Samakal:
2025-08-15@18:15:35 GMT

বিক্রির আশা ১৭শ কোটি টাকার আম

Published: 15th, May 2025 GMT

বিক্রির আশা ১৭শ কোটি টাকার আম

গুটি আম নামানোর মধ্য দিয়ে রাজশাহীতে শুরু হয়েছে মধুমাস আমের মৌসুম। গতকাল বৃহস্পতিবার প্রথম দিন এসব গুটি আম বিক্রি হয়েছে ১ হাজার ২০০ থেকে দেড় হাজার টাকা মণ দরে। মৌসুমজুড়ে রাজশাহী জেলায় বিক্রির আশা ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকার আম।
জেলা প্রশাসনের নির্ধারিত ম্যাংগো ক্যালেন্ডার অনুযায়ী বৃহস্পতিবার থেকে সব ধরনের গুটি আম নামানোর ঘোষণা ছিল। সে অনুযায়ী চাষিরা সকালে আম নামিয়ে রাজশাহীর বৃহত্তম আমের হাট বানেশ্বরে আনতে শুরু করেন। নিম্নমানের এসব গুটি আম খুব একটা সুস্বাদু হয় না। ফলে আচারের কাজেই বেশি ব্যবহার হয়।
চাষি ও ব্যবসায়ীরা জানান, গুটি আমের মাধ্যমে আম বাজারজাত শুরু হলো। এর পর পর্যায়ক্রমে ২২ মে গোপালভোগ, ২৫ মে লকনা বা লক্ষ্মণভোগ ও রানীপছন্দ, ৩০ মে হিমসাগর বা ক্ষীরশাপাতি, ১০ জুন ল্যাংড়া ও ব্যানানা ম্যাংগো, ১৫ জুন আম্রপালী ও ফজলি, ৫ জুলাই বারি-৪, ১০ জুলাই আশ্বিনা আম এবং ১৫ জুলাই থেকে গৌড়মতি আম নামানো যাবে। এ ছাড়া বারোমাসি কাটিমন ও বারি আম-১১ জাত সারাবছর নামানো যাবে।
গতকাল সকালে চাষিরা গুটি জাতের আম নামাতে শুরু করেন। পরে বাজারে এনে বিক্রি করেন। গত বছরের তুলনায় এ বছর আমের ফলন ভালো হওয়ায় আম চাষিরা খুশি। এবার দামও শুরুতে ভালোই পাচ্ছেন চাষিরা। প্রথম দিনেই পরিপক্ব আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন চাষি ও ব্যবসায়ীরা।  
পুঠিয়ার বিড়ালদহের আমচাষি জিল্লুর রহমান বলেন, গুটি আম পরিপক্ব হয়েছে। গাছে আম পাকতে শুরু করেছে। প্রথম দিন গুটি আম ১ হাজার ৫০০ থেকে ১ হাজার ৬০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। এই দামে খুশি ক্রেতারা। তবে বিক্রেতারা বলছেন, সব কিছুর দাম বেড়েছে। গুটি আমের দাম ২ হাজার টাকা মণ হওয়া প্রয়োজন।  
আমচাষি জহুরুল ইসলাম নামের আরেক আমচাষি বলেন, এ বছর আমের ফলন ভালো হয়েছে। বাজারে দামটা ঠিকভাবে পেলে চাষিরা লাভবান হবেন।
বানশ্বরের আমের হাটে কথা হয় ব্যবসায়ী রফিকুল ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, প্রথম দিন ক্রেতা-বিক্রেতার সমাগম বাজারে ভালোই হয়েছে। যেসব গুটি আম বাজারে উঠেছে তা অন্য বছর ৭০০-৮০০ টাকা মণ দরে বিক্রি হতো। কিন্তু আমচাষিরা বাজারে এসব আম ১ হাজার ৩০০ থেকে ১ হাজার ৫০০ টাকা মণ পেয়েছেন। প্রথম দিন হওয়ায় বাজারদর বেশি ছিল। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক হবে। 
এ বছর জেলায় আম চাষ হয়েছে ১৯ হাজার ৬০৩ হেক্টর জমিতে। আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ২ লাখ ৬০ হাজার ৬ টন। এই আমের বাজার মূল্য ১ হাজার ৭০০ কোটি টাকা।
বানেশ্বর হাটের ইজারাদার জাকির হোসেন সরকার রাসেল বলেন, বাজারে অপরিপক্ব আম যেন না ঢোকে সে জন্য বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করা হয়েছে। কেমিক্যাল মেশানো অপরিপক্ব আম নিয়ে এলে প্রশাসনের কাছে হস্তান্তর করা হবে। 
পুঠিয়ার ইউএনও এ কে এম নূর হোসেন নির্ঝর বলেন, আম আসতে শুরু করেছে। পর্যায়ক্রমে ভালো জাতের আমও আসবে। আম বিক্রি করতে এসে কোনো চাষি যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সে বিষয়ে প্রশাসন সচেতন রয়েছে।
 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ফল প রথম দ ন আম ন ম আমচ ষ

এছাড়াও পড়ুন:

গণ–অভ্যুত্থানের জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি: সিপিবি

গণ–অভ্যুত্থানের এক বছর পেরিয়ে গেলেও জন–আকাঙ্ক্ষা আজও বাস্তবায়িত হয়নি, বরং স্বাধীনতাবিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী মুক্তিযুদ্ধ, বঙ্গবন্ধু ও রাষ্ট্রের চার মূলনীতি লক্ষ্য করে লাগাতার আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হত্যাকাণ্ডের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি) নেতারা এ কথাগুলো বলেছেন।

শুক্রবার বিকেলে পুরানা পল্টনের মুক্তি ভবনের মৈত্রী মিলনায়তনে আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. শাহ আলম। এতে সিপিবির কেন্দ্রীয় কমিটির সহকারী সাধারণ সম্পাদক মিহির ঘোষ, সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রেজা, রাগীব আহসান মুন্না, হাসান তারিক চৌধুরী সোহেল, সদস্য জাহিদ হোসেন খান, ডক্টরস ফর হেলথ অ্যান্ড এনভায়রনমেন্টের সভাপতি অধ্যাপক ডা. শফিকুল ইসলাম এবং বাংলাদেশ যুব ইউনিয়নের সভাপতি খান আসাদুজ্জামান মাসুম সভায় বক্তব্য দেন।

সভায় নেতারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ছিল একটি রাজনৈতিক হত্যাকাণ্ড, যার মধ্য দিয়ে দেশে প্রতিক্রিয়াশীল শক্তির উত্থান ঘটে। তাঁরা অভিযোগ করেন, বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দীর্ঘ সময় রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকা দলগুলো, বিশেষ করে আওয়ামী লীগ বঙ্গবন্ধুর নীতি থেকে সরে গিয়ে মোশতাক-জিয়া-এরশাদের অনুসৃত পথে হেঁটেছে।

সিপিবির নেতারা বলেন, ‘ক্ষমতায় যাওয়ার ও টিকে থাকার জন্য তারা বারবার স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর সঙ্গে আপস করেছে। তারা ভোটাধিকার ও গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছে। দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির লাগাম না টেনে বরং লুটেরা ধনিক শ্রেণিকে রক্ষা করতে সিন্ডিকেটকে প্রশ্রয় দিয়েছে।’ তাঁরা বলেন, এসব কারণেই ২০২৪ সালের জুলাইয়ে ছাত্র-শ্রমিক-জনতার গণ–অভ্যুত্থানের মাধ্যমে শেখ হাসিনার পতন ঘটে এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। তবে দুঃখজনকভাবে এক বছর পার হলেও সেই অভ্যুত্থানের মূল দাবি ও লক্ষ্য পূরণ হয়নি।

আলোচনায় নেতারা আরও বলেন, আজকের বাংলাদেশে প্রয়োজন একটি শক্তিশালী বাম গণতান্ত্রিক বিকল্প শক্তির সমাবেশ। তাঁদের ভাষায়, ‘ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ নয়, মুক্তিযুদ্ধের ধারায় বাংলাদেশকে ফিরিয়ে আনাই হবে বঙ্গবন্ধুর প্রতি প্রকৃত শ্রদ্ধা।’

সম্পর্কিত নিবন্ধ