আমের বাজারে চাঁপাইনবাবগঞ্জের প্রসিদ্ধ জাতগুলোর মধ্যে ক্ষীরশাপাতি ও ল্যাংড়া আম পাওয়া গেলেই ধরে নেওয়া হয়, আমের ভরা মৌসুম শুরু হয়ে গেছে। ভরা মৌসুম শুরু হলেও সারা দেশের মধ্যে সবচেয়ে বড় আমের বাজার হিসেবে খ্যাত চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের আমের বাজার তেমনভাবে জমে ওঠেনি। আর শুরুতে দুই দিন থেকে আমের বাজার পড়েছে ছুটির ফাঁদে। এতে প্রতি মণে দাম কমেছে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। কোনো কোনো ক্ষেত্রে আরও বেশি।

আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে কানসাট আমের বাজারে কথা হয় শিবগঞ্জের শেখটোলা গ্রামের আমচাষি অপু ইসলামের সঙ্গে। তিনি বলেন, সাড়ে ৯ মণ আম নিয়ে তিনি বাজারে আছেন সকাল পৌনে নয়টা থেকে। রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে থাকতে থাকতে মেজাজ খারাপ। পৌনে দুইটার দিকে আম বিক্রি করেছেন ১৭০০ টাকা মণ দরে। অথচ গতকাল বুধবার এই পরিমাণ আম বিক্রি করেছেন ২৩০০ টাকা দরে।

কানসাটের আমচাষি ও ব্যবসায়ী রায়হান আলী প্রথম আলোকে বলেন, গত দুই দিনে আমের দাম কমেছে প্রতি মণে ২০০ থেকে ৪০০ টাকা। দুই দিন থেকে কুরিয়ার বন্ধ। অনলাইনের বিক্রেতারা বাজারে নেই। ফলে বাজারে আমের দাম কমেছে। অন্যদিকে ঈদ উপলক্ষে বাজারে আমের আমদানি কম থাকার ধারণা করা হলেও কমেনি। চাষিরা বাজারে আম নিয়ে এলে সেটা ঘুরিয়ে নিয়ে যান না, দাম কম-বেশি যা-ই হোক, বিক্রি করে বাড়ি ফেরেন।

শিবগঞ্জের চককির্তি গ্রামের আমচাষি রুবেল আলী বললেন, গতকাল ক্ষীরশাপাতি আম মান ভেদে ২২০০ থেকে ৩৬০০ টাকা মণ বিক্রি হয়েছে। সেই আম আজ বিক্রি হয়েছে ১৭০০ থেকে ৩০০০ টাকা মণ। মান ভেদে ল্যাংড়া আমের দাম ছিল প্রতি মণ ১৪০০ থেকে ২৪০০ টাকা। আজ সেটা বিক্রি হয়েছে ১২০০ থেকে ১৮০০ টাকা মণ।

বাজারে অনেক আম, তবে ক্রেতা কম। ফলে দাম কমেছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার কানসাটের আমের বাজার.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: আম র ব জ র দ ম কম ছ বগঞ জ র শ বগঞ জ

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ