ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ি সীমান্তের ওপারে ভারতীয় কাঁটাতারের বেড়া অতিক্রমের সময় আটক বাংলাদেশি নাগরিককে ফেরত দিয়েছে বিএসএফ।
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টার দিকে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যকার পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে তাকে ফেরত দেওয়া হয়। ৫০ বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) ঠাকুরগাঁওয়ের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজীর আহমেদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফেরত আসা শেখ আলিমুর রহমান খুলনা জেলার বাসিন্দা।
আরো পড়ুন:
ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক
সীমান্তে এখন উত্তেজনা নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আরো পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে বাংলাদেশি আটক
লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানজিম আহমেদ জানান, বিজিবির নিরলস প্রচেষ্টা ও তৎপরতায় আটক বাংলাদেশিকে আমরা উদ্ধারে সক্ষম হয়েছি। তিনি শারীরিকভাবে কিছুটা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাকে বিজিবির তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
এর আগে, মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) রাত ৮টার দিকে বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার আমজানখোর ইউনিয়নের বেউরঝাড়ী সীমান্তের ৩৮০ মেইন পিলার থেকে আনুমানিক ৩০০ গজ ভারতের অভ্যন্তরে অনুপ্রবেশ করলে শেখ আলিমুর রহমানকে আটক করে বড় বিল্লা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা।
ঢাকা/মঈনুদ্দীন/মাসুদ
.উৎস: Risingbd
কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব এসএফ ব এসএফ
এছাড়াও পড়ুন:
সীমান্তে ফের উত্তেজনা, বিএসএফ সদস্য ও বাংলাদেশি ব্যবসায়ী আহত
ফের উত্তেজনা ছড়াল ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায়। ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ ও বাংলাদেশি গরু পাচারকারীদের সংঘর্ষে উত্তপ্ত হিলি সীমান্তের কাছে পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার মল্লিকপুর বিওপি এলাকা। গুলি-পাল্টা ধারালো অস্ত্রের আঘাতে গুরুতর জখম হয়েছে এক বিএসএফ জওয়ান ও এক বাংলাদেশি নাগরিক। আহতদের বর্তমানে চিকিৎসা চলছে পশ্চিমবঙ্গের গঙ্গারামপুর সরকারি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। পুরো ঘটনা নিয়ে মুখে কুলুপ এটেছে স্থানীয় প্রশাসন।
বিএসএফের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় এখনো অফিসিয়াল বিবৃতি না এলেও বিএসএফের স্থানীয় বর্ডার আউটপোস্ট সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ভোররাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার গঙ্গারামপুর ব্লকের মল্লিকপুর সীমান্তে। গুলিবিদ্ধ ওই বাংলাদেশি পাচারকারীর নাম মুহাম্মদ আলাউদ্দিন (৩২) তিনি বাংলাদেশের দিনাজপুরের বাসিন্দা। আহত বিএসএফ জাওয়ানের নাম ওরফেজ কুমার (২৭) তিনি পশ্চিমবঙ্গের বীরভূম জেলার রামপুরহাট এলাকার বাসিন্দা। আহত ৯১ নম্বর ব্যাটালিয়ানের বিএসএফ ব্যাটেলিয়নের জওয়ান ওয়াফেজ বুধবার মল্লিকপুর বিওপিতে কর্তব্যরত ছিলেন।
বুধবার ভোররাতে প্রায় পাঁচজন সশস্ত্র বাংলাদেশি পাচারের উদ্দেশে ঢুকে পড়ে ভারতীয় সীমান্তে। এ সময় কর্তব্যরত ওই জওয়ান বাধা দিতে গেলে অতর্কিত হামলা চালায় ওই বিএসএফ জওয়ানের ওপর। এ সময় বিএসএফ জাওয়ানের রাইফেল ছিনিয়ে নেওয়ারও চেষ্টা করে। বাধা দিলে ধরানো অস্ত্রের কোপ দিয়ে গুরুতর আহত করা হয় তাকে। এরপরেই আত্মরক্ষার্থে পাচারকারীদের উদ্দেশে এলোপাতাড়ি গুলি চালায় ওই বিএসএফ জওয়ান। ঘটনায় মুহাম্মদ আলাউদ্দিন নামে ওই বাংলাদেশি পাচারকারী গুলিবিদ্ধ হলে পরিস্থিতি বেগতিক বুঝে বাকিরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এদিকে এমন খবর প্রকাশ্যে আসতেই ব্যাপক শোরগোল পড়ে যায় সীমান্তবর্তী এলাকায়। সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন স্থানীয় গ্রামবাসীরা। অন্যদিকে আহতদের উদ্ধার করে নিয়ে আসা হয় গঙ্গারামপুর সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে। বর্তমানে সেখানেই চলছে দুই আহতের চিকিৎসা। ঘটনার খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখে তদন্তে নেমেছে গঙ্গারামপুর থানার পুলিশ।
সম্প্রতি গঙ্গারামপুরের সুখদেবপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের ওই মল্লিকপুরের উন্মুক্ত সীমান্ত এলাকায় শুরু হয়েছে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার কাজ। ফলে এই এলাকায় বিএসএফ-বিজিবির পাল্টাপাল্টি নজরদারি বাড়ানো হয়েছে কয়েক গুণ। তারপরেও পাচারকারীদের দৌরাত্ম্য থামাতে রীতিমত ঘাম ছুটছে দুই দেশের সীমান্তরক্ষী বাহিনীর।