আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে ভরাডুবি বিএনপির
Published: 31st, January 2025 GMT
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে শোচনীয় পরাজয় হয়েছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের। নির্বাচনে ১৫টি পদের মধ্যে ১০টিতে অংশ নেয় জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরাম প্যানেল। সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ ৭টি পদেই পরাজিত হয়েছে তারা। জয় মাত্র তিনটিতে।
গতকাল বৃহস্পতিবার ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। দিনব্যাপী ভোটগ্রহণ শেষে রাতে ঘোষণা করা হয় ফলাফল।
ঘোষিত ফলাফলে সভাপতি হন স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন। আর সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী হয়েছেন বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদের মফিজুর রহমান বাবুল।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া আইনজীবী সমিতির নতুন সভাপতি এ কে এম কামরুজ্জামান মামুন পেয়েছেন ৩৩৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবদুর রহমান পেয়েছেন ২৪৬ ভোট। সাধারণ সম্পাদক পদে বিজয়ী মফিজুর রহমান বাবুল পেয়েছেন ৩৭৬ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সামসুজ্জামান চৌধুরী কানন পেয়েছেন ১৫৪ ভোট।
এছাড়া সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে শামসুল হক লিটন, সহসভাপতি পদে কাজী এখলাছুর রহমান, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-১ পদে আশরাফুল ইসলাম খান (চমন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক-২ পদে মোহাম্মদ ফরহাদ হোসেন, সম্পাদক পাঠাগার ব্যবস্থাপনা পদে জিল্লুর রহমান, সম্পাদক তথ্য-প্রযুক্তি পদে মোহাম্মদ নূরে আলম সিদ্দিকী তারেক, অডিটর পদে রেজুয়ানুর রহমান রনি, সদস্য পদে জহিরুল ইসলাম, শেখ সাজিদুর রহমান সজিব, শাহ সুলতান রকি ও মোহাম্মদ ইয়াকুব আলী জয়লাভ করেছেন।
নির্বাচনে ১৫টি পদে তফসিল ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এর মধ্যে সমাজ কল্যাণ সম্পাদক ও মহিলা বিষয়ক সম্পাদক পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় দুজন জয়লাভ করে। বৃহস্পতিবার বাকি ১৩ পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এই নির্বাচনে আওয়ামীপন্থি বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ থেকে সভাপতি পদে কেউ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেননি।
উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ব র হ মণব ড় য় ব এনপ আওয় ম ল গ র রহম ন আইনজ ব
এছাড়াও পড়ুন:
বিহারের ভোটার তালিকা নিয়ে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট: ‘মৃত’ নন জীবিত এমন ১৫ জনকে হাজির করলে ব্যবস্থা
বিহারে খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ চিহ্নিত ১৫ জন জীবিতকে হাজির করাতে পারলে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট ব্যবস্থা নেবেন। বিহারের ভোটার তালিকার নিবিড় সংশোধন (এসআইআর) প্রক্রিয়ার বিরুদ্ধে মামলাকারীদের আইনজীবীদের এ আশ্বাস দিয়েছেন সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের দুই বিচারপতি সূর্য কান্ত ও জয়মাল্য বাগচী এ আশ্বাস দিয়ে বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে। কিন্তু তার অর্থ এই নয় যে তাদের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া দেওয়া হলে তাঁরা অবশ্যই পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন।
আবেদনকারীদের উদ্দেশে দুই বিচারপতি বলেছেন, প্রক্রিয়ায় অনিয়ম বা ত্রুটি পাওয়া গেলে অবশ্যই তাঁরা ব্যবস্থা নেবেন।
মামলাকারীদের আবেদন মেনে সুপ্রিম কোর্ট অবশ্য খসড়া ভোটার তালিকা পেশ করার ওপর স্থগিতাদেশ দেননি। তবে ইসিকে তাঁরা বলেছেন, তাদের কাজ গণহারে ভোটার বাদ দেওয়া নয়। তাদের দেখা উচিত যাতে গণহারে ভোটারদের তালিকাভুক্ত করা যায়।
এসআইআর–প্রক্রিয়া অনুযায়ী ভোটার তালিকা সংশোধনের পর খসড়া তালিকা প্রকাশ করা হবে ১ আগস্ট। সে লক্ষ্যেই ইসি এগিয়ে চলেছে। ইসি সূত্রে খবর, নিবিড় সংশোধনপ্রক্রিয়ার পর প্রাথমিকভাবে দেখা যাচ্ছে ৬৫ লাখেরও বেশি নাম খসড়া তালিকা থেকে বাদ যাচ্ছে। তাঁদের মধ্যে অন্তত ২২ জন ‘মৃত’, ৩৬ লাখ ‘নিখোঁজ’। এ ছাড়া বেশ কয়েক লাখ ভোটারের নাম বিভিন্ন এলাকার তালিকায় রয়েছে। অর্থাৎ একই ভোটার অন্তত দুই জায়গায় নথিভুক্ত। আগের তালিকা অনুযায়ী বিহারে মোট ভোটারের সংখ্যা ৭ কোটি ৮৯ লাখ। ইসির দাবি, এই তালিকায় বহু ভোটার ভুয়া। তাদের বাদ দিতেই এই নিবিড় সংশোধন।
যে প্রক্রিয়ায় এই খসড়া তালিকা প্রস্তুত করা হচ্ছে, মামলাকারীদের আপত্তি তা নিয়েই। তাঁদের অভিযোগ, ইসি যেভাবে নাগরিকত্বের যাচাই করছে, সে জন্য যেসব নথি পেশ করতে বলা হচ্ছে, তা বহু ক্ষেত্রে সম্ভবপর নয়। তেমন করা তাদের কাজও নয়। সেই কাজ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের। তাঁদের অভিযোগ, এভাবে বহু দরিদ্র ও প্রান্তিক মানুষের ভোটাধিকার ইসি কেড়ে নিচ্ছে।
গত সোমবার ও মঙ্গলবার সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি হয়। মঙ্গলবারের শুনানিতে মামলাকারীদের আইনজীবী কপিল সিব্বাল ও প্রশান্ত ভূষণকে আশ্বস্ত করে বিচারপতিরা বলেন, কমিশনের ত্রুটি–বিচ্যুতি দেখলে তাঁরা অবশ্যই ব্যবস্থা নেবেন। ভোটার প্রমাণে আধার কার্ড ও ভোটার কার্ডকে নথি হিসেবে গ্রাহ্য করার সুপারিশ বিচারপতিরা জোরের সঙ্গে করেছেন। এই দুই নথি জাল করা সহজ বলে ইসির দাবি নস্যাৎ করে বিচারপতিরা বলেছেন, যে ১১টি নথির ওপর নির্ভর করে তারা সিদ্ধান্ত নিচ্ছে, সেগুলোর প্রতিটিই জাল করা সম্ভব। কপিল সিব্বাল ও প্রশান্ত ভূষণকে বিচারপতিরা বলেন, খসড়া ভোটার তালিকায় ‘মৃত’ অথচ আসলে জীবিত, এমন ১৫ জনকে আপনারা হাজির করুন। আমরা ব্যবস্থা নেব।
আগামী ১২ ও ১৩ আগস্ট এই মামলার পরবর্তী শুনানি। তার আগে ৮ আগস্টের মধ্যে মামলাকারীদের বক্তব্য লিখিতভাবে আদালতে পেশ করতে হবে।