ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বেউরঝাড়ি সীমান্ত থেকে আলিমুর রেজা (৪০) নামে এক বাংলাদেশি নাগরিককে আটক করে নিয়ে গেছে ভারতীয় সীমান্ত রক্ষাকারী বাহিনী (বিএসএফ)। 

মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি সীমান্তের ওপারে ভারতীয় তাঁরকাটা অতিক্রমের সময় তাকে আটক করে নিয়ে যায় বিএসএফ।

৫০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ ঠাকুরগাঁওয়ের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। 

আরো পড়ুন:

সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

সাতক্ষীরা সীমান্তে গুলির আওয়াজ 

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহমেদ বলেন, ‍“শূন্য রেখা অতিক্রম করার পর ইন্ডিয়া (ভারত) তাঁরকাটা অতিক্রম করার সময় এক ব্যক্তিকে আটক করে বিএসএফ। আমরা ওই ব্যক্তিকে ফেরত আনতে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।”

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সীমান্তবর্তী এলাকার এক ব্যক্তি বলেন, “ওই ব্যক্তিকে ৮টার দিকে বিএসএফ সদস্যরা আটক করে নিয়ে যায়। বিজিবি জানতে পেরে তাকে উদ্ধারে তৎপর হয়।”

বিজিবি সদস্যরা জানান, ঘটনার পরপরই তারা বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করে বিষয়টি সমাধানের চেষ্টা করছেন। বিজিবির পক্ষ থেকে কূটনৈতিক পথে আলোচনা চালিয়ে আটককৃত নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য সর্বাত্মক চেষ্টা করা হচ্ছে।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহমেদ আশ্বস্ত করেন, তারা এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সব ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন এবং আটককৃত ব্যক্তিকে নিরাপদে ফিরিয়ে আনার জন্য জোর প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। 

ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ

.

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ আটক ব এসএফ

এছাড়াও পড়ুন:

বন্দরে চোর সন্দেহে ৩ যুবক আটক, ২ ডাকাত গ্রেপ্তার 

বন্দরে চোর সন্দেহে ৩ যুবককে আটক  ও ২ ডাকাতকে গ্রেপ্তার  করেছে পুলিশ।  চোর সন্দেহে আটককৃতরা হলো ঢাকা দোহার নবাবগঞ্জ এলাকার আলী হাসান মিয়ার ছেলে আরফান (২২) ও শহরের চাষাড়া এলাকার মৃত কাউছার সরদারের ছেলে কাইফ (২১) ও মিশনপাড়া এলাকার মৃত মশিউর রহমানের ছেলে রিয়ানুর রহমান (২২)।

পুলিশ  আটককৃতদের শুক্রবার (২১ নভেম্বর)  দুপুরে পুলিশ আইনের ৩৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ করেছে। এর আগে গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর)  রাতে বন্দর থানার নবীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে আটক করা হয়।  

অপরদিকে, ডাকাতির প্রস্তুতী ঘটনায় জড়িত থাকার অপরাধে  ডাকাত দলের ২ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ধৃতরা হলো বন্দর থানার ২৪ নং ওয়ার্ডের  বক্তারকান্দী এলাকার আব্দুল কাইয়ুম মিয়ার ছেলে নূর মোহাম্মদ (২২) ও একই থানার ২৬ নং ওয়ার্ডের মনির হোসেন মিয়ার ছেলে জুম্মান (২২)।

গ্রেপ্তারকৃতদের শুক্রবার (২১ নভেম্বর) দুপুরে বন্দর থানার রুজুকৃত ৪০(৮)২৫ নং ডাকাতি প্রস্তুতি মামলায় আদালতে প্রেরন করা হয়। এর গত বৃহস্পতিবার (২০ নভেম্বর) বন্দর থানার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।

উল্লেখ্য, গত রোববার (২৪ আগস্ট) দিবাগত রাত ২টায় সংঘবদ্ধ ডাকাত দল দেশীয় অস্ত্রসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে  বন্দর থানার   ঢাকা-চট্রগ্রাম মহাসড়কের মুরাদপুর এলাকায় অবস্থিত বন্দর স্টীল মিলের সামনে  ডাকাতির প্রস্তুতি কালে বন্দর থানা পুলিশ ডাকাত দলকে ধাওয়া করে ৬ ডাকাতকে গ্রেপ্তার করে।

পরে তাদের দেহ তল্লাশি চালিয়ে  ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত দেশীয় তৈরি ১টব চাইনিজ কুড়াল, ৩টি ছোরা, ১টি চাপাতি ও ১টি ছেন দা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • যশোর সীমান্তে ১৫ বাংলাদেশিকে হস্তান্তর করল বিএসএফ
  • বন্দরে আটক প্রতারককে ৫৪ ধারায় আদালতে প্রেরণ, ক্ষোভ   
  • বন্দরে চোর সন্দেহে ৩ যুবক আটক, ২ ডাকাত গ্রেপ্তার