খুলনার দাকোপ উপজেলার রামনগর গ্রাম থেকে সচিন মণ্ডল ও তার স্ত্রী মলিনা মণ্ডলের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার সকালে তাদের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

স্থানীয়দের ধারণা, পারিবারিক কলহের জের ধরে স্ত্রীকে পিটিয়ে হত্যার পর স্বামী বিষ পান ও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।

দাকোপ উপজেলার কৈলাশগঞ্জ ইউনিয়নের ১ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো.

ফয়সাল আলম গাজী জানান, প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে পারিবারিক কলহের জের ধরে এ ঘটনা ঘটেছে। সচিন মণ্ডল প্রথমে লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার স্ত্রীকে হত্যা করেছেন। এরপর নিজে বিষপান ও গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। সকালে গ্রামবাসী নিহতের ছেলের কাছ থেকে খবর পায়। পরে বিষয়টি থানায় জানানো হয়। 

দাকোপ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সিরাজুল ইসলাম বলেন, মরদেহ দুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। কীভাবে তাদের মৃত্যু হয়েছে তা এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে।

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: মরদ হ

এছাড়াও পড়ুন:

ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির প্রচেষ্টায় বৈঠকে বসছেন ট্রাম্প-পুতিন

ইউক্রেন যুদ্ধ সমাপ্তির প্রচেষ্টায় আগামী ১৫ আগস্ট বৈঠকে বসছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। 

ট্রাম্প সামাজিক মাধ্যমে এই বৈঠকের ঘোষণা দেন এবং পরে ক্রেমলিনের মুখপাত্রও এটি নিশ্চিত করেন। 

আলাস্কাকে স্থান হিসেবে নির্বাচন করার কারণ হিসেবে ক্রেমলিন জানায়, এটি রাশিয়ার তুলনায় নিকটবর্তী হওয়ায় ‘যৌক্তিক’ সিদ্ধান্ত। খবর বিবিসির। 

বৈঠকের ঘোষণার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, যুদ্ধ শেষ করতে ইউক্রেনকে কিছু অঞ্চল ছাড়তে হতে পারে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের ডনবাস অঞ্চল ও ক্রিমিয়া রাশিয়া ধরে রাখতে পারে, তবে খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার মতো আংশিক দখলে থাকা অঞ্চলও ছাড়তে হতে পারে।

ট্রাম্প গতকাল শুক্রবার হোয়াইট হাউসে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের নেতাদের সঙ্গে আলোচনার সময় বলেন, “আমরা রাশিয়ার সঙ্গে একটি বৈঠক করতে যাচ্ছি। আমরা রাশিয়াকে দিয়েই শুরু করব।”

ইস্তানবুলে ইউক্রেন ও রাশিয়ার মধ্যে তিন দফা সরাসরি আলোচনায় যুদ্ধের অবসান হয়নি এবং ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি স্পষ্টভাবে ভূখণ্ড হস্তান্তরের শর্ত অগ্রহণযোগ্য বলে জানিয়েছেন।

ইস্তানবুলে ইউক্রেন-রাশিয়া আলোচনার তিন দফা চেষ্টা যুদ্ধ বন্ধে সফল হয়নি। মস্কো যেসব সামরিক ও রাজনৈতিক শর্ত তুলেছে, সেগুলো কিয়েভ ও তার মিত্ররা ইউক্রেনের আত্মসমর্পণ হিসেবে দেখছেন।

ঢাকা/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ