মায়ের সঙ্গে মাংস কিনতে গিয়েছিলেন, ফিরলেন না
Published: 21st, November 2025 GMT
মা নুসরাত বেগমের সঙ্গে মাংস কিনতে বেরিয়েছিলেন স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের শিক্ষার্থী রাফিউল ইসলাম রাফি। আজ শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটের সময় রাজধানীর পুরান ঢাকার বংশালের কসাইটুলীতে একটি ভবনের নিচতলায় নয়নের মাংসের দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলেন তাঁরা। হঠাৎ ভূমিকম্প শুরু হয়। তীব্র ঝাঁকুনিতে দোকানের সামনে থাকা ক্রেতাদের ওপর ভবনের ছাদের রেলিং ভেঙে পড়ে। এ ঘটনায় গুরুতর আহত হন রাফিউল ও তাঁর মা নুসরাত। হাসপাতালে রাফিউলকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসক।
.উৎস: Prothomalo
এছাড়াও পড়ুন:
‘মেয়েদের জীবনের থেকে, ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ’
রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। শুক্রবার (২১ নভেম্বর) সকাল ১০টা ৩৮ মিনিটে এ ভূমিকম্প হয়। রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পটির তীব্রতা ৫ দশমিক ৭ ছিল বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আকস্মিক ভূমিকম্পের তীব্রতায় সারা দেশের মানুষের মধ্যে চরম আতঙ্ক সৃষ্টি করে। দ্রুত রাস্তায় নেমে আসেন রাজধানীবাসী। এই কম্পনে আতঙ্কগ্রহস্ত হয়ে পড়েন দেশের তারকারা। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সেই ভয়াবহ অভিজ্ঞতার কথাও প্রকাশ করেছেন তারা। তবে ব্যতিক্রম বার্তা দিয়েছেন আলোচিত অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক।
আরো পড়ুন:
ভূমিকম্প: আতঙ্কের অভিজ্ঞতা জানালেন তারকারা
তামাক নিয়ন্ত্রণে বিনোদন সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন
চমক তার ফেসবুকে বেশ কয়েকটি পোস্ট দিয়েছেন। একটি পোস্টে এই অভিনেত্রী লেখেন, “মেয়েদের জীবনের থেকে, একটা ওড়না বেশি গুরুত্বপূর্ণ। হ্যাশট্যাগ দিয়ে এ অভিনেত্রী লেখেন, “ভূমিকম্প ফ্যাক্ট।” চমকের এ পোস্ট নিয়ে বেশ চর্চা চলছে অন্তর্জালে। অনেক নারী এ পরিস্থিতি নিয়ে মন্তব্য করেছেন। বলা যায়, দুটো শিবিরে বিভিক্ত হয়ে মন্তব্য করছেন তারা।
মনিরা নামে একজন লেখেন, “সত্যি কথা বলতে, আমার হাতে ওড়না ছিল, জামা একটু ছোট ছিল। কিন্তু সালোয়ারটা পাতলা ছিল, এই পাতলাটুকুর কারণে আমি নিচে নামেনি। আমি ঘরে বসে ছিলাম এবং আল্লাহকে স্মরণ করতে ছিলাম। কারণ ওই অবস্থায় আমি নিচে নামব না। কোনোভাবেই না। আমার বাসার সবাই নেমে গিয়েছিল, বিধায় বিড়ালটাকে আমি কোলে নিয়ে বসে ছিলাম। আমার মেয়ে ঘরে ফিরে আসার সাথে সাথে বিড়ালটাকে নিয়ে নেমে যেতে বলেছিলাম।”
মনিরার এই ভাবনার সঙ্গে একমত নন তাজকিয়া বিলকিস। তিনি লেখেন, “বাংলালিরা অনেক সময় নিজেদেরই সবচেয়ে বেশি ক্ষতি করে। কারণ তারা অতিরিক্ত ভাবতে থাকে—লোকে কী বলবে।” লাভলী ইসলাম লেখেন, “যাইহোক ওড়না আর বাচ্চাটা নিয়ে নিচে দৌড়ে নেমে গেছিলাম। তবে এরকম সময়ে মানুষের এতকিছু ভাবার সময় থাকে না। তারপরও যারা ওড়না ছাড়া কখনো বাহিরে বের হতে পারেন না, তারা ওড়না না পেলেও গামছা/তোয়ালে নিয়েও দৌড় দিবে আর যাদের ওড়না লাগে না তাদের হিসেব আলাদা।”
চমককে উদ্দেশ্য করে ইশিতা লেখেন, “জানি না কথাটা ব্যঙ্গ করে বলেছেন কি না। কিন্তু অনেকেই ভাবে সম্মান আগে, ওভাবেই তাদের চিন্তাভাবনাও সেট করা। আজকের ভূমিকম্পে আমি প্রথমে ওড়না ছাড়া বের হয়ে যাচ্ছিলাম, হুট করেই আবার রুমে ঢুকে ওড়না নিয়ে বের হইছি। এটা নিয়ে ব্যঙ্গ করার কিছু নেই, যার যার চিন্তাভাবনা তার তার কাছে। আপনি না মানেন, সেটাও আপনার বিষয়।” তবে লামিয়া নামে একজন লেখেন, “আমার মনে হয়, জীবনের থেকে ইজ্জত আগে।” এমন অসংখ্য মন্তব্য ভেসে বেড়াচ্ছে কমেন্ট বক্সে।
ঢাকা/শান্ত