ মৌসুমে দুই দফায় ঝড় হওয়ায় ফলন কিছুটা কম হবে বলে আশঙ্কা করছেন তারা। একই সঙ্গে আবহাওয়া অধিদপ্তরের সাম্প্রতিক ঝড়ের পূর্বাভাস নতুন করে উদ্বেগ বাড়িয়েছে আমচাষিদের মধ্যে। তেকানির আমচাষি বেলাল হোসেন বলেছেন, “এবার মুকুল আসার পর থেকে তিন বার ঝড় হয়েছে। এর ফলে আমের ফলন...
আম পাড়ার সময়সূচি নির্ধারিত ছিল নওগাঁয়। জেলা প্রশাসনের বেঁধে দেওয়া ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী আজ বৃহস্পতিবার থেকে গুটি আম পাড়া যাবে। সে অনুযায়ী আজ থেকে নওগাঁর কিছু কিছু বাগানে গুটি আম নামানো শুরু হয়েছে। তবে শুরুর দিনটা তেমন জমেনি নওগাঁর আমের হাটগুলোয়। নওগাঁ শহরের পৌর কাঁচাবাজার–সংলগ্ন পাইকারি আমের বাজারে গিয়ে দেখা যায়, বাজারে তেমন ভিড় নেই। নেই ক্রেতা-বিক্রেতার হাঁকডাক। সকাল ৯টা পর্যন্ত আম বিক্রির পরিমাণ মাত্র কয়েক মণ। জান্নাত ফল ভান্ডারের মালিক মারুফ হোসেন বলেন, নওগাঁর বাণিজ্যিক বাগানগুলোয় এখনো আম পাড়া শুরু হয়নি। বাসাবাড়ির আশপাশে চাষ হওয়া বিভিন্ন জাতের গুটিজাতের আম পাকতে শুরু হয়েছে। ওই সব চাষি বিক্রি করতে আনছেন, তবে পরিমাণে খুব কম। গুটি আম ৮০০ থেকে ১ হাজার ২০০ টাকা মণ দরে পাইকারি বিক্রি হচ্ছে। নওগাঁতে ভালো জাতের সুমিষ্ট...
নওগাঁর সাপাহার উপজেলার দোয়াশ গ্রামের কৃষি উদ্যোক্তা রায়হান আলম (৪৮) নিজ উপজেলার পাশাপাশি পত্নীতলা ও পোরশা উপজেলার ২০০ বিঘা জমিতে আমের চাষ করেছেন। বিদেশে রপ্তানির আশায় উত্তম কৃষিচর্চা (GAP) অনুসরণ করে এ বছর তিনি বাগানের ৩ লাখ ২৫ হাজার আমে ফ্রুট ব্যাগিং করেছেন। ফ্রুট ব্যাগিং হলো বিশেষ ধরনের কাগজের ব্যাগ দিয়ে ফলকে আবৃত করা। সবকিছু ঠিক থাকলে এই উদ্যোক্তার বাগানেই এবার ৯৭ টন নিরাপদ আম উৎপাদিত হবে। শুধু রায়হান আলম নন, তাঁর মতো আরও অনেক চাষিই বিদেশে রপ্তানির আশায় উত্তম কৃষিচর্চা অনুসরণ করে নিরাপদ আম উৎপাদন করছেন। স্থানীয় কৃষি বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছর নওগাঁয় ৫০ লাখ আম ফ্রুট ব্যাগিং করার জন্য নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রতিটি আমের গড় ওজন ৩০০ গ্রাম করে ধরলে জেলায় এ বছর প্রায় দেড় হাজার টন...
রাজশাহীতে গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে আম নামানো শুরু হয়েছে। প্রথম দিনই মোকামগুলোতে ৪৮ কেজি মণ ধরে আম বেচাকেনা শুরু হয়েছে। এতে আমচাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। অথচ কেজি দরে আম বিক্রি করার সরকারি নির্দেশনা ছিল; যা ব্যবসায়ীরা মানছেন না। আবার কুরিয়ার খরচও অন্য পণ্যের তুলনায় আমের জন্য দ্বিগুণ করা হয়েছে।রাজশাহীতে ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ অনুযায়ী, প্রথম দিন গুটি জাতের আম বাজারে নামানোর কথা, কিন্তু আমের বাজার প্রথম দিনই দখলে নিয়েছে গোপালভোগ। চাষিরা বলছেন, গাছে আম পেকে গেছে। তাই তাঁরা বাজারে নিয়ে এসেছেন।১০ মে রাজশাহী বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয় থেকে জারি করা নির্দেশনায় বলা হয়েছে, রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, নাটোর ও নওগাঁ জেলায় কেজি দরে আম কেনাবেচা করতে হবে। সাধারণত আমচাষিরা তাঁদের উৎপাদিত আম মোকামে গিয়ে আড়তদার বা কোনো ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করেন। কিন্তু ব্যবসায়ীরা...
গুটি আম নামানোর মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মধুমাস আমের মৌসুম। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন এসব গুটি আম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা মণ দরে। মৌসুমজুড়ে রাজশাহী জেলায় বিক্রির আশা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আম। জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের গুটি আম নামানোর ঘোষণা ছিল। সে অনুযায়ী চাষিরা সকালে আম নামিয়ে রাজশাহীর বৃহত্তম আমের হাট বানেশ্বরে আনতে শুরু করেন। নিম্নমানের এসব গুটি আম খুব একটা সুস্বাদু হয় না। ফলে আচারের কাজেই বেশি ব্যবহার হয়। চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, গুটি আমের মাধ্যমে আম বাজারজাত শুরু হলো। এর পর পর্যায়ক্রমে ২২ মে গোপালভোগ, ২৫ মে লকনা বা লক্ষ্মণভোগ ও রানীপছন্দ, ৩০ মে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো, ১৫...
রাজশাহীর বিখ্যাত আমের জন্য অপেক্ষার অবসান হলো। বৃহস্পতিবার (১৫ মে) সকাল থেকে নগর ও আশপাশের উপজেলার বাগানগুলোতে শুরু হয়েছে গাছপাকা গুটি আম নামানোর কার্যক্রম। পরবর্তী সময়ে পর্যায়ক্রমে নামানো হবে হিমসাগর, গোপালভোগ, আম্রপালি, ল্যাংড়া, ফজলি, আশ্বিনাসহ বিভিন্ন জাতের আম। বাগানিদের মতে, এবার আমের ফলন গতবারের চেয়ে কিছুটা বেশি হলেও বাজারমূল্য তুলনামূলক কম। তবে সময়মতো আম পাড়ার সুযোগ পাওয়ায় সন্তুষ্ট তারা। গত আট বছরের মতো এবারও অপরিপক্ক আম বাজারজাতকরণ ঠেকাতে জাতভেদে আম নামানোর নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণা করেছে রাজশাহী জেলা প্রশাসন। এই সময়সূচিই ‘ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার’ নামে পরিচিত। সেই ক্যালেন্ডার অনুযায়ী শুক্রবার (১৫ মে) থেকে গুটি আম পাড়া শুরু হয়েছে। বৃহস্পতিবার সকালে রাজশাহী নগর, পুঠিয়া ও বাঘা উপজেলার বিভিন্ন বাগানে গিয়ে দেখা যায়, আমচাষিরা গাছপাকা গুটি আম নামিয়ে বানেশ্বর...
চুয়াডাঙ্গায় আনুষ্ঠানিকভাবে আম সংগ্রহ শুরু হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আঁটি, গুটি ও বোম্বাই আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে পাকা আমের বাজারজাতকরণও শুরু হচ্ছে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমের এই জেলায়।এ ছাড়া তাপপ্রবাহের কারণে গাছে পেকে যাওয়ায় হিমসাগর আম সংগ্রহের সময়কাল দুই দিন এগিয়ে আনার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।সকাল ৯টায় চুয়াডাঙ্গা পৌর এলাকার বুজগড়গড়িতে জেলা ফল ও আম ব্যবসায়ি সমিতির সভাপতি আবদুল কুদ্দুস মহলদারের ‘মহলদার আম্রকাননে’ আম সংগ্রহের মধ্য দিয়ে এ বছর সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসন, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর, জেলা মার্কেটিং বিভাগ, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর ও আমচাষি সমিতির নেতারা উপস্থিত ছিলেন।প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জহিরুল ইসলাম সংগ্রহ অভিযানের উদ্বোধন করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘অনুকূল পরিবেশে এবার আমের ভালো ফলন হবে। আমের সরবরাহ ও বাজারজাতকরণে যাতে কোনো সমস্যা না হয়, আমরা...
সাতক্ষীরায় হিমসাগর আম পাড়ার সময় পাঁচ দিন এগিয়ে আনা হয়েছে। কাল বৃহস্পতিবার থেকে এই আম পাড়া শুরু হবে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় আমচাষি ও উপজেলা কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনার পর জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ এ ঘোষণা দেন।সভা শেষে জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদ বলেন, অন্য বছরের তুলনায় আগে পাকতে শুরু করায় হিমসাগর আম পাড়ার দিন পুনর্নির্ধারণ করা হয়েছে। হিমসাগর আম পাড়ার দিন আগে নির্ধারিত ছিল ২০ মে। পাঁচ দিন এগিয়ে কাল থেকে আম পাড়া শুরু হবে। অন্যান্য আম পাড়ার তারিখ অপরিবর্তিত থাকবে।আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টায় জেলা প্রশাসকের সভাকক্ষে আমচাষি ও কৃষি বিভাগের কর্মকর্তাদের নিয়ে সভা করে জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক মোস্তাক আহমেদের সভাপতিত্বে সভায় জেলা কৃষি বিভাগের উপপরিচালক সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রিপন বিশ্বাস, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শোয়েইন আহমদ,...
সাতক্ষীরার বাজারে গোবিন্দভোগ ও গোলাপখাস আমে সয়লাব হয়ে গেছে। চাহিদার চেয়ে অনেক বেশি আম বাজারে ওঠায় দাম পড়ে গেছে। ফলে আমচাষিরা বিপাকে পড়েছেন। একদিকে মূল্য পাচ্ছেন না, অন্যদিকে প্রচণ্ড গরমে পেকে আম দ্রুত নষ্ট হচ্ছে। পাকতে শুরু করায় চাষিরা হিমসাগর আম সংগ্রহের নির্ধারিত তারিখ এগিয়ে নিয়ে আসার দাবি জানিয়েছেন।গত ৩০ এপ্রিল জেলা প্রশাসন ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের যৌথ সভায় আম পাড়ার ক্যালেন্ডার চূড়ান্ত করা হয়। সেই অনুযায়ী ৫ মে থেকে গোবিন্দভোগ, গোপালভোগ, বোম্বাই, গোলাপখাস ও বৈশাখীসহ স্থানীয় জাতের আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করা শুরু হয়েছে। তবে হিমসাগর আম বাজারে আসবে ২০ মে, ল্যাংড়া ২৭ মে এবং আম্রপালি ও মল্লিকা ৫ জুন থেকে পাওয়া যাবে।আমচাষিরা বলছেন, জেলার ৪ হাজার ১৩৫ হেক্টরের ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার আম বাগানের মধ্যে অর্ধেক জমিতে গোবিন্দভোগ,...
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছরও ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার থাকছে না। অর্থাৎ আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে নির্ধারিত কোনো সময়সূচি থাকছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমঞ্চে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ এ তথ্য জানান। এ জেলায় গত কয়েক বছর আমের বাজারজাতে কোনো ক্যালেন্ডার নির্ধারণ করা হয়নি।জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই সভায় জানানো হয়, এখানকার আমচাষিরা গাছে আম পাকতে না দেখলে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করেন না। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ঐতিহ্য। ফলে আলাদা করে সময়সূচির প্রয়োজন পড়ে না।আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, এবার অনেক গাছে তিন দফায় মুকুল এসেছে। ফলে আমও পাকবে তিন সময়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা কঠিন। চাষিরা যথাযথ সময়েই আম সংগ্রহ করবেন।সভায় আমচাষিরা ৫২-৫৪ কেজির পরিবর্তে ৪৫ কেজিকে একটি মানদণ্ড হিসেবে মণ...
আম উৎপাদন ও বিপণন নিয়ে দেশের বিভিন্ন জেলার চাষি, উদ্যোক্তা ও গবেষকদের নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রথম আম সম্মেলন। গতকাল মঙ্গলবার শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাট ক্লাব স্টেডিয়ামে এ আয়োজন করে ম্যাংগো ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। দিনব্যাপী সম্মেলনে দেশের ৪৪ জেলার প্রায় ৩৫০ জন আমচাষি ও উদ্যোক্তা অংশ নেন। শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) তৌফিক আজিজের সভাপতিত্বে সকালে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন চাঁপাইনবাবগঞ্জের জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ। সম্মেলনে বক্তারা আম উৎপাদন ও বিপণনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় রপ্তানিমুখী জোন চিহ্নিতকরণ, প্রশিক্ষিত রপ্তানিকারক তৈরি, আধুনিক প্যাকিং হাউস স্থাপন এবং সরকারি-বেসরকারি অংশীদারিত্বে অবকাঠামো উন্নয়নের ওপর জোর দেন। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আব্দুস সামাদ আম পরিবহন, ওজন পদ্ধতি ও রপ্তানির ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যা চাষিদের কাছে শোনেন এবং তা নিরসনে উদ্যোগের কথা জানান। ঢাকার উত্তরা থেকে সম্মেলনে অংশ নেওয়া উদ্যোক্তা সাইয়েদুল বাশার...
দেশের বিভিন্ন জেলার আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের নিয়ে আমের রাজধানীখ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘আম সম্মেলন’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। মঙ্গলবার দেশের সবচেয়ে বড় আমের মোকাম শিবগঞ্জের কানসাটে এ সম্মেলনের আয়োজন করে তরুণ আমচাষি ও উদ্যোক্তাদের সংগঠন ম্যাঙ্গো ডেভেলপমেন্ট ফোরাম। এতে সারা দেশের নিবন্ধিত ৩৫০ জন আমচাষি ছাড়াও কৃষিবিদ, উদ্যানতত্ত্ববিদ ও ব্যবসায়ী সংগঠনের নেতারা অংশ নেন। কানসাটের রাজবাড়ী মাঠে বেলা ১১টায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ। শিবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) তৌফিক আজিজের সভাপতিত্বে সম্মেলনে চাঁপাইনবাবগঞ্জ শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি আবদুল ওয়াহেদ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ হর্টিকালচারের উপপরিচালক মঞ্জুরে মাওলা, শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নয়ন মিয়া, আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণাকেন্দ্রের (আম গবেষণাকেন্দ্র) বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোর্শেদুল বারী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ প্রীতি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুঞ্জের আলম, শিবগঞ্জ ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক আহসান হাবীব প্রমুখ বক্তব্য দেন।অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন...
রাজশাহীতে টানা দুই দিন ধরে বৃষ্টির ও মেঘাচ্ছন্ন আকাশের পর রোদের দেখা মিলেছে। আজ শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আকাশের মেঘ কেটে গিয়ে সূর্য উঁকি দেয়। দুই দিনের বৃষ্টিে আমচাষিদের জন্য ভালো বার্তা নিয়ে এসেছে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। রোদ থাকায় চাষিদের বাগানে গুটি হয়ে যাওয়া আমে ছত্রাক ও কীটনাশক ছিটানোর পরামর্শ দিয়েছেন কৃষি কর্মকর্তারা।গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই রাজশাহীর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সেদিন দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ১ মিলিমিটার বৃষ্টিও ঝরে। পরদিন শুক্রবার ভোর থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হয়। গতকাল শনিবার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ২ মিলিমিটার। এই দুই দিনের বৃষ্টিতে দিনের তাপমাত্রাও কমে যায়।আবহাওয়া কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, রাজশাহীতে গত বুধবার দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়। ২৪ ঘণ্টার ব্যবধানেই গত বৃহস্পতিবার...
রাজশাহী অঞ্চলে দুইদিনের গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টিতে সতেজ হয়ে উঠেছে গাছের আমের গুটি। বৃষ্টির পানিতে গুটির পাশে লেগে থাকা শুকনো মুকুল, যা চাষিদের কাছে ‘পোড়া মুকুল’ হিসেবে পরিচিত তা ঝরে পড়েছে। ফলে তরতাজা-সতেজ হয়ে উঠেছে মটরদানা কিংবা মার্বেলের আকারের গুটিগুলো। এদিকে, বৃষ্টি ও মেঘলা আবহাওয়া নিয়ে কিছু চাষি দুশ্চিন্তায় থাকলেও কৃষি বিভাগ বলছে, এই বৃষ্টি আমের জন্য আশীর্বাদস্বরূপ। এতে গুটি দ্রুত বড় হবে, গুটি ঝরে পড়া কমবে এবং পোড়া মুকুল ঝরে যাওয়ায় আমের গায়ে দাগ কম পড়বে। ফলে বাজারে ভালো মানের আমের সরবরাহ বাড়বে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, গত বুধবার রাজশাহীতে দেশের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা মৃদু তাপপ্রবাহের লক্ষণ। গতকাল বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা কমে ২৫.৯ ডিগ্রিতে নেমে আসে। দুপুর ২টার পর রাজশাহীতে গুঁড়ি গুঁড়ি...
লঘুচাপের প্রভাবে সারাদেশের বিভিন্ন স্থানের মত রাজশাহীতেও গুড়ি গুড়ি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। সকাল থেকেই ঝরছে গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি। এতে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন এ অঞ্চলের আমচাষিরা। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৫ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। আকাশে মেঘ থাকায় সকাল থেকে সূর্যের দেখা মেলেনি। বিকেল ৩টায় দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল ৯৬ শতাংশ। রাজশাহী আবহাওয়া অফিস জানায়, বুধবার দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একদিনের ব্যবধানে তাপমাত্রা প্রায় অর্ধেকে নেমে আসায় শীতল পরিবেশ বিরাজ করছে। পড়েছে হালকা শীতের আমেজ। তীব্র গরমের পর স্বস্তি মিলেছে। রাজশাহী আবহাওয়া অফিসের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রহিদুল ইসলাম বলেন, লঘুচাপের প্রভাবে বৃষ্টি হচ্ছে। সারাদিনই আকাশে মেঘ ছিল। দিনের বিভিন্ন সময় থেমে...
ভরা ফাগুন। বাগানে বাগানে গাছ ভরে উঠেছে আমের মুকুলে। মাতাল করা মুকুলের মৌ মৌ গন্ধে মুখরিত চারপাশ। কিছু মুকুল নাক ফুলের মতো আকার ধারণ করেছে। আবার দুই-একটি আকার পেয়েছে মটরদানার মতো। এমন অবস্থায় হঠাৎ বৃষ্টিতে রাজশাহীর আম চাষিদের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে। তারা গাছভরা আমের মুকুলের ক্ষতির আশঙ্কা করছেন। গত শনিবার (২২ ফেব্রুয়ারি) রাজশাহী মহানগরের কিছু এলাকা, পুঠিয়া, চারঘাট ও বাঘা উপজেলায় বৃষ্টি হয়েছে। ছিল ধুলি ঝড়। বাঘায় বৃষ্টির সঙ্গে শিলাও পড়েছে। রবিবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) ভোরের আগে বৃষ্টি হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে। একইদিন সকালে বৃষ্টি হয়েছে নওগাঁর বিভিন্ন এলাকায়। এই তিন জেলাতেই সবচেয়ে বেশি আম উৎপাদন হয়। হঠাৎ বৃষ্টিতে উদ্বিগ্ন হয়ে উঠেছেন আম চাষিরা। আরো পড়ুন: খুলনায় দিনভর বৃষ্টি, রবিশস্যের ক্ষতির শঙ্কা বাগেরহাটে বৃষ্টি, উপকার হবে ধানের রাজশাহীর...
ফাল্গুনের শুরুর দিকে আজ শনিবার দুপুরে রাজশাহীতে ৪ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাতের রেকর্ড করা হয়েছে। চাষিরা বলছেন, এই বৃষ্টিতে আমের মুকুলের বড় ধরনের ক্ষতি হয়েছে। বাঘার আমচাষী শফিকুল ইসলাম সানা বলেছেন, বাঘায় বেশ ভালো বৃষ্টি হয়েছে। এই বৃষ্টি আমের মুকুলের সর্বনাশ করেছে। তিনি বলেন, বাঘা উপজেলার অধিকাংশ গাছের মুকুল এসেছে। সেই মুকুলের ফুল ফুটে এখন পরাগায়ন চলছিলো। এমন অবস্থায় বৃষ্টিপাত হওয়ায় অধিকাংশ মুকুল পচে নষ্ট হয়ে যাবে। পুঠিয়া উপজেলার আমচাষী সিরাজুল ইসলাম সমকালকে বলেন, পুঠিয়া উপজেলার মুকুলগুলো কেবল বের হয়েছে। এখনো মুকুলের ফুল ফোটেনি। তাই বৃষ্টিতে মুকুলের ক্ষতি হবে না। তবে বৃষ্টির আগে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাওয়ায় বেশ কিছু মুকুল ঝরে গেছে। এছাড়া যেসব গাছের মুকুল এখনো ফুটে বের হয়নি- সেগুলোতে এখন আর মুকুল বের হবে না। বৃষ্টির পানি পেয়ে...
দেশের অন্যতম আম উৎপাদকারী জেলা নওগাঁয় গত কয়েক বছরের মধ্যে এবার আমের মুকুল বেশি এসেছে। বাতাসে মুকুলের ম-ম ঘ্রাণ। কয়েক দিনের কুয়াশা ছাড়া আবহাওয়া আমের অনুকূলে। মুকুলের আধিক্য দেখে বাম্পার ফলনের আশা করছেন আমচাষি।বাম্পার ফলনের আশা করছেন কৃষিবিদরাও। তাঁরা বলছেন, এখন পর্যন্ত আবহাওয়া আম চাষের অনুকূলে রয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে এ বছর আমের বাম্পার ফলন হবে। এবার গত বছরের চেয়ে ২০০ হেক্টর জমিতে আমের বাগান বেড়েছে। আশা করা হচ্ছে, গত বছরের চেয়ে এবার ২৫ হাজার টন ফলন বাড়তে পারে।কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর নওগাঁ জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘সাধারণত ধরা হয় দীর্ঘস্থায়ীভাবে তাপমাত্রা ১৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে থাকলে আমের মুকুল ধরতে চায় না। তবে এবার জানুয়ারি মাসে দুয়েক দিন করে শৈত্যপ্রবাহ থাকলেও দীর্ঘস্থায়ী শৈত্যপ্রবাহ ছিল না। গড়...