টানা বর্ষণ ও পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির দীঘিনালায় মাইনী নদীর পানি বেড়ে নিচু এলাকা প্লাবিত হয়েছে। আজ বুধবার সকাল থেকে দীঘিনালার মেরুং ইউনিয়নের বিভিন্ন স্থানে পানি উঠতে শুরু করেছে। এতে চিটাইগ্যাংয়া পাড়া, নিচের বাজারসহ কয়েকটি পাড়ার লোকজন একটি আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। দীঘিনালা-লংগদু সড়কের হেড কোয়ার্টার এলাকায় সড়ক ডুবে যাওয়ার রাঙামাটির লংগদুর সঙ্গে সারা দেশের সড়ক যোগাযোগ দুপুর থেকে বন্ধ হয়ে গেছে। বৃষ্টি অব্যাহত থাকলে মেরুং বাজার ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মেরুং ইউনিয়ন নারী ইউপি সদস্য জমিলা খাতুন বলেন, ‘আমাদের নিচু এলাকা গত জুনের শুরুতেও ডুবেছে। এবারও একই অবস্থা। বৃষ্টি বাড়ছে । নদীতে পানি বাড়লে আমাদের মেরুং বাজারও ডুবে যাবে। ইতিমধ্যে ৫০ পরিবার ছোট মেরুং বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে। আরও মানুষ আসছে। তাদের জন্য সরকারিভাবে ত্রাণসহায়তা দেওয়া হবে।’

দীঘিনালা দ্বিতীয় শ্রেণির আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের কর্মকর্তা সূভূতি চাকমা বলেন, খাগড়াছড়িতে বিকেল পর্যন্ত ১০৫ মিলিমিটার বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে। এতে বেড়েছে পাহাড়ধসের ঝুঁকি।

খাগড়াছড়ি পৌর শহরের শালবন, কুমিল্লা টিলা, সবুজবাগসহ বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ের ওপর ঝুঁকি নিয়ে বসবাস করছে সাড়ে তিন হাজার পরিবার। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসকারীদের নিরাপদে আশ্রয়কেন্দ্রে অবস্থান নিতে মাইকিং করছে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা প্রশাসন। ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের জন্য জেলা সদরে তিনটি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে।

প্রাণহানি এড়াতে ঝুঁকিপূর্ণ পাহাড়ে বসবাসকারীদের আশ্রয়কেন্দ্রে যাওয়ার অনুরোধ করেছেন জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার । তিনি বলেন, ‘আমি বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করেছি। অনেকে পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাস করছেন। টানা বৃষ্টিতে পাহাড়ধসের আশঙ্কা বেড়েছে। পাহাড়ের মাটি নরম হয়ে গেছে। কিন্তু বারবার অনুরোধ করার পরও তারা বাড়ি ছেড়ে আশ্রয়কেন্দ্রে আসছেন না। তারপরও আশ্রয়কেন্দ্রে যাঁরা গেছেন, আমরা তাঁদের রান্না করা খাবার ও পানি  দিচ্ছি।’

এদিকে, খাগড়াছড়ির সিন্দুকছড়ি জালিয়াপাড়া সড়কের কয়েকটি এলাকায় মাটি ধসের ঘটনা ঘটেছে। খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপদ বিভাগের  নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

মাকসুদুর রহমান বলেন, সিন্দুকছড়ি-জালিয়াপাড়া সড়কে কয়েকটি স্থানে সড়কের মাটি ধসে গেছে। সড়ক বিভাগের কর্মীরা গিয়ে মাটি সরিয়ে নেয় পরে। যান চলাচল স্বাভাবিক রয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: বসব স

এছাড়াও পড়ুন:

কর ফাঁকির দায়ে আনচেলত্তির এক বছরের কারাদণ্ড

কর ফাঁকির দায়ে ব্রাজিল কোচ কার্লো আনচেলত্তিকে এক বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন স্পেনের একটি আদালত। পাশাপাশি প্রায় চার লাখ ইউরো আর্থিক জরিমানাও করা হয়েছে তাঁকে।

৬৬ বছর বয়সী আনচেলত্তি মে মাসে ব্রাজিল কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন। এর আগে ২০১৩ থেকে ২০১৫ ও ২০২১ থেকে ২০২৫ সময়ে দুই দফায় স্প্যানিশ ক্লাব রিয়াল মাদ্রিদের কোচ ছিলেন তিনি।

স্পেনের কর কর্তৃপক্ষের অভিযোগ ছিল, ইতালিয়ান এই কোচ ২০১৪ ও ২০১৫ সালে ইমেজ স্বত্ব ও অন্যান্য উৎস থেকে যে অর্থ আয় করেছিলেন, তা গোপন করে ১০ লাখ ইউরোর বেশি কর বিভাগকে পরিশোধ করেননি।  

এপ্রিলে বিচার কার্যক্রম শুরু হলে আনচেলত্তি আদালতকে বলেছিলেন, বেতনবহির্ভূত আয়ের বিষয়গুলো দেখভালের দায়িত্ব তিনি তাঁর ব্রিটিশ উপদেষ্টা ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের ওপর ছেড়ে দিয়েছিলেন। ‘প্রতারণা হয়ে থাকতে পারে’ এমন কিছু তিনি কখনোই করেননি। বিপরীতে স্পেনের কর কর্তৃপক্ষ আনচেলত্তিকে দোষী অভিযোগ করে তাঁর ৪ বছর ৯ মাস কারাদণ্ডের আবেদন করে।

আরও পড়ুনক্লাব বিশ্বকাপে গোল্ডেন বুটের লড়াইয়ে এগিয়ে যে দুজন০৭ জুলাই ২০২৫

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়, বুধবার স্পেনের আদালত আনচেলত্তিকে ২০১৪ সালের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে রায় দিয়েছেন। ‘কর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অপরাধ’–এর দায়ে আনচেলত্তিকে ১২ মাসের কারাদণ্ড ও ৩ লাখ ৮৬ হাজার ইউরো জরিমানা করা হয়েছে। তবে ২০১৫ সালের অভিযোগ থেকে তাঁকে খালাস দেওয়া হয়েছে।

তবে স্পেনের আইন অনুযায়ী যেসব অপরাধ হিংসাত্মক নয় এবং অপরাধী আগে কখনো দণ্ডিত হননি, তাঁদের ক্ষেত্রে দুই বছরের নিচের কারাদণ্ড সাধারণত জেলে কাটাতে হয় না। ফলে আনচেলত্তিকে কারাভোগ করতে হবে না।

আরও পড়ুনআর্জেন্টিনা, ব্রাজিল, ফ্রান্স, ইংল্যান্ডের কোচরা কে কত টাকা বেতন পান১৫ মে ২০২৫

সম্পর্কিত নিবন্ধ