রাঙামাটির বাঘাইছড়ি উপজেলায় মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের তিনটি স্থানে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটেছে। এ কারণে আজ রোববার ভোর থেকে সড়কটি দিয়ে সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। এর আগে গতকাল শনিবার গভীর রাতে বৃষ্টির কারণে পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। বাঘাইছড়ি উপজেলার সঙ্গে জেলা সদরসহ ঢাকা-চট্টগ্রামে সড়কপথে যোগাযোগের একমাত্র পথ মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়ক।

যানবাহন চালক ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গেছে, গতকাল শনিবার রাতভর বাঘাইছড়িতে বৃষ্টি হয়। এতে বাঘাইছড়ির মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কের ৯, ১০ ও ১৪ কিলোমিটার এলাকায় পাহাড়ধসের ঘটনা ঘটে। পাহাড় ধসে পড়া মাটি সড়কের ওপর পড়ে। পাহাড়ধসের বিষয়টি না জেনে আজ ভোরে সড়কটিতে গিয়ে যানবাহন নিয়ে আটকে পড়েন অনেক চালক।

বাঘাইছড়ি পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক ও দূরপাল্লার যানবাহন শান্তি পরিবহনের লাইনম্যান মো.

গিয়াস উদ্দিন আজ সকাল সাড়ে আটটার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘পাহাড়ধসের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। আমরা জানতে পেরেছি, তিনটি স্থানে পাহাড়ধস হয়েছে। এখনো ধসে পড়া মাটি সড়ক থেকে সরানোর কাজ শুরু হয়নি।’

সড়ক ও জনপথ বিভাগের খাগড়াছড়ির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বেলা ১১টার দিকে প্রথম আলোকে বলেন, ‘মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে দু-তিনটি স্থানে পাহাড়ধসের কারণে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়কে ধসে পড়া মাটি সরানোর চেষ্টা চলছে। আমরা দেড় থেকে দুই ঘণ্টার মধ্যে মাটি সরানোর কাজ শেষ করতে পারব।’

বাঘাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শিরিন আক্তার বলেন, মারিশ্যা-দীঘিনালা সড়কে পাহাড়ধসে যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। সড়ক থেকে মাটি সরানোর জন্য সড়ক ও জনপথ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: প হ ড়ধস র ব ঘ ইছড়

এছাড়াও পড়ুন:

শেফালি আর দীপ্তিতে নতুন মুম্বাইয়ে নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ভারত

নাবি মুম্বাই। নয়া মুম্বাই। নতুন সেই মুম্বাইয়ে কাল নতুন বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন পেল মেয়েদের ওয়ানডে বিশ্বকাপ। ফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছে ভারত।

দীপ্তি শর্মার করা ৪৬তম ওভারের তৃতীয় বলে নাদিন ডি ক্লার্কের তোলা ক্যাচটি এক্সট্রা কাভারে ভারত অধিনায়ক হারমানপ্রীত কৌরের হাতে জমা হতেই বিশ্ব চ্যাম্পিয়নের আনন্দে মাতল পুরো ভারত। দক্ষিণ আফ্রিকা ২৪৬ রানে অলআউট, ভারত ৫২ রানে জয়ী।

ভারতের জয়ের উৎসব অবশ্য শুরু হয়ে গিয়েছিল পাঁচ ওভার আগেই। লরা ভলভার্টকে ফিরিয়ে পথের কাঁটা উপড়ে ফেলেই উদ্‌যাপন শুরু করেছিল ভারতীয়রা। অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক চোখ রাঙাছিলেন ভারতের উৎসব ভন্ডুল করার। কিন্তু সেঞ্চুরি করার পরপরই ক্যাচ তুললেন ভলভার্ট। আর সেই ক্যাচ নিতে গিয়ে আমানজোত কৌর ভারতের প্রায় শত কোটি মানুষের হৃৎস্পন্দন প্রায় থামিয়ে দিয়েছিলেন। একবার নয়, দুবার নয়, তৃতীয়বারের চেষ্টাতেই ক্যাচ নিতে পারেন আমানজোত। এবারও বোলার সেই অফ স্পিনার দীপ্তি শর্মা।

৯৮ বলে ১০১ রান করে ভলভার্ট যখন ফিরলেন দক্ষিণ আফ্রিকার স্কোর ৪১.১ ওভারে ২২০/৭। এরপর শুধু আনুষ্ঠানিকতাই ছেড়েছে ভারত। দীপ্তি আরও ২টি উইকেট নিয়ে পেয়ে গেছেন ৫ উইকেট। আর ভারত হয়ে গেছে চ্যাম্পিয়ন। এর আগে ব্যাট হাতেও ৫৮ বলে ৫৮ রানের দারুণ এক ইনিংস খেলেছেন দীপ্তি।

ব্যাট হাতে ৮৭ রান করা শেফালি বর্মা বল হাতে নিয়েছেন ২ উইকেট

সম্পর্কিত নিবন্ধ