টানা বর্ষণে রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলার মারিশ্যা-দিঘিনালা সড়কের একাধিক স্থানে পাহাড়ের মাটি ধসে পড়েছে। এতে ওই সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। ফলে, বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে অন্যান্য জেলা-উপজেলার সড়কে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। 

রবিবার (৩ আগস্ট) সকালে খবর পেয়ে সেনাবাহিনী, সড়ক বিভাগ ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচলের উপযোগী করতে কাজ করছেন।  

খাগড়াছড়ি সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.

মাকসুদুর রহমান বলেছেন, মারিশ্যা-দিঘিনালা সড়কের ৯ ও ১৪ কিলো এলাকায় দুই জায়গায় পাহাড় ধসে যান চলাচল বন্ধ হয়েছে। খবর পেয়ে সড়ক বিভাগের সদস্যরা সড়ক থেকে মাটি সরিয়ে যান চলাচলের উপযোগী করতে কাজ শুরু করেছেন। পানির কারণে মাটি সরানোর ইকুইমেন্টগুলো পৌঁছতে একটু সময় লেগেছে। আশা করছি, দুপুরের মধ্যে যান চলাচল স্বাভাবিক হবে।

আরো পড়ুন:

ফিরছেন সাজেকে আটকে পড়া পর্যটকরা

ভারী বৃষ্টিতে পাহাড়ধস, সাজেকে আটকা চার শতাধিক পর্যটক 

বাঘাইছড়ি উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শিরিন আখতার বলেছেন, মাটি সরানোর কাজে সেনাবাহিনী, ফায়ার সার্ভিস ও সড়ক বিভাগ কাজ করছে। দ্রুতই এ সড়কে যান চলাচল শুরু হবে।

ঢাকা/শংকর/রফিক

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর প হ ড় ধস উপজ ল র ব ঘ ইছড়

এছাড়াও পড়ুন:

কুয়েতে প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় কঠোর দূতাবাস

প্রজাতন্ত্রের কর্মকর্তারা যখন নিয়ম রক্ষায় কঠোর হন, তখন স্বার্থান্বেষী মহল প্রায়ই তাদের বিরুদ্ধে নানা ধরনের অপপ্রচার চালায়। দুর্নীতিমুক্ত সমাজ এবং সুশৃঙ্খল রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থার জন্য এ কঠোরতা অপরিহার্য। কুয়েতে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাস তাদের কার্যক্রম ঢেলে সাজিয়েছে, যা সাধারণ প্রবাসীদের কাছে প্রশংসিত হলেও দালাল চক্রের চক্ষুশূল হয়ে দাঁড়িয়েছে।

কুয়েতে বাংলাদেশি কমিউনিটির নেতা আহমদ উল্লাহ বলেছেন, কুয়েতে বাংলাদেশ দূতাবাস আগের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন অনেক ভালো সেবা দিচ্ছে। বিশেষ করে, নতুন ভিসা সত্যায়িত করার ক্ষেত্রে দূতাবাস যে যুগান্তকারী পদক্ষেপ নিয়েছে, তা প্রবাসীদের ভবিষ্যৎ জীবনকে আরো নিরাপদ করতে সহায়ক হবে।

আগে নতুন ভিসা সত্যায়িত করার জন্য কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তির প্রয়োজন হতো না, যা দালালদের জন্য অবাধ সুযোগ তৈরি করেছিল। বর্তমানে রাষ্ট্রদূত মেজর জেনারেল সৈয়দ তারেক হোসেনের নির্দেশে কঠোর নিয়ম চালু করা হয়েছে। এখন থেকে ভিসা সত্যায়িত করতে হলে অবশ্যই নিয়োগকারী ব্যক্তি বা তার নিবন্ধিত প্রতিনিধিকে উপস্থিত থাকতে হবে। 

এ নিয়ম প্রবাসীদের স্বার্থ সুরক্ষায় অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করেন বাংলাদেশ প্রেস ক্লাব কুয়েতের সভাপতি মঈন উদ্দিন সরকার সুমন।

তিনি বলেন, এ কঠোরতার কারণে ভিসা দালালরা নিজেদের ইচ্ছামতো ভিসা সত্যায়িত করতে পারছে না। ফলে, দূতাবাস থেকে সত্যায়িত না হওয়ায় তারা বাংলাদেশ থেকে নতুন লোক আনতে পারছে না। এতে দালাল চক্রের আর্থিক ক্ষতি হওয়ায় তারা দূতাবাস ও রাষ্ট্রদূতের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের নেতিবাচক মন্তব্য ও ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে।

সম্প্রতি কুয়েতের ক্যাপ টেক নামের একটি কোম্পানিতে কাজ করা ১৩০ জন বাংলাদেশি শ্রমিক তাদের চার মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে ধর্মঘট করেন। কুয়েতের আইন অনুযায়ী ধর্মঘট নিষিদ্ধ হওয়ায় স্থানীয় প্রশাসন শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয় এবং ইতোমধ্যে অনেককে দেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে।

মঈন উদ্দিন সরকার সুমন বলেছেন, রাষ্ট্রদূত সৈয়দ তারেক হোসেন প্রবাসী বাংলাদেশি শ্রমিকদের সমস্যা সমাধানে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। প্রেস ক্লাবের সাংবাদিক নেতারা রাষ্ট্রদূতের সঙ্গে দেখা করে ভুক্তভোগী শ্রমিকদের স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিষয়ে আলোচনা করেছেন। এই শ্রমিকদের দেশে ফেরত পাঠানোর পেছনে নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান ও ভিসা দালালদের যোগসাজশ থাকতে পারে। কারণ, পুরনো শ্রমিকদের ফেরত পাঠিয়ে তারা নতুন করে ভিসা বিক্রি করে আরো বেশি লাভবান হতে চাইছে।

তিনি বলেন, দূতাবাসের প্রতিটি কাজ নিয়মের মধ্যে দিয়ে পরিচালিত হবে এবং প্রবাসীদের স্বার্থ রক্ষায় দূতাবাস সব ধরনের পদক্ষেপ নেবে, এটাই প্রত্যাশা। এই কঠোরতা এবং নিয়ম-শৃঙ্খলা প্রবাসীদের জন্য দীর্ঘমেয়াদে কল্যাণ বয়ে আনবে।

ঢাকা/হাসান/রফিক

সম্পর্কিত নিবন্ধ