ঋণখেলাপিরা যেন আগামী নির্বাচনে মনোনয়ন না পান, সেটা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। 

শনিবার ‘শ্বেতপত্র এবং অতঃপর: অর্থনৈতিক ব্যবস্থাপনা, সংস্কার ও বাজেট’ শীর্ষক দিনব্যাপী সিম্পোজিয়ামের শেষ পর্বে এ কথা বলেন বিএনপির মহাসচিব। বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত এই সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটি ২০২৪। 

সিম্পোজিয়ামের শেষ পর্বে আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) চেয়ারম্যান অধ্যাপক রেহমান সোবহান এবং বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। সঞ্চালক ছিলেন শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। এছাড়াও পৃথক কয়েক অধিবেশনে বিশিষ্টজনেরা বক্তব্য দেন।

ক্ষমতায় আসলে চলমান সংস্কার কার্যক্রম নিয়ে বিএনপির ভাবনার বিষয়ে দলটির মহাসচিব বলেন, দুই বছর আগেই এ বিষয়ে জনগণের সামনে ২১ দফা প্রতিশ্রুতি তুলে ধরেছে বিএনপি। এতে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংস্কারের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। 

মির্জা ফখরুল বলেন, ছাত্র–জনতার আন্দোলনের পর গণঅভ্যুত্থানের ফলে মানুষের একটি তীব্র আকাঙ্খা জন্মেছে, তারা পরিবর্তন চায়। জনগণ সুখী–সমৃদ্ধি বাংলাদেশ দেখতে চাই। রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের পরিবর্তন ছাড়া এ প্রত্যাশা পূরণ করা বেশ কঠিন। এ জন্যই রাজনীতিতে কাঠামোগত কিছু পরিবর্তনের কথা বলা হয়েছে। এর অন্যতম হচ্ছে– প্রধানমন্ত্রী কেউ দুইবারের বেশি হতে পারবেন না। প্রধানমন্ত্রী এবং রাষ্ট্রপতির ক্ষমতায় ভারসাম্য আনা হবে। রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি গণতান্ত্রিক চর্চা অনেক বাড়ানোর উদ্যোগ থাকবে।

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ব এনপ ম র জ ফখর ল ব এনপ র র জন ত ফখর ল

এছাড়াও পড়ুন:

তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিলকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস।

বৃহস্পতিবার এক যৌথ বিবৃতিতে দল‌টির আ‌মির মাওলানা মামুনুল হক ও মহাসচিব মাওলানা জালালুদ্দীন আহমদ বলেন, ‘‘আমরা আশাকরি, তফসিল ঘোষণার মধ্য দিয়ে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও অর্থবহ নির্বাচনের পথ সুগম হবে।’’

তারা বলেন, ‘‘নির্বাচন যেন প্রকৃত অর্থে জনগণের ভোটাধিকার ও মতামত প্রতিফলিত করতে পারে তা নিশ্চিত করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। সে লক্ষ্যে নির্বাচন কমিশন, প্রশাসন, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিরপেক্ষ ভূমিকা পালনের আহ্বান জানাই। লেভেল প্লেইং ফিল্ড নিশ্চিত না হলে সুষ্ঠু নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি হয় না। তাই সরকার ও নির্বাচন কমিশনকে সকল প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ, অবাধ প্রচারণার স্বাধীনতা এবং নিরাপদ পরিবেশ নিশ্চিত করার অনুরোধ জানাই।’’

‌নেতারা দা‌বি ক‌রেন, নির্বাচনে কালো টাকার প্রভাব, পেশিশক্তির প্রদর্শন, প্রশাসনিক প্রভাব ও জবরদস্তিমূলক তৎপরতা বন্ধ করতে হবে। ভোটার, নির্বাচনী এজেন্ট এবং প্রার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করে দেশে শান্তিপূর্ণ নির্বাচনী পরিবেশ গড়ে তুলতে হবে। জনগণ যেন ভয়-ভীতি ছাড়াই স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেন—প্রত্যাশা দল‌টির।

ঢাকা/নঈমুদ্দীন// 

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নিরীক্ষা প্রতিষ্ঠানের তালিকাভুক্তির নীতিমালা প্রণয়নে কমিটি গঠন
  • মন্ত্রিপরিষদ সচিব‌কে বাদ দেওয়াসহ আইন‌ঢেলে সাজানোর আহ্বান: টিআইবি
  • মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মঙ্গোলিয়ার অনাবাসিক রাষ্ট্রদূতের বৈঠক
  • ভোটের মাঠে জোটের ভিড়ে জনপ্রত্যাশা কোথায় গেল 
  • ওসমান হাদিকে গুলির ঘটনায় সরকার দ্রুত ব্যবস্থা নেবে, আশা মির্জা ফখরুলের
  • পার্বত্য ৩ আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় দলগুলোর প্রতি আহ্বান ইউপিড
  • শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান ইসলামী ফ্রন্টের
  • তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • কম্বাইন্ড ডিগ্রি কারিকুলাম বিলম্বে উদ্বেগ বাকৃবিতে
  • ২০২৭ সালে কি নতুন শিক্ষাক্রম পাওয়া যাবে