মুন্সীগঞ্জের সদর উপজেলায় মাদক সেবনে বাধা দেওয়ায় প্রবাসীসহ ছয়জনকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। 

মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১ টার দিকে উপজেলার বজ্রযোগনী ইউনিয়নের পুকুর পাড় এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনায় ভুক্তভোগীরা মুন্সীগঞ্জ সদর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

মুন্সীগঞ্জ সদর থানার পরিদর্শক (ওসি তদন্ত) সজিব দে বলেন, “আহত সাকিবের মা আনোয়ারা বেগম অভিযোগ দিয়েছেন। আমরা তদন্ত করে ব্যবস্থা নিচ্ছি।”

আরো পড়ুন:

ছাগল নিয়ে দ্বন্দ্বে প্রাণ গেল কৃষকের

লক্ষ্মীপুরে ৪ সাংবাদিককে আটকে মারধর, ‌‘গুলি’ 

আহতরা হলেন- ইতালী প্রবাসী মো.

সাকিব মীর (১৯), মোজাম্মেল (৫০), উজ্জ্বল বেপারী (৪০), রাকিব বেপারী (৩০), রবিন বেপারী (২৮) ও আকাশ (২৫)।

আহতদের স্বজনরা জানান, বজ্রযোগনী ইউনিয়নের আটপাড়া এলাকার রিফাত মোল্লা, আরাফাত মোল্লা ও পুরোহিতপাড়া রিভন ও বাবুল মোল্লা নামে চারজন  পুকুর পাড় এলাকায় মাদক সেবন করে। তারা স্কুল-কলেজ পড়ুয়া মেয়েদের উত্যক্ত করত। গতকাল সোমবার সন্ধ্যায় রিফাত ও আরাফাতরা মাদক সেবন করে অশ্লীল ভাষায় বকাবকি করতে থাকে। এসময় সাকিব তাদের বাড়ির পাশ থেকে বকা দিয়ে তাদের সরিয়ে দেন। 

আজ সকাল ১১টার দিকে রিফাত মোল্লা, আরাফাত, রিভন ও বাবুল মোল্লাসহ আরো চার থেকে পাঁচজন সাকিবদের বাড়িতে গিয়ে হামলা চালায়। তারা সাকিবকে মারধর করে। সাকিবকে বাঁচাতে উজ্জল, রাকিব, মোজাম্মেল ও আকাশরা এগিয়ে গেলে তাদেরকেও পেটাতে শুরু করে হামলাকারীরা। একপর্যায়ে ধারালো ছুরি দিয়েও আঘাত করে রিফাত। পরে আহতদের উদ্ধার করে স্থানীয় লোকজন মুন্সীগঞ্জ জেলার হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানে চিকিৎসকরা সবােইকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেন। উজ্জলের অবস্থা কিছুটা গুরুতর হওয়ায় তাকে হাসপাতালে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। 

আহত সাকিবের মা আনোয়ারা বেগম বলেন, “আমার ছেলেটা ছুটিতে দেশে এসেছে। ওই ছেলেগুলো আমাদের বাড়ির সামনে প্রায় আড্ডা দিয়ে নেশা করে। বিভিন্ন ধরনের খারাপ কথা বলত। সাকিব শুধু তাদেরকে এখানে বসে আড্ডা দিতে এবং মাদক সেবন করতে নিষেধ করেছিল। এজন্য আমার ছেলেসহ সবাইকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। আমি বিচার চাই।” 

ঢাকা/রতন/মাসুদ

উৎস: Risingbd

কীওয়ার্ড: চ কর চ কর আহত

এছাড়াও পড়ুন:

৩ কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয়

পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত তিনটি কোম্পানির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করে তা প্রকাশ করা হয়েছে। কোম্পানি তিনটি হলো- ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি, রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেড ও ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পিএলসি।

বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ (ডিএসই) ও চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ (সিএসই)  সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

কোম্পানগুলোর মধ্যে ন্যাশনাল পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ পিএলসি ও রূপালী ইন্স্যুরেন্স কোম্পানি লিমিটেডের ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে ন্যাশনার ক্রেডিট রেংটিস লিমিটেড (এনসিআর) এবং ইবনে সিনা ফার্মাসিউটিক্যালস ইন্ডাস্ট্রি পিএলসির ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করেছে আলফা ক্রেডিট রেটিং পিএলসি।

ন্যাশনাল পলিমার: আলফা ক্রেডিট রেটিং পিএলসি অনুযায়ী, কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এ’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-৩’। ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

রূপালী ইন্স্যুরেন্স: ন্যাশনার ক্রেডিট রেংটিস লিমিটেডের রেটিংস অনুযায়ী, কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএএ’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২৪ সালের ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

ইবনে সিনা: আলফা ক্রেডিট রেটিং পিএলসি অনুযায়ী, কোম্পানিটির দীর্ঘ মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এএ+’। আর স্বল্প মেয়াদে রেটিং হয়েছে ‘এসটি-১’। ২০২৫ সালের ৩০ জুন সমাপ্ত হিসাব বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন এবং ২০২৫ সালের ২ ডিসেম্বর অন্যান্য প্রাসঙ্গিক পরিমাণগত ও গুণগত তথ্যের ভিত্তিতে এ ক্রেডিট রেটিং নির্ণয় করা হয়েছে।

ঢাকা/এনটি/ইভা 

সম্পর্কিত নিবন্ধ