মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা, নিহত ১
Published: 15th, January 2025 GMT
ঝিনাইদহের মহেশপুরে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে নাঈম হোসেন নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন সালিম হোসেন নামের অপর আরোহী।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সকালে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাঈম উপজেলার ভালাইপুর গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। আহত সালিম ওই গ্রামে শফিকুল ইসলামের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সকালে ভালাইপুর গ্রাম থেকে মোটরসাইকেলযোগে নাঈম হোসেন তার চাচাতো ভাই সালিমকে সঙ্গে নিয়ে মহেশপুর যাচ্ছিলেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সামনে পৌঁছালে আরেকটি মোটরসাইকেলকে ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার পাশের গাছের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এতে নাঈম ও সালিম আহত হন। স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক নাঈমকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন:
মেয়ের শ্বশুরবাড়ি থেকে ফেরার পথে প্রাণ গেল মায়ের
শ্রীনগরে মোটরসাইকেল-অটোরিকশা সংঘর্ষে নিহত ১
মহেশপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) খন্দকার শামীম উদ্দিন বলেন, ‘‘এ ঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা হয়েছে। মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।’’
ঢাকা/শাহরিয়ার/রাজীব
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর সড়ক দ র ঘটন
এছাড়াও পড়ুন:
ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ড এখনো পুলিশের জিম্মায়, আছে পাহারায়
পাঁচ বছর হয়ে গেছে পৃথিবী ছেড়ে গেছেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। ২০২০ সালের ২৫ নভেম্বর সর্বকালের অন্যতম সেরা ফুটবলারের মৃত্যু নাড়িয়ে দিয়েছিল পুরো বিশ্বকে।
ম্যারাডোনার মৃত্যু খুলে দেয় এক অস্বস্তিকর অধ্যায়ও। আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপজয়ী কিংবদন্তিকে সমাহিত করা হয় তাঁর দেহের একটি গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ ছাড়াই।
ময়নাতদন্তের জন্য তাঁর হৃদ্যন্ত্রসহ যকৃৎ, কিডনির মতো আরও কিছু অঙ্গ বের করে নেওয়া হয়েছিল মৃত্যুর কারণ নির্ণয়ের অংশ হিসেবে। এর মধ্যে ম্যারাডোনার হৃৎপিণ্ড এখনো পুলিশের জিম্মায়।
দিয়ারিও এএসের প্রতিবেদনে বলা হয়, আর্জেন্টিনার বুয়েনস এইরেস প্রাদেশিক পুলিশের প্যাথলজি দপ্তরে ফরমালিনে সংরক্ষিত অবস্থায় রাখা আছে অঙ্গটি। এর ওজন ছিল ৫০৩ গ্রাম, যা স্বাভাবিক একটি হৃৎপিণ্ডের প্রায় দ্বিগুণ। আগের বেশ কয়েকটি মাইক্রো-ইনফার্কশনের (রক্ত চলাচল ব্যাহত হওয়া মৃত কোষ) দাগও ছিল তাতে। তদন্তে অঙ্গটিকে গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে ধরা হয়েছিল।
হৃৎপিণ্ডের প্রতীকী গুরুত্বের কারণেই বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। আর্জেন্টিনার বিচার বিভাগীয় নথিতে উল্লেখ আছে—কিছু গোষ্ঠী এটিকে স্মারক হিসেবে চুরি করার পরিকল্পনা করেছিল। তখনই কর্তৃপক্ষ সিদ্ধান্ত নেয়, ম্যারাডোনার মরদেহের সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রটি সমাহিত করা হবে না।
বর্তমান সংরক্ষণ প্রটোকল অনুযায়ী, কমপক্ষে ১০ বছর অঙ্গটি পুলিশের সুরক্ষায় রাখতে হবে। এরপর পরিবারের মতামত, আদালতের নির্দেশনা ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানগুলোর বিবেচনায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে—হৃদ্যন্ত্রটি শেষ পর্যন্ত ম্যারাডোনার কবরেই রাখা হবে কি না।
ম্যারাডোনার সমাধি বুয়েনস এইরেসের হারদিন বেয়া ভিস্তা সমাধিক্ষেত্রে মা–বাবার পাশে।