গণঅভ্যুত্থান-পরবর্তী খুলনার আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় হিমশিম খাচ্ছে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ (কেএমপি)। নগরীতে বেড়েছে অপরাধ। খুলনাকে নিরাপদ নগর হিসেবে গড়ে তুলতে ৯টি বিষয় চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছে পুলিশ। ভবিষ্যতে আইনশৃঙ্খলা পুনঃপ্রতিষ্ঠায় পাঁচটি পরিকল্পনা নিয়েছে কেএমপি। এ ছাড়া বিভিন্ন পদক্ষেপের মাধ্যমে শীর্ষ সন্ত্রাসীসহ অপরাধী গ্রেপ্তার, মাদক ও চুরি যাওয়া পণ্য উদ্ধারের কাজ চলছে। 

রোববার কেএমপি সদরদপ্তরে সংবাদ সম্মেলন করে এসব পরিকল্পনার কথা জানানো হয়।

চ্যালেঞ্জের মধ্যে রয়েছে– পুলিশ সদস্যের সক্রিয়তা ও পেশাদারিত্বে ঘাটতি, নাগরিকের আইন মানার বিষয়ে উদাসীনতা, নগরীর বেশ কিছু রাস্তার করুণ দশা, নগরজুড়ে ড্রেন নির্মাণ কার্যক্রমের কারণে রাস্তা কাটাকাটি, শিল্পকারখানা কম থাকার কারণে বেকারত্ব বেড়ে যাওয়া, মাদকদ্রব্যের সহজলভ্যতা, মাদক কারবারি ও অবৈধ দখলদারিত্ব নিয়ে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা, সন্তানের ব্যাপারে অভিভাবকের গাফিলতি, খেলাধুলাসহ অন্যান্য ইতিবাচক কর্মকাণ্ড কম থাকা।

কেএমপি কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে পুলিশ সদস্যদের মনোবল ও কর্মোদ্দীপনা বাড়াতে  নানা পদক্ষেপ নেওয়া হয়। চলমান বিভিন্ন কার্যক্রমের বাইরে কেএমপি আরও কিছু পদক্ষেপ নিচ্ছে। এর মধ্যে নগরবাসীর নিরাপত্তা-সচেতনতা বাড়াতে ‘অ্যাওয়ারনেস কার্ড’ তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন শ্রেণির নাগরিকের সঙ্গে মতবিনিময় করে কার্ডগুলো বিতরণ করা হবে। এ ছাড়া অপরাধ নিয়ন্ত্রণে গোয়েন্দা তৎপরতা ও সার্ভিলেন্স বাড়ানো হচ্ছে। 

পুলিশ কমিশনার বলেন, খুব শিগগিরই কেসিসির সহায়তায় নগরীর ইজিবাইকচালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এতে সড়কে যানজট ও দুর্ঘটনা কমবে। 

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: ক এমপ ক এমপ

এছাড়াও পড়ুন:

‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি

‎নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল  সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।

সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে  একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য। 

সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের  গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি,  সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।

‎‎মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর)  শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।

‎দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।

‎‎জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।

‎‎এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।

‎‎তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।

‎‎এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ‎পূজাকে  ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
  • নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় জি এম কাদেরের বিরুদ্ধে মামলার আবেদন
  • ১৭ কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ, নিরাপত্তায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দুই হাজার সদস্য
  • ফরিদপুরে অবরোধ শনিবার পর্যন্ত স্থগিত
  • আসন্ন নির্বাচনে নিরপেক্ষতা বজায় রাখার নির্দেশ ডিএমপি কমিশনারের