চাঁপাইনবাবগঞ্জে এবারও পরিপক্ব হলেই আম বাজারে নেওয়া যাবে
Published: 9th, May 2025 GMT
চাঁপাইনবাবগঞ্জে এ বছরও ম্যাঙ্গো ক্যালেন্ডার থাকছে না। অর্থাৎ আম সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে নির্ধারিত কোনো সময়সূচি থাকছে না। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ মুক্তমঞ্চে এক মতবিনিময় সভায় জেলা প্রশাসক আবদুস সামাদ এ তথ্য জানান। এ জেলায় গত কয়েক বছর আমের বাজারজাতে কোনো ক্যালেন্ডার নির্ধারণ করা হয়নি।
জেলা প্রশাসন আয়োজিত ওই সভায় জানানো হয়, এখানকার আমচাষিরা গাছে আম পাকতে না দেখলে আম সংগ্রহ ও বাজারজাত করেন না। এটি চাঁপাইনবাবগঞ্জের একটি ঐতিহ্য। ফলে আলাদা করে সময়সূচির প্রয়োজন পড়ে না।
আঞ্চলিক উদ্যানতত্ত্ব গবেষণা কেন্দ্রের (আম গবেষণা কেন্দ্র) ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, এবার অনেক গাছে তিন দফায় মুকুল এসেছে। ফলে আমও পাকবে তিন সময়ে। ফলে নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা কঠিন। চাষিরা যথাযথ সময়েই আম সংগ্রহ করবেন।
সভায় আমচাষিরা ৫২-৫৪ কেজির পরিবর্তে ৪৫ কেজিকে একটি মানদণ্ড হিসেবে মণ নির্ধারণের দাবি জানান। তাঁরা বলেন, বর্তমানে বাজারে আম বিক্রির ক্ষেত্রে ওজন বেশি ধরা হয়, এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হন। তাঁদের প্রস্তাব, পাকা আমের জন্য ৪২ দশমিক ৫ কেজি ও কাঁচা আমের জন্য ৪৫ কেজিকে মণ হিসেবে নির্ধারণ করা হোক। তাঁরা চান, চাঁপাইনবাবগঞ্জ, রাজশাহী ও নওগাঁ জেলায় একইভাবে এই ওজন নির্ধারিত হোক। এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনারের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান তাঁরা।
আরও পড়ুনকানসাটে ‘আম সম্মেলনে’ সারা দেশের আমচাষি ও ব্যবসায়ীদের মিলনমেলা০৬ মে ২০২৫সভায় আরও বক্তব্য দেন কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের চাঁপাইনবাবগঞ্জের উপপরিচালক ইয়াছিন আলী, হর্টিকালচার সেন্টারের উপপরিচালক মুঞ্জুরে মওলা, জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আফাজ উদ্দিন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবুল কালাম সাহিদ, শিবগঞ্জের ভারপ্রাপ্ত ইউএনও তৌফিক আজিজ, রেলওয়ের পশ্চিম অঞ্চলের কমার্শিয়াল ম্যানেজার আনোয়ার হোসেন, কৃষি বিপণন কর্মকর্তা মমিনুল হক, কৃষি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মুনজের আলম, ম্যাঙ্গো ফাউন্ডেশনের আহ্বায়ক আহসান হাবীব, ম্যাঙ্গো প্রডিউসার কো-অপারেটিভ সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক ইসমাইল খান প্রমুখ।
.উৎস: Prothomalo
কীওয়ার্ড: প ইনব বগঞ জ
এছাড়াও পড়ুন:
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি অনুমোদনের দাবিতে শিক্ষার্থীদের ৪৮ ঘণ্টার সময়সীমা
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণ প্রকল্পের ডিপিপি (উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাব) দ্রুত অনুমোদন ও বাস্তবায়নের দাবিতে সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে মানববন্ধন করেছেন শিক্ষার্থীরা। আজ বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে ঢাকা-বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কের হাটিকুমরুল গোলচত্বর এলাকায় ঘণ্টাব্যাপী এ কর্মসূচি পালিত হয়। এ সময় তাঁরা দাবি বাস্তবায়নে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দেন।
মানববন্ধনে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা জানান, স্থায়ী ক্যাম্পাসের ডিপিপি দ্রুত অনুমোদনের জন্য যদি সরকারের কাছে থেকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কোনো আশ্বাস না পাওয়া যায়, তাহলে নির্ধারিত সময়ের পর ঢাকার সঙ্গে উত্তরবঙ্গের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করা হবে।
শিক্ষার্থীদের ভাষ্য, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিপিপির অনুমোদন নিয়ে ক্রমাগত অবহেলা ও কালক্ষেপণে তাঁরা চরমভাবে হতাশ ও ক্ষুব্ধ। এ জন্য ২৪ জুলাই থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা পৃথক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে আন্দোলন কর্মসূচি ঘোষণা করেছে। এই শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের অংশ হিসেবে মানববন্ধন, মহাসড়কে প্রতীকী ক্লাস, প্রতিবাদী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা কর্মসূচি পালিত হচ্ছে। তবে সরকারের তরফ থেকে এ পর্যন্ত দৃশ্যমান কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি।
এর আগে আজ সকাল থেকে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারীরা অর্ধবেলা প্রশাসনিক কর্মবিরতি দিয়ে বগুড়া-নগরবাড়ী মহাসড়কে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে প্রকল্পটি প্রস্তাবিত হয় ৯ হাজার ২০০ কোটি টাকায়। এরপর সাতবার সংশোধনের পর সবশেষ ৫১৯ কোটি ১৫ লাখ টাকায় নেমে আসে। প্রকল্প মেয়াদ ধরা হয়েছে ২০২৫ সালের মার্চ থেকে ২০২৯ সালের ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়টির বাংলা, সমাজবিজ্ঞান, অর্থনীতি, সংগীত ও ব্যবস্থাপনা নামে পাঁচটি বিভাগে মোট শিক্ষার্থীর সংখ্যা ১ হাজার ২০০ জন। সেই সঙ্গে আছেন ৩৪ জন শিক্ষক, ৫৪ কর্মকর্তা ও ১০৭ জন কর্মচারী। পৌর শহরের শাহজাদপুর মহিলা কলেজ, সাইফুদ্দিন ইয়াহিয়া ডিগ্রি কলেজসহ ভাড়া করা দুটি বাড়িতে চলছে বিশ্ববিদ্যালয়টির একাডেমিক ও প্রশাসনিক কার্যক্রম।