বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের কমিটি থেকে ৬ জনের পদত্যাগ
Published: 1st, February 2025 GMT
ময়মনসিংহে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি থেকে ছাত্রদলের ছয় কর্মী পদত্যাগ করেছেন। নবগঠিত কমিটির সঙ্গে তাদের কোনো সম্পৃক্ততা নেই বলে পদত্যাগপত্রে দাবি করা হয়েছে।
শনিবার দুপুরে পদত্যাগপত্রে স্বাক্ষর করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি থেকে সরে যান এই ছয় ছাত্রদল কর্মী।
পত্যাগকারী ছাত্রদল কর্মীরা হলেন– আনন্দ মোহন কলেজ শাখার ছাত্রদলের সক্রিয় কর্মী কাওসার হাসান মিয়াদ ও তানজিলা ইমি, নেত্রকোনা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী আহসান উল্লাহ, কে বি কলেজের শিক্ষার্থী রিসাদুল আলম প্রিন্স, মুসলিম গার্লস কলেজের শিক্ষার্থী সাদিয়া জামান মিম এবং ফুলবাড়িয়া কলেজের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান চঞ্চল। তারা সবাই ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটিতে পদধারী।
ছাত্রদল কর্মী কাওসার হাসান মিয়াদ বলেন, ‘আমরা সবাই ছাত্রদল কর্মী। গত ৬ জুলাই থেকে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে ময়মনসিংহ মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ জেলা শাখার ছাত্রদল নেতাদের নির্দেশে আমরা সামনের সারিতে থেকে আন্দোলন করেছি। এরই মধ্যে গত ২৬ জানুয়ারি প্রকাশিত বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটিতে আমাদের না জানিয়ে পদায়ন করা হয়েছে। কিন্তু আমরা সবাই সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শের কর্মী। তাই আমরা স্বজ্ঞানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটি থেকে পদত্যাগ করেছি।’
পদত্যাগের সত্যতা নিশ্চিত করে ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক তানভীর আহমেদ রবিন জানান, দলীয় নির্দেশে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা সক্রিয় ছিলেন। কিন্তু না জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নবগঠিত কমিটিতে তাদের পদায়ন করা হয়। এ কারণেই পদত্যাগ করেছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন জেলা শাখার আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন মঞ্জু সমকালকে বলেন, ‘আন্দোলন সংগ্রামে আমাদের সঙ্গে অনেক সংগঠন অংশ নিয়েছে। কেউ চলে গেছেন, আবার ফিরে এসেছেন।’
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: ছ ত রদল পদত য গ কল জ র শ ক ষ র থ ছ ত রদল র পদত য গ
এছাড়াও পড়ুন:
অতি ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস, পাহাড়ে ভূমিধসের শঙ্কা
আজ শ্রাবণের ১৬ তারিখ। প্রকৃতির নিয়মে এ মাসে বৃষ্টি বেশি ঝরে। আজও ঢাকার আকাশ মেঘলা। বুধবার রাত থেকে থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। কখনও ঝুম বৃষ্টি কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। তবে সক্রিয় মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে উপকূলীয় ও পাহাড়ি এলাকায় অতি ভারী বৃষ্টি হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। রয়েছে ভূমিধসের ঝুঁকি।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) ভারী বৃষ্টিপাতের সতর্কবার্তায় বলা হয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টায় খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম বিভাগের বিভিন্ন স্থানে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির আশঙ্কা করা হচ্ছে। ফলে চট্টগ্রাম, রাঙামাটি, বান্দরবান, খাগড়াছড়ি ও কক্সবাজারের পাহাড়ি এলাকায় কোথাও কোথাও ভূমিধসের ঝুঁকি রয়েছে।
আবহাওয়া পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অতিভারী বৃষ্টির কারণে খুলনা, বরিশাল ও চট্টগ্রাম মহানগরীর কিছু এলাকায় সাময়িক জলাবদ্ধতা দেখা দিতে পারে। নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হওয়াসহ বাস, রিকশা ও সাধারণ চলাচলে বিঘ্ন ঘটতে পারে।
বঙ্গোপসাগরে উত্তাল থাকায় চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরসমূহকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। নদী ও সমুদ্রবন্দর এলাকায় অবস্থানরত নৌযানগুলোকে সাবধানতার সঙ্গে চলাচলের নির্দেশ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। সারা দেশে আজ দিনের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে, রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শুক্রবার ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায়, এবং রংপুর, রাজশাহী, খুলনা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গায় হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। দিন ও রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকবে।
শনিবারও সারা দেশে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে। বিশেষ করে ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে অধিকাংশ এলাকায় এবং অন্যান্য বিভাগে অনেক জায়গায় দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। সারা দেশে দিনের ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে।
রবিবার রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগে অনেক জায়গায় বৃষ্টি হতে পারে। কোথাও কোথাও হতে পারে অতি ভারী বৃষ্টিপাত।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের বর্ধিত পূর্বাভাস অনুযায়ী, আগামী পাঁচ দিন দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা অব্যাহত থাকতে পারে।
গত ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজার ৬৮ মিলিমিটার। সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল সৈয়দপুরে ৩৬ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
ঢাকা/ইভা