2025-06-03@03:43:06 GMT
إجمالي نتائج البحث: 10

«প হ ড়ধস র»:

    কয়েকদিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেটসহ উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জনজীবন যখন চরম দুর্ভোগে পতিত, তখন সিলেট হইতে আসিল গভীরতর বেদনাদায়ক দুঃসংবাদ। সমকালসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমসূত্রে জানা যাইতেছে, শনিবার গভীর রাত্রিতে গোলাপগঞ্জ উপজেলার বখতিয়ারঘাট এলাকায় টিলা ধসিয়া এক পরিবারের চারজন ঘুমন্ত অবস্থাতেই প্রাণ হারাইয়াছেন। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান জানাইয়াছেন, কয়েকদিন ধরিয়া টিলাধসের আশঙ্কায় উক্ত এলাকায় মাইকিংযোগে সংশ্লিষ্ট সকলকে সতর্ক করা হইতেছিল। স্পষ্টত, সেই সতর্কবার্তা কাহারও কর্ণকুহরে প্রবেশ করে নাই। আমরা মনে করি, স্থানীয় প্রশাসনও দায়িত্ব উপেক্ষা করিতে পারে না। ভঙ্গুর পাহাড়ের পাদদেশ যে বসবাসের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ– তাহা কাহারও অজানা নহে। কিন্তু ইহাও সত্য, এহেন ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে বসবাসকারীরা প্রায় ব্যতিক্রমহীনভাবে দরিদ্র ও অসহায়। প্রাণ হারানো গৃহকর্তারও বিকল্প বাসস্থান ছিল না। নিতান্ত নিয়তির উপর ভরসা করিয়াই যে তিনি সপরিবার প্রশাসনের সতর্কবার্তা সত্ত্বেও পাহাড়ের পাদদেশে থাকিয়া গিয়াছিলেন,...
    কয়েক দিনের টানা বৃষ্টিতে সিলেটসহ উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের জনজীবন চরম দুর্ভোগে পড়েছে। সিলেটের গোলাপগঞ্জে গভীর রাতে টিলাধসে একই পরিবারের চারজন মারা গেছেন। চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহে জলাবদ্ধতা, পাহাড়ধস ও সড়কধসের ঘটনায় থমকে গেছে স্বাভাবিক চলাচল। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পাহাড়ধসের কারণে যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। নদনদীর পানি বিপৎসীমার ওপরে প্রবাহিত হওয়ায় নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, আজ সোমবার ময়মনসিংহ, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অনেক স্থানে বৃষ্টি হতে পারে।  শনিবার রাত ২টার দিকে সিলেটের গোলাপগঞ্জ উপজেলার লক্ষ্মণাবন্দ ইউনিয়নের বখতিয়ারঘাট এলাকায় টিলা ধসে পড়ায় এক পরিবারের চারজন নিহত হন। টিলার পাদদেশে একটি আনারস বাগানের পাশের ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন রিয়াজ উদ্দিন (৫৫), তাঁর স্ত্রী রহিমা বেগম, মেয়ে সামিয়া বেগম (১৪) ও ছেলে আলী আব্বাস (৯)। হঠাৎ...
    ভারী বর্ষণে খাগড়াছড়ি জেলার অন্তত পাঁচটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এসব ঘটনায় কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। তবে একটি বাড়ির আংশিক ক্ষতি হয়েছে। পাশাপাশি পাহাড়ি ঢলে জেলার দীঘিনালা উপজেলার কিছু এলাকাসহ নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। প্রচণ্ড বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কায় বান্দরবানের লামার বেশ কয়েকটি পর্যটনকেন্দ্র সাময়িকভাবে বন্ধ রেখেছে প্রশাসন। খাগড়াছড়িতে গতকাল শনিবার থেকে আজ রোববার দুপুর পর্যন্ত ২৪ ঘণ্টায় জেলায় ৯৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয় বলে জানান দীঘিনালায় অবস্থিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সুভূতি চাকমা।আজ ভোরে জেলা সদরের ২৬ কিলোমিটার দূরে মহালছড়ির ধুমনীঘাট এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। এতে মহালছড়ির সঙ্গে জালিয়াপাড়ার যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ ছাড়া জেলা সদরে রাজশাহী টিলা এলাকায় পাহাড় ধসে পড়ায় বন্ধ হয়ে গেছে খাগড়াছড়ির সঙ্গে ভুয়াছড়ির সড়ক যোগাযোগ।খাগড়াছড়ি জেলা সদরের আলুটিলা ও ন্যান্সিবাজার এলাকায় সড়কের ওপর...
    নিম্নচাপ কেটে গেলেও উপকূলে দুর্ভোগ কমেনি। বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপটি দুর্বল হয়ে বর্তমানে সুস্পষ্ট লঘুচাপে পরিণত হয়েছে। তবে এর আগে দু’দিন ধরে হওয়া টানা বৃষ্টি উপকূলের জনজীবনে এনেছে চরম দুর্ভোগ। জলাবদ্ধতা, পাহাড় ও বেড়িবাঁধে ধস, রাস্তা ভেঙে যাওয়া, ঘরবাড়িতে পানি ঢুকে পড়া, নৌযান চলাচলে বিঘ্ন– সব মিলিয়ে বিপদে আছেন লাখ লাখ মানুষ। গতকাল শুক্রবার আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নিম্নচাপ দুর্বল হয়ে গেলেও এর প্রভাবে সাত বিভাগের অনেক এলাকায় আরও এক দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের আশঙ্কা রয়েছে। নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সতর্কতা সংকেত জারি রয়েছে, সমুদ্রবন্দরগুলোতেও ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত বহাল রাখা হয়েছে। ফলে উপকূলীয় অঞ্চলে মাছ ধরাসহ সব ধরনের নৌযান চলাচলে তৈরি হয়েছে বাধা। দু’দিনের ভারী বর্ষণে পটুয়াখালী, ভোলা, বরগুনা, নোয়াখালী, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন উপকূলীয় জেলায় নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। মাছের ঘের তলিয়ে...
    নিম্নচাপের প্রভাবে টানা বৃষ্টিতে রাঙামাটির বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ধসের ঝুঁকি বেড়েছে। ইতিমধ্যে কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এ পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঝুঁকিতে থাকা মানুষজন আশ্রয়কেন্দ্রে ছুটছেন।স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার ভোর থেকে সারা দিন কখনো মাঝারি, কখনো গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি হয়েছে। মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ভারী বৃষ্টিপাত হয়। সকাল ১০টার দিকে কিছু সময় বিরতির পর দুপুরের পর আবারও বৃষ্টি শুরু হয়। এতে রাঙামাটি শহরসহ আশপাশের এলাকায় পাহাড়ধসের ঝুঁকি বেড়ে গেছে।গতকাল মধ্যরাত থেকে ভারী বৃষ্টি ও ঝোড়ো বাতাসে বেশ কয়েকটি স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে ও গাছ উপড়ে সড়কে পড়েছে। ফলে কিছু সড়কে যানচলাচল ব্যাহত হচ্ছে। পৌরসভা এলাকায় ২৩টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। এর মধ্যে দুটি আশ্রয়কেন্দ্রে ১৬টি পরিবারের অন্তত ৭০ জন আশ্রয় নিয়েছেন। তাঁদের জন্য শুকনা খাবার...
    বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত গভীর নিম্নচাপটি স্থল গভীর নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। এর প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে বেড়েছে পাহাড় ধসের ঝুঁকি। এরই মধ্যে শুক্রবার (৩০ মে) সকালে রাঙামাটি শহরের যুব উন্নয়ন এলাকার একটি ঘরের ওপর ধসে পড়েছে পাহাড়ের মাটি। অধিকতর ধস এড়াতে ত্রিপল দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে স্থানটি। শুধু যুব উন্নয়ন এলাকাই নয়; ছোট ছোট ধস হয়েছে লোকনাথ মন্দির সংলগ্ন ও মোনাদাম এলাকায়। মাটি রক্ষার জন্য দেওয়া বস্তা ধসে ঢুকে গেছে ঘরের ভেতর। রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কে উপজেলা পরিষদের সামনে আর্মি ক্যাম্পের সৌন্দর্য বর্ধনকারী কৃষ্ণচূড়া গাছটি উপড়ে পড়েছে। এতে যান চলাচলে সমস্যা সৃষ্টি হয়। পরে ফায়ার সার্ভিসের দ্রুত পদক্ষেপের কারণে সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।  আরো পড়ুন: আর কতদিন থাকবে বৃষ্টি? রাতে শুরু হওয়া বৃষ্টি বিকেলেও...
    বান্দরবানে টানা দুই দিনের ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের ঘটনায় রুমা উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরের সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আজ শুক্রবার দুপুর থেকে ওয়াইজংশন-রুমা সড়কের একটি অংশে পাহাড় ধসে পড়ায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় এবং পাহাড়ধসের আশঙ্কায় জেলা শহর ও উপজেলার বিভিন্ন স্থানে আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।জেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভা শেষে জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আসিফ রায়হান জানান, সম্ভাব্য দুর্যোগ মোকাবিলায় জেলার ৭টি উপজেলায় ২২০টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা রাখা হয়েছে। তবে এখনো আশ্রয়কেন্দ্রে কেউ আসেননি। সাঙ্গু ও মাতামুহুরী নদীর পানি বিপৎসীমার কাছাকাছি রয়েছে। পাহাড়ধস ও নিম্নাঞ্চল ডুবে যাওয়ার আশঙ্কায় ঝুঁকিপূর্ণ বসতবাড়ির বাসিন্দাদের আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে।বান্দরবান-রুমা সড়কের পরিবহন মালিক ও শ্রমিকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ওয়াইজংশন থেকে দুই কিলোমিটার পর সড়কের ওপর...
    চট্টগ্রাম নগরী ও জেলার সবগুলো উপজেলায় বৃহস্পতিবার রাত থেকে টানা বর্ষণ অব্যাহত রয়েছে। অতি ভারী বৃষ্টিতে তলিয়ে গেছে নগর ও বিভিন্ন উপজেলার নিম্নাঞ্চল। টানা বৃষ্টিপাতে পাহাড়ধসেরও আশঙ্কা করা হচ্ছে।  এদিকে এমন বৈরী আবহাওয়ার কারণে উত্তাল রয়েছে সমুদ্র। এতে চট্টগ্রাম বন্দরের বহিঃনোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে লাইটার জাহাজে পণ্য খালাস বন্ধ রয়েছে। শুক্রবার (৩০ মে) চট্টগ্রামের পতেঙ্গা আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস কর্মকর্তা ইসমাইল ভুঁইয়া রাইজিংবিডিকে জানান. আজ সকাল ৯টা পর্যন্ত পূর্ববর্তী ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১৯২ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড হয়েছে। সমুদ্রবন্দরগুলোকে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত এবং নদী বন্দরগুলোকে ২ নম্বর সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। এদিকে বৈরী আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকায় ঢেউয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অন্তত ২টি লাইটার জাহাজ নোঙর ছিড়ে পতেঙ্গায় তীরবর্তী পাথরে আটকে পড়েছে। এছাড়া বহিঃনোঙ্গরে মাদার ভেসেল থেকে...
    ‘মাত্র ১০ মিনিট আগে ঘর থেকে বের হয়েছিল। বলেছিল, আম্মু ঘরে ময়লা ছিল। আমি ঝাড়ু দিয়েছি। একটু খেলতে যাচ্ছি। একটু পর খবর আসে আমার আব্বা নেই। আল্লাহ এটা কী হলো।’বিলাপ করতে করতে কথাগুলো বলছিলেন রোফা আকতার। বৃহস্পতিবার সকালে চট্টগ্রামের আনোয়ারা উপজেলায় কোরিয়ান রপ্তানি প্রক্রিয়াজাতকরণ অঞ্চল (কেইপিজেড) এলাকায় পাহাড়ধসে মাটিচাপা পড়ে মারা গেছে তাঁর শিশুসন্তান মিসবাহ হোসেন (১১)। এ ঘটনায় মো. রোহান নামের আরেক শিশুরও মৃত্যু হয়েছে। তার বয়সও ১১ বছর।চট্টগ্রামে কেইপিজেড এলাকায় পাহাড় ধসে মারা যাওয়া দুই শিশু
    বাংলাদেশে সচরাচর যেসব বিন্না ঘাস চোখে পড়ে, সেগুলোর শিকড় ছড়িয়ে যায়, সোজা গভীরে যায় না। অনেকটা বাঁশের আড়ার (ঝাড়) মতো। ঢেউ যখন নদীর পাড়ের তলদেশ থেকে মাটি সরায়, তখন বিন্নার শিকড় তা ঠেকাতে পারে না। কল্পনা করুন, যদি বাঁশের শিকড় সোজা গভীরে যেত, তাহলে নদী তো ছাড়, পাহাড়ি ঢলেও কিছু হতো না। ফলে এগুলো নদীভাঙন ঠেকাতে অক্ষম।অথচ শিলিগুড়িতে তিস্তার ভাঙন ও থাইল্যান্ডে পাহাড়ধস ঠেকিয়ে রাখে একধরনের বিন্না ঘাস। শিলিগুড়ি বা থাইল্যান্ডের এই বিন্না ঘাস সোজা মাটির ২০ ফুট পর্যন্ত গভীরে চলে যায়। বছরখানেকের মধ্যেই থোপ বা ঝাড় তৈরি হয়। অর্থাৎ ইরি ধান লাগানোর মতো করে চরের চারদিকে চারা রোপণ করা গেলে এক বছরেই ঘন বেষ্টনী তৈরি হবে।পাহাড়ের পার্শ্বঢাল রক্ষায় বিন্না ঘাসের জুড়ি নেই। তাই প্রকৃতিতে অনেকটা অনাদরে জন্ম নিলেও এই...
۱