ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাঈম হোসেন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সালিম হোসেন নামের অপর আরোহী।

বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত সালিম ওই গ্রামে শফিকুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ভালাইপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগে নাঈম হোসেন তার চাচাতো ভাই সালিমকে সঙ্গে নিয়ে মহেশপুর যাচ্ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে আরেকটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নাঈম ও সালিম আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন।

আরো পড়ুন:

মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল মায়ের

শ্রীনগরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১

মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, ‘‘এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’

ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন

এছাড়াও পড়ুন:

রামগড়ে ভ্যাকসিন দেয়ার পর অর্ধশত গরু-ছাগলের মৃত্যু 

খাগড়াছড়ির রামগড় উপজেলার লামকুপাড়া এলাকায় উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকে ভ্যাকসিন দেয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে রোগাক্রান্ত গরু ও ছাগল মারা গেছে। গত ১৫ দিনে চারটি গরু ও প্রায় অর্ধশত ছাগলের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে এলাকায় ক্ষতিগ্রস্ত খামারিদের মধ্যে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (১ মে) দুপুরে এলাকা পরিদর্শন করে মৃত পশুর ময়নাতদন্ত ও রোগাক্রান্ত পশুর নমুনা সংগ্রহ করেছেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের চট্টগ্রাম থেকে আসা মেডিকেল টিমের সদস্যরা। তারা এলাকায় এসে খামারিদের সঙ্গে কথা বলেন। পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করেন।

চট্টগ্রাম বিভাগীয় পরিচালকের পক্ষে ৬ সদস্যের তদন্ত টিমের নেতৃত্ব দেন চট্টগ্রাম জেলা ভেটেনারি কর্মকর্তা ডা. সাহব উদ্দিন।

আরো পড়ুন:

গোপালগঞ্জে মহাজনী সুদের চাপে শ্রমিকের মৃত্যু, দাবি পরিবারের

নোয়াখালীর মাদরাসায় শিক্ষার্থীর মৃত্যু, পরিবারের দাবি হত্যা 

স্থানীয়রা খামারিরা জানান, উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিসের পশু চিকিৎসকের পরামর্শে সরকারি ভ্যাকসিন দেয়ার পর এ ঘটনা ঘটেছে। খামারিরা মনে করছেন, এ সব ভ্যাকসিনে সমস্যা ছিল অথবা একই সিরিঞ্জে সবগুলো পশুকে ভ্যাকসিন দেয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটেছে। 

ভ্যাকসিন দেওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পশুর অতিরিক্ত জ্বর, চামড়ায় গুটি ও ক্ষতের সৃষ্টি হয়। ২৪ ঘণ্টা যেতে না যেতে গরু ও ছাগল মারা যায়। কোনো চিকিৎসায় আর বাঁচানো যাচ্ছে না।

প্রাণিসম্পদ বিভাগের পক্ষ থেকে মৃত পশু মাটিচাপা দেয়া এবং আক্রান্ত পশুকে অন্য পশু থেকে আলাদা রাখার পরামর্শ দেয়া হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত খামারিরা সরকারের কাছে ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন।

ঢাকা/রূপায়ন/বকুল 

সম্পর্কিত নিবন্ধ