দেশের প্রেক্ষাগৃহে আগামীকাল থেকে ‘বলী’
Published: 6th, February 2025 GMT
মুক্তি পেতে যাচ্ছে বহুল কাঙ্ক্ষিত, সরকারি অনুদানের সিনেমা ‘বলী’। আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে ঘুরে এবার দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে ইকবাল হোসাইন চৌধুরীর ‘বলী’। সিনেমার প্রযোজক পিপলু আর খান জানান, আগামীকাল থেকে দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে সিনেমাটি। গত বছরের সেপ্টেম্বরে সেন্সর সার্টিফিকেশন সনদ পায় বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার জেতা ‘বলী’।
তিনি বলেন, ‘আমাদের পরিকল্পনা ছিল আরও সপ্তাহখানেক পেছানোর। ১৪ ফেব্রুয়ারি বেছে নিয়েছিলাম। পরে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলে বেশ কিছু কারণে আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে হয়েছে। ৭ তারিখে মুক্তি দেওয়াই এখন আমাদের কাছে বেটার মনে হচ্ছে। অল্প সময় হাতে থাকলেও এ সময় নিয়েই আমরা এগিয়ে যেতে চাই।’
সিনেমাটির পরিচালক ইকবাল হোসাইন চৌধুরী বলেন, ‘আমরা সিনেমাটির মুক্তি দিচ্ছি আগামীকাল। ডিস্ট্রিবিউটর ও হল কর্তৃপক্ষের সঙ্গে সেভাবেই চুক্তি হয়েছে।
নির্মাতা ইকবাল হোসাইন চৌধুরী চট্টগ্রামের বাঁশখালী অঞ্চলের বাসিন্দা। বেড়ে উঠেছেন বঙ্গোপসাগরঘেঁষা উপকূলীয় অঞ্চলে। ১৯৯১ সালের ঘূর্ণিঝড় ও পরবর্তী সময়ে নিখোঁজ মানুষের আহাজারি কাছ থেকে শুনেছেন। এ জন্য প্রথম সিনেমা বানানোর সময় তাঁকে সবচেয়ে বেশি তাড়িত করেছে সমুদ্র ও তার শিকড়ের যোগসূত্র। চট্টগ্রাম অঞ্চলের সমুদ্রঘেঁষা মানুষের ঐতিহ্যের সঙ্গে মিশে থাকা বলীখেলাকে কেন্দ্র করে এগিয়েছে সিনেমার গল্প।
২৮তম বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে সেরা সিনেমার পুরস্কার জয় করে ‘বলী’।
সিনেমাটি গত বছর সাংহাই ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যালসহ আরও বেশ কিছু উৎসবে প্রদর্শিত হয়। সর্বশেষ গত জানুয়ারিতে ২৩তম ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের সমাপনী সিনেমা নির্বাচিত হয় ‘বলী’। সে আয়োজনে প্রযোজক জানিয়েছিলেন, খুব শিগগির সিনেমাটি মুক্তি পাবে। অবশেষে দেশের দর্শক ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে সিনেমাটি প্রেক্ষাগৃহে দেখতে পাবেন। ২০২১ সালে বাংলাদেশ সরকারের অনুদান পায় ‘বলী’। সিনেমায় মূল ‘বলী’র চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দীন খান। তাঁর সঙ্গে রয়েছেন প্রিয়াম অর্চি, ইতমাম, এনজেল।
.উৎস: Samakal
কীওয়ার্ড: চলচ চ ত র উৎসব
এছাড়াও পড়ুন:
পূজাকে ঘিরে আইনশৃঙ্খলায় বাহিনী তৎপর : ডিসি
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আইনসৃঙ্খলা স্বাভাবিক রয়েছে, বিশেষ করে হিন্দু সম্প্রদায়ের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শারদীয় দুর্গাপূজাকে ঘিরে সকল ধর্মমত, সকল সম্প্রদায় তারা একত্রিত হয়েছে।
সকলেই সার্বিক সহয়তা করছে যাতে করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের পূজা উৎসব সুন্দর ভাবে পজলন করতে পারে। পূজাকে ঘিরে একটি গোষ্ঠি চাইবে পূজা উৎসব নষ্ট করে দেয়ার জন্য।
সে জন্য আমাদের তৎপরতা রয়েছে। আমাদের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে। তার পাশাপাশি র্যাব, বিজিবি, সেনাবাহিনী ও বাংলাদেশ পুলিশবাহিহনী সবাই কাজ করছে যাতে করে সুন্দর ভাবে পূজা উৎসব শেষ করতে পারি।
মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) শীতলক্ষ্যা নদীর তীরে ৫নং ঘাটে দূর্গা পূজার প্রতিমা বিসর্জনের স্থান পরিদর্শনকালে তিনি এ নির্দেশনা দেন।
দূর্গা পূজা বিজয়া দশমী শেষে প্রতিমা বিসর্জনের সময় যেকোনো অপ্রীতিকর দূর্ঘটনা এড়াতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। সুন্দর ভাবে প্রতিমা বিসর্জনের স্থান নিরাপদ রাখতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন জেলা প্রশাসক।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, নারায়ণগঞ্জের ২২৩টি পূজা মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে পূজা উদযাপনে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। শান্তি ও সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবং সম্প্রীতি বজায় রেখে বর্তমানে পূজা উদযাপনের প্রস্তুতি চলছে।
এসময় তিনি প্রতিটি মণ্ডপে সুষ্ঠুভাবে ও নির্বিঘ্নে পূজা অনুষ্ঠান সম্পন্ন করতে প্রশাসন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাযথ সহযোগিতার নির্দেশনা দেন।
তিনি বলেন, সকলে মিলে সব উৎসব উদযাপন করাই বাংলার ঐতিহ্য ও গৌরব।
এসময় জেলা প্রশাসন, সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিআইডব্লিউটিএ, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।