মুন্সীগঞ্জে ৬ জনকে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ
Published: 4th, February 2025 GMT
মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় প্রবাসীসহ ছয়জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বজ্রযোগনী ইউনিয়নের পুকুর পাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সজিব দে বলেন, “আহত সাকিবের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”
আরো পড়ুন:
ছাগল নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কৃষকের
লক্ষ্মীপুরে ৪ সাংবাদিককে আটকে মারধর, ‘গুলি’
আহতরা হলেন- ইতালী প্রবাসী মো.
আহতদের স্বজনরা জানান, বজ্রযোগনী ইউনিয়নের আটপাড়া এলাকার রিফাত মোল্লা, আরাফাত মোল্লা ও পুরোহিতপাড়া রিভন ও বাবুল মোল্লা নামে চারজন পুকুর পাড় এলাকায় মাদক সেবন করে। তারা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্যক্ত করত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রিফাত ও আরাফাতরা মাদক সেবন করে অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করতে থাকে। এসময় সাকিব তাদের বাড়ির পাশ থেকে বকা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেন।
আজ সকাল ১১টার দিকে রিফাত মোল্লা, আরাফাত, রিভন ও বাবুল মোল্লাসহ আরো চার থেকে পাঁচজন সাকিবদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। তারা সাকিবকে মারধর করে। সাকিবকে বাঁচাতে উজ্জল, রাকিব, মোজাম্মেল ও আকাশরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পেটাতে শুরু করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়েও আঘাত করে রিফাত। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন মুন্সীগঞ্জ জেলার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা সবােইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। উজ্জলের অবস্থা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
আহত সাকিবের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, “আমার ছেলেটা ছুটিতে দেশে এসেছে। ওই ছেলেগুলো আমাদের বাড়ির সামনে প্রায় আড্ডা দিয়ে নেশা করে। বিভিন্ন ধরনের খারাপ কথা বলত। সাকিব শুধু তাদেরকে এখানে বসে আড্ডা দিতে এবং মাদক সেবন করতে নিষেধ করেছিল। এজন্য আমার ছেলেসহ সবাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আমি বিচার চাই।”
ঢাকা/রতন/মাসুদ
উৎস: Risingbd
এছাড়াও পড়ুন:
প্রকাশিত সংবাদ নিয়ে এএসআইয়ের ব্যাখ্যা
“সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় পুলিশ ক্লিয়ারেন্স পেতে গুনতে হলো অতিরিক্ত টাকা” শিরোনামে আজ বুধবার (৩ ডিসেম্বর) নারায়ণগঞ্জের বিভিন্ন স্থানীয় গণমাধ্যমে প্রকাশিত সংবাদের ব্যাখ্যা দিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার এএসআই সুলতান মাহমুদ।
তিনি জানান, পুলিশ ক্লিয়ারেন্সের প্রতিবেদন দিতে আমি মাহমুদুল নামে ওই ব্যক্তির কাছ থেকে কোন অর্থ দাবি করিনি। তাকে কোনভাবে হয়রানিও করিনি। ক্লিয়ারেন্সের জন্য থানায় আসলে মাহমুদুল হাসানের কাগজপত্রে অসঙ্গতি থাকায় আমি তাকে এগুলো সংশোধন করে আনতে বলি। যার ফলে তার কাজে কিছুটা সময় বিলম্বিত হয়েছে। পরবর্তীতে সে প্রয়োজনীয় সকল সঠিক কাগজপত্র নিয়ে আসলে আমি নিয়ম অনুযায়ী তার ক্লিয়ারেন্সের প্রতিবেদন সঠিকভাবে প্রদান করি। এ বিষয়টিকে সাংবাদিকদের কাছে ভুলভাবে উপস্থাপন করে আমার বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মোঃ শাহীনুর আলম বলেন, প্রতিটি পুলিশকে স্বশরীরে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে যে পুলিশ কি কোনো টাকা দাবি করেছিল কিনা। এবং যেকোনো ধরনের অনৈতিক লেনদেন থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
সকলের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, যদি কোনো ভুক্তভোগীর কাছে কোনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা আদেশ অমান্য করে কোনো ধরনের অর্থের দাবী করেন তাহলে সরাসরি তাকে জানানোর অনুরোধ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, আমার কাছে অন্যায়কারীর কোনো আলাদা পরিচয় নেই, যে অন্যায় করবে তার পরিচয় শুধুই একজন অন্যায়কারী।