Prothomalo:
2025-09-17@19:47:47 GMT

যেভাবে তৈরি হলো সংসদ ভবন

Published: 17th, September 2025 GMT

 সামরিক শাসন জারি করে জোরপূর্বক ক্ষমতা দখলের পর পাকিস্তানের রাজধানী করাচি থেকে ইসলামাবাদে স্থানান্তর করেন আইয়ুব খান। ওই সময় পরিকল্পনা হয়, পূর্ব পাকিস্তানে দ্বিতীয় রাজধানী গড়ে তোলা হবে। দ্বিতীয় রাজধানীর জায়গা নির্ধারিত হয় বর্তমান ঢাকার শেরেবাংলা নগর। জায়গাটার নতুন নাম করা হয় আইয়ুব নগর। এত বড় শহর তৈরি করা তো আর চাট্টিখানি কথা না। তৎকালীন পাকিস্তানের সেরা স্থপতিদের কাছ থেকে চাওয়া হয় স্থপতিদের নাম। স্থপতি মাজহারুল ইসলাম তিনজন স্থপতির নাম প্রস্তাব করেন—ল্য করব্যুজিয়ে, আলভার আইতো ও লুই আই কান। ব্যস্ততা ও বয়সের কারণে প্রস্তাব থেকে বাদ পড়ে করব্যুজিয়ে ও আইতোর নাম। আর প্রস্তাবটি লুফে নেন লুই আই কান।

কারণ কয়েক বছর আগেই যুক্তরাষ্ট্রের ফিলাডেলফিয়া শহরের উন্নয়নের জন্য একটি পরিকল্পনা জমা দিয়েছিলেন লুই আই কান। কিন্তু সেই প্রস্তাব আলোর মুখ দেখেনি। তখন থেকেই তাঁর মাথায় নতুন একটা শহর তৈরির পরিকল্পনা ঘুরপাক খাচ্ছিল। ঠিক সেই সময়ে শেরেবাংলা নগর তৈরির প্রস্তাব তাঁকে আকৃষ্ট করে। ফলে তৎকালীন পাকিস্তান সরকারের প্রস্তাব তিনি ফেলতে পারেননি। নতুন শহরের জন্য বরাদ্দ ছিল ৮৪০ একর জমি, যার বেশির ভাগই ছিল নিচু ধানি জমি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কাজ শুরুর জন্য তাঁকে দেওয়া হয় ২০০ একর জমি।

কাজ শুরুর আগে জায়গাটাকে তো কাছ থেকে দেখতে হবে। মৌখিক চুক্তি শেষে ১৯৬২ সালে ঢাকা আসেন লুই আই কান। প্রকৃতি ও আলো ছায়া নিয়ে খেলা করা কানের চোখে ধরা পড়ে অপূর্ব এক বাংলাদেশ। পাল যুগের পাহাড়পুর থেকে শুরু করে ব্রিটিশ আমলের আহসান মঞ্জিল—এই অঞ্চলে লাল ইট বেশ সমাদৃত। ঢাকার লালবাগ দূর্গ, লাল ইট, নদী ও সবুজকে মাথায় রেখে পরিকল্পনা শুরু করেন কান। একই সঙ্গে ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি, সুপ্রিম কোর্ট, জনপ্রতিনিধিদের থাকার জায়গা, সরকারী কর্মচারী-কর্মকর্তাদের বাসস্থান, প্রেসিডেন্ট প্যালেস, স্টেডিয়াম, হাসপাতাল, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান মিলিয়ে পূর্ণাঙ্গ একটি শহর তৈরির পরিকল্পনা ছিল তৎকালীন কর্তৃপক্ষের। সেসব মাথায় রেখেই প্রথম মাস্টারপ্ল্যান জমা দিয়েছিলেন লুই কান।

কানের নকশায় স্বপ্নের শহরখাতা–কলমে সংসদ ভবনের নকশা.

উৎস: Prothomalo

এছাড়াও পড়ুন:

আফ্রিদির অলরাউন্ড নৈপুণ্যে আমিরাতকে হারিয়ে সুপার ফোরে পাকিস্তান

বিকেলে ছিল ম্যাচ হবে কি না অনিশ্চয়তা। নানা নাটকীয়তার পর অনিশ্চয়তা কেটে ম্যাচ শুরু হলো এক ঘণ্টা দেরিতে। তবে বিলম্বিত ম্যাচে আর খুব বেশি অনিশ্চয়তা–নাটকীয়তার দেখা মিলল না। দুবাইয়ে ফেবারিট হিসেবে মাঠে নেমে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৪১ রানে হারিয়েছে পাকিস্তান।

এই জয়ে এশিয়া কাপের সুপার ফোরে জায়গা করেছে সালমান আগার দল। ‘এ’ গ্রুপ থেকে সেরা চারে জায়গা করেছে ভারতও। যার অর্থ, ২১ সেপ্টেম্বর আবারও মুখোমুখি হতে চলেছে ভারত–পাকিস্তান।

গতকাল দুবাই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের পাকিস্তান–আরব আমিরাত ম্যাচ নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছিল ১৪ সেপ্টেম্বরের ভারত–পাকিস্তান গ্রুপ ম্যাচের ঘটনার জেরে। সেদিন ভারতের খেলোয়াড়েরা পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের সঙ্গে ম্যাচের শুরু ও শেষে হাত না মেলানোয় ম্যাচ রেফারি অ্যান্ডি পাইক্রফটের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)।

পাইক্রফট টসের সময় অধিনায়ককে হাত না মেলানোর পরামর্শ দিয়ে নিয়ম লঙ্ঘন করেছেন অভিযোগ তুলে তাঁর অপসারণ চেয়ে রীতিমতো এশিয়া কাপ বর্জনের আবহ তৈরি করে পিসিবি।

শেষ পর্যন্ত পাইক্রফটের ক্ষমা প্রার্থনায় গতকাল তাঁর পরিচালনায় আরব আমিরাতের বিপক্ষে মাঠে নামে পাকিস্তান। তবে খেলতে নামার সিদ্ধান্ত নিতে আলোচনার জন্য এক ঘণ্টা পিছিয়ে দেওয়া হয় ম্যাচ শুরুর সময়।

আরও পড়ুনপাকিস্তান অধিনায়কের কাছে ক্ষমা চেয়েছেন ম্যাচ রেফারি পাইক্রফট, দাবি পিসিবির৬ ঘণ্টা আগে

দেরিতে শুরু হওয়া ম্যাচে আমিরাত অধিনায়ক টসে জিতে পাকিস্তানকে ব্যাটিংয়ে পাঠান। ফখর জামানের ৩৬ বলে ৫০ আর শেষ দিকে শাহিন আফ্রিদির ১৪ বলে ২৯ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর করে পাকিস্তান করে ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৪৬। মূলত আফ্রিদির শেষ দিকের ঝোড়ো ব্যাটিংই পাকিস্তানের রান দেড় শর কাছাকাছি নিয়ে যায়।

নানা নাটকীয়তার পর অ্যান্ডি পাইক্রফটই পাকিস্তান–আমিরাত ম্যাচে রেফারির দায়িত্বে ছিলেন

সম্পর্কিত নিবন্ধ