ইজতেমার প্রথম দিন আজ। টঙ্গির তুরাগ তীরে ধর্মপ্রাণ মুসুল্লিদের অংশগ্রহণে কানায় কানায় পূর্ণ ইজতেমা ময়দান ও এর আশপাশের এলাকা। বাদ ফজর বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে দিনের কার্যক্রম।

বাদ ফজর বয়ান করেন- পাকিস্তানের মাওলানা জিয়া উল হক। সকালে বিভিন্ন খিত্তায় খিত্তায় তালিমের আমল হয়। ঈমান ও আমলের মাধ্যমে মহান আল্লাহ’র নৈকট্য লাভের জন্য ইজতেমায় অংশ নিয়েছেন বলে জানান দেশ-বিদেশের মুসুল্লিরা।

শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) হওয়ায় তুরাগ তীরে আজ অনুষ্ঠিত হবে বৃহত্তর জুমআ নামাজের জামায়াত। জুমআ নামাজে ইমামতি করবেন বাংলাদেশের মাওলানা জুবায়ের।

বৃহস্পতিবার বাদ মাগরিব আম বয়ানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে ৫৮ তম বিশ্ব ইজতেমার প্রথম পর্ব। নিজ নিজ খিত্তায় অবস্থান করে দেশ বিদেশের প্রাজ্ঞ আলেমদের বয়ান শুনছেন লাখো মুসুল্লি। ইজতেমা আয়োজনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে নেওয়া হয়েছে ব্যাপক প্রশাসনিক প্রস্তুতি।

শুরায়ি নেজাম মিডিয়া সমন্বয়ক হাবিবুল্লাহ রায়হান বলেন, “তিন ধাপে অনুষ্ঠিত হবে এবারের বিশ্ব ইজতেমা। বাংলাদেশ তাবলীগ জামাত শুরায়ি নেজামের অধীনে ৩১ জানুয়ারি শুরু হয়ে ২ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে বিশ্ব-ইজতেমার প্রথম ধাপ। এরপর ৩ ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়ে ৫ ফেব্রুয়ারি আখেরি মোনাজাতের শেষ হবে।” 

গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার ড.

নাজমুল করিম খান বলেন, “ইজতেমা আয়োজনকে সুষ্ঠু, শান্তিপূর্ণ ও নির্বিঘ্ন করতে ব্যাপক প্রশাসনিক প্রস্তুতি। ৫ স্তর বিশিষ্ট নিরাপত্তা নিশ্চিত করছে আইনশৃঙ্খলাকারী বাহিনী। ৭ হাজার পুলিশ সদস্যের পাশাপাশি থাকছে ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী মুসুল্লি।”

৮ দিন বিরতি দিয়ে ১৪ ফেব্রুয়ারি তৃতীয় ধাপের বিশ্ব ইজতেমার আয়োজন করবে দিল্লির মাওলানা সাদ কান্ধলভির অনুসারীরা। ১৬ ফেব্রুয়ারি রবিবার আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হবে ২০২৫ সালের বিশ্ব ইজতেমা। পরে ১৮ ফেব্রুয়ারি বাদ মাগরিব প্রশাসনের নিকট ময়দান বুঝিয়ে দিবেন সাদ অনুসারীরা।

ঢাকা/রেজাউল/টিপু 

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর ব শ ব ইজত ম ইজত ম র

এছাড়াও পড়ুন:

নীল সমুদ্রে দক্ষিণ আফ্রিকার নীল বেদনা, ভারত বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন

অনুমিত চিত্রনাট্যই যেন অনুসরণ করল মুম্বাইয়ের ফাইনাল ম্যাচ। ভারতের জার্সি গায়ে দর্শকে ঠাসা গ্যালারি রূপ নিল নীল সমুদ্রে। ২২ গজে আরও একবার ভারতের আধিপত‌্য, শাসন। যেন শিরোপার পায়চারি অনেক আগের থেকেই। 

ব‌্যাটিংয়ে পর্বত ছুঁই-ছুঁই রান। এরপর স্পিনে ফুল ফোটালেন স্পিনাররা। দক্ষিণ আফ্রিকা লড়াই করল সাধ‌্যের সবটুকু দিয়ে। ব্যাটে-বলে সহজে হাল ছাড়ল না তারাও। হৃদয় জিতলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত পাত্তাই পেল না। ভারতের শক্তি-সামর্থ‌্যের গভীরতার কাছে হার মানতেই হলো প্রোটিয়া নারীদের।

আরো পড়ুন:

৪১১ রানের টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৯ রানে হারল জিম্বাবুয়ে

কেন বিপিএল থেকে বাদ পড়ল চিটাগং কিংস

মুম্বাইয়ের নাভি স্টেডিয়ামের নীল সমুদ্রে সব আতশবাজি আজ রাতে ফুটল ভারতের বিশ্বকাপ  উদ্‌যাপনে। প্রথমবার ভারতের নারী ক্রিকেট দল ওয়ানডেতে বিশ্ব চ‌্যাম্পিয়ন। ৫২ রানের বিশাল জয় বুঝিয়ে দেয় হারমানপ্রীত কৌর, জেমিমা রদ্রিগেজ, দীপ্তি শর্মা কিংবা শেফালি বার্মা, স্মৃতি মান্ধানা, রিচা ঘোষরা ২২ গজকে কতটা আপন করে নিয়েছেন। শিরোপা জয়ের মঞ্চে ছাড় দেননি একটুও। ২০০৫ ও ২০১৭ বিশ্বকাপে যে ভুলগুলো হয়েছিল...সেগুলো আজ ফুল হয়ে ঝরল। 

বৃষ্টি বাঁধায় বিঘ্ন ম‌্যাচে আগে ব‌্যাটিংয়ে নেমে ৭ উইকেটে ২৯৮ রানের স্কোর পায় ভারত। ৪৫.৩ ওভারে অলআউট হওয়ার আগে ২৪৬ রান করতে পারে প্রোটিয়া নারীরা। নাডিন ডি ক্লার্ক শেষ ব‌্যাটসম‌্যান হিসেবে যখন আউট হলেন, স্টেডিয়ামের প্রায় ষাট হাজার ভারতীয় সমর্থকদের মুখে একটাই স্লোগান, চাক দে ইন্ডিয়া।

ওই জনসমুদ্রের স্লোগান, ‘ভারত মাতা কি জয়’, ‘বন্দে মাতরম’। 

বিস্তারিত আসছে …

 

ঢাকা/ইয়াসিন

সম্পর্কিত নিবন্ধ