প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, আওয়ামী লীগ যদি গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও দুর্নীতির জন্য ক্ষমা না চায়, যতক্ষণ না তাদের দোষী নেতাকর্মীদের বিচারের মুখোমুখি না হয় এবং যতদিন পর্যন্ত দলটির বর্তমান নেতৃত্ব ফ্যাসিবাদী আদর্শ থেকে বের হয়ে না আসে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের কোনো কর্মসূচি পালন করতে দেওয়া সম্ভব না।

তিনি প্রশ্ন রাখেন, মিত্রবাহিনী কি নাৎসিদের প্রতিবাদ করতে দিয়েছিল?

ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের শুরু থেকে হরতাল, অবরোধ ও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণার পরদিন নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে এ কথা জানান প্রেস সচিব।

পোস্টে তিনি লিখেন, দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে অন্তর্বর্তী সরকার কোনো ন্যায়সঙ্গত প্রতিবাদ বন্ধ করেনি। গত সাড়ে পাঁচ মাসে শুধুমাত্র ঢাকাতেই অন্তত ১৩৬টি প্রতিবাদ হয়েছে। এর কিছু প্রতিবাদ ব্যাপক যানজটের কারণ হয়েছে। তবুও, অন্তর্বর্তী সরকার কখনো প্রতিবাদে কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করেনি।

জুলাই অগাস্টের হত্যাকাণ্ডের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, জুলাই ও আগস্ট মাসের ভিডিও ফুটেজ স্পষ্টভাবে দেখায় যে, আওয়ামী লীগের কর্মীরা শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদকারীদের হত্যাকাণ্ডে জড়িত। শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগই জুলাইয়ের গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত গণহত্যা, হত্যাকাণ্ড ও সহিংসতার জন্য দায়ী। তিনি প্রশ্ন রাখেন ফ্যাসিবাদী আওয়ামী লীগ দলকে কি প্রতিবাদের সুযোগ দেওয়া উচিত?

প্রেস সচিব লিখেন, বিশ্বের কোনো দেশই খুনি ও দুর্নীতিবাজদের পুনরায় ক্ষমতায় ফিরে আসার সুযোগ দেয় না। অন্তর্বর্তী সরকারও দেশের জনগণের ইচ্ছার প্রতিনিধিত্ব করে এবং হত্যাকারীদের নেতৃত্বে যে কোনো প্রতিবাদকে জনগণ প্রত্যাখ্যান করবে। আমরা দেশকে সহিংসতার দিকে ঠেলে দিতে পারি না। আওয়ামী লীগ ও তাদের ব্যানারে অন্য কেউ অবৈধ প্রতিবাদ করতে চাইলে আইন অনুযায়ী কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সূত্র: বিসিসি

.

উৎস: Samakal

কীওয়ার্ড: আওয় ম ল গ হরত ল সরক র আওয় ম

এছাড়াও পড়ুন:

নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি

প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, ইউক্রেন ‘নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত।’ কিয়েভ নির্বাচন এড়াতে ‘যুদ্ধকে ব্যবহার করছে’ বলে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করার পরে বুধবার জেলেনস্কি এ ঘোষণা দিলেন।

প্রেসিডেন্ট হিসেবে জেলেনস্কির পাঁচ বছরের মেয়াদ ২০২৪ সালের মে মাসে শেষ হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু রাশিয়ার আক্রমণের পর সামরিক আইন জারি হওয়ায় ইউক্রেনে নির্বাচন স্থগিত রয়েছে।

পলিটিকোতে ট্রাম্পের ব্যাপক সমালোচনামূলক সাক্ষাৎকারের ব্যাপারে জানতে চাইলে জেলেনস্কি জানান, তিনি আইন পরিবর্তনের জন্য প্রস্তাব তৈরি করতে বলবেন। যদি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য মিত্রদের সহায়তায় ভোটের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা হয় তবে আগামী ৬০ থেকে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে।

তিনি বলেন, “আমি এখনই অনুরোধ করছি, এবং আমি প্রকাশ্যেই বলছি, নির্বাচনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র আমাকে, সম্ভবত আমাদের ইউরোপীয় সহকর্মীদের সঙ্গে মিলে সাহায্য করুক। আমাদের অংশীদারদের প্রতি যথাযথ শ্রদ্ধা রেখে বলছি, আমি বিশ্বাস করি, ইউক্রেনে নির্বাচনের বিষয়টি সর্বপ্রথম আমাদের জনগণের উপর নির্ভর করে এবং এটি ইউক্রেনের জনগণের জন্য একটি প্রশ্ন, অন্যান্য দেশের জনগণের উপর নয়।”

তিনি আরো বলেন, “আমি বলতে শুনেছি যে আমরা ক্ষমতা আঁকড়ে আছি অথবা আমি ব্যক্তিগতভাবে রাষ্ট্রপতির পদ আঁকড়ে আছি এবং কারণেই যুদ্ধ শেষ হচ্ছে না। এটি সম্পূর্ণ অযৌক্তিক আখ্যান।”

প্রসঙ্গত, জেলেনস্কি ২০১৯ সালে ৭৩ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে নির্বাচনে জয়লাভ করেছিলেন।
 

ঢাকা/শাহেদ

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • ইসরায়েলের অংশগ্রহণের প্রতিবাদে ইউরোভিশনের ট্রফি ফেরত দিচ্ছেন সুইস সংগীতশিল্পী নেমো
  • ভোটের মাঠে জোটের ভিড়ে জনপ্রত্যাশা কোথায় গেল 
  • পার্বত্য ৩ আসনে প্রার্থী না দিতে জাতীয় দলগুলোর প্রতি আহ্বান ইউপিড
  • শান্তিপূর্ণ নির্বাচন নিশ্চিত করার আহ্বান ইসলামী ফ্রন্টের
  • তফসিল ঘোষণাকে স্বাগত জানিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস
  • ‘নির্বাচন সহজ হবে না, পরিকল্পনা নিয়েই মাঠে নামতে হবে’
  • আগামী নির্বাচনে বিএনপিকে পুরোপুরিভাবে জয়লাভ করতে হবে: নেতাদের উদ্দেশে মির্জা ফখরুল
  • বাবুগঞ্জে এবি পার্টির ফুয়াদের বিরুদ্ধে ঝাড়ুমিছিল
  • নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত জেলেনস্কি
  • দু–তিন দিনে পড়ার মতো মুক্তিযুদ্ধের অনবদ্য পাঁচ উপন্যাস