“আমরা চাই বড় বড় বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে বিনিয়োগ করুক”
Published: 13th, January 2025 GMT
নারায়ণগঞ্জে দুটি রপ্তানিমুখি পোশাক শিল্পের প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার। এসময় তার সাথে আরো উপস্থিত ছিলেন ইইউর বাংলাদেশ ডেলিগেশনের ট্রেড এডভাইজার আবু সাইদ বেলাল।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বেলা এগারোটার দিকে রাষ্ট্রদুত প্রথমে নারায়ণগঞ্জের মদনপুরে ইপিলিয়ন গ্রুপে যান। সেখানে পোশাক কারখানা পরিদর্শন করেন। পরে বেলা সাড়ে বারোটায় নীট গার্মেন্ট মালিকদের সংগঠন বিকেএমইএতে যান। সেখানে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান মালিকদের সাথে কথা বলেন।
এসময় তার সাথে কথা বলেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম, নির্বাহী সভাপতি ফজলে এহসান শামীমসহ অন্যান্য নেতৃবৃন্দ ও গার্মেন্ট মালিকরা।
আলোচনায় বিকেএমইএর সভাপতি হাতেম মাইকেল মুলারকে বাংলাদেশের গার্মেন্ট শিল্পের মান নিয়ে নানরকম ধারণা দেন। বাংলাদেশের তৈরী পোশাক বিশ্বের অন্যান্য দেশের উৎপাদিত পোশাক থেকে মানগত দিক দিয়ে অনেক ভালো।
পোশাক খাতে ব্যবহৃত মেশিন ও ক্যামিকেল সব বিশে^র উন্নত দেশগুলোতে আমদানি করা। যার কারণে পণ্যের গুণগত মান সব সময় বিদেশী ক্রেতার সকল চাহিদা পূরণ করতে পারে।
এছাড়া বাংলাদেশ গার্মেন্ট পণ্য উৎপাদনের জন্য বিশ্বের অন্যান্য দেশের চেয়ে বেশি এগিয়ে। দেশের পোশাক শিল্পের এসব দিক রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন বিকেএমইএর সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম।
পরে রাষ্ট্রদূত মাইকেল মুলার বিকেএমইএর নেতৃবৃন্দরা সংক্ষিপ্ত এক সংবাদ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।
এসময় রাষ্ট্রদূত বলেন, আমি আজকে বাংলাদেশের নীট ওয়ার সেক্টর পরিদর্শন করেছি। বাংলাদেশ বিশ্বের অন্যতম পোশাক উৎপাদনকারী দেশ। কারখানার মালিক ও কর্মচারিদের সাথে আলাপ করেছি, কিভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ককে এগিয়ে নেয়া যায়।
আমরা চাই বাংলাদেশে ধীরে ধীরে বড় বড় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করুক।
.উৎস: Narayanganj Times
এছাড়াও পড়ুন:
সিদ্ধিরগঞ্জে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষ, পাল্টাপাল্টি ধাওয়া
নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জে জমিসংক্রান্ত বিরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও গুলির শব্দ শোনার কথা জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা। সংঘর্ষে একজন আহত হয়েছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার রাত আটটার দিকে সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, জেলা বিএনপির সাবেক আইনবিষয়ক সম্পাদক শাহ আলম মানিক ও বিএনপি-সমর্থক রুহুল আমিনের অনুসারীদের মধ্যে এই সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে বাবলু (৩০) নামের এক যুবক গুরুতর আহত হন। তাঁকে খানপুরের ৩০০ শয্যা নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে শাহ আলম মানিক প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমি বাড়ির সামনে বসে ছিলাম। হঠাৎ রুহুল আমিন ৫০-৬০ জন অস্ত্রধারী সহযোগী নিয়ে এসে অতর্কিতে হামলা চালায়। শুনেছি, তাঁরা কয়েকটি গুলি ছোড়ে। তবে কেন এই হামলা করেছে, তা আমি জানি না।’
অন্যদিকে রুহুল আমিন বলেন, ‘জমিসংক্রান্ত বিরোধের জেরে মানিক বাবলুকে মারধর করে রক্তাক্ত করেছে। আমরা জানতে গেলে মানিক পালিয়ে যায়। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো হামলা হয়নি; বরং মানিক মিথ্যা অভিযোগ করে আমাকে ফাঁসাতে চাইছে।’
সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহিনুর আলম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়, তবে কাউকে পাওয়া যায়নি। গুলির কোনো ঘটনা ঘটেনি এবং এ বিষয়ে এখনো কেউ লিখিত অভিযোগ করেননি।