রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বর সড়কে শেখ মুজিবুর রহমানের বাড়িসহ সারা দেশের বিভিন্ন স্থাপনায় ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা ও উদ্বেগ জানিয়েছে বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট (ব্লাস্ট)। গতকাল শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সংস্থাটি এ নিন্দা ও উদ্বেগ জানায়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জুলাই-আগস্ট ২০২৪–এর হত্যাকাণ্ডের ঘটনা এখনো বিচারাধীন, আহত ব্যক্তিরা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা এবং পুনর্বাসনের জন্য অপেক্ষা করছেন। এই পরিস্থিতিতে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এখনো তার সরকারের স্বৈরাচারী কর্মকাণ্ড, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং জুলাই-আগস্টের গণহত্যার জন্য দায় স্বীকার না করে, ওই ঘটনাগুলোর জন্য কোনো প্রকারের অনুতাপ প্রকাশ না করে, বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, এই পরিস্থিতিতে শেখ হাসিনার বক্তৃতাকে কেন্দ্র করে গত বুধবার রাতে বিক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা ধানমন্ডির ৩২ নম্বরের বাড়ি, শেখ হাসিনার বাসভবন সুধা সদনসহ দেশের বিভিন্ন স্থানের আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়িঘরে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করেছে। এর নিন্দা জানিয়ে ব্লাস্ট বিজ্ঞপ্তিতে বলেছে, দ্রুততার সঙ্গে জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের যথাযথ তদন্ত ও বিচারসম্পন্ন, আহত ব্যক্তিদের সুচিকিৎসা ও পুনর্বাসন নিশ্চিত করতে হবে।

ব্লাস্টের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় ব্যর্থতার ফলে দেশব্যাপী বিশৃঙ্খল ও সংঘাতময় পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে, পুলিশ প্রশাসন যথাসময়ে প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণে ব্যর্থ হয়েছে। এ ধরনের সংঘবদ্ধ হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এভাবে স্থাপনা-সম্পত্তি ধ্বংস করা প্রচলিত আইনে ফৌজদারি অপরাধ। অনতিবিলম্বে এ ধরনের সহিংসতা প্রতিরোধ, শান্তি-শৃঙ্খলা ও স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা এবং আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণ জরুরি।

এ ধরনের ধ্বংসাত্মক কার্যক্রম, সহিংসতা ও বিশৃঙ্খলা প্রতিরোধে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি জোর দাবি জানিয়েছে ব্লাস্ট।

.

উৎস: Prothomalo

কীওয়ার্ড: র জন য ধ নমন

এছাড়াও পড়ুন:

নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার

বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারী ইউনিয়ন থেকে অপহৃত সাত বছরের একটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে। অপহরণের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে রুহুল আমিন (২০) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশ বলছে, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর অভিযানের মধ্যে অপহরণকারীরা গতকাল শুক্রবার গহিন জঙ্গলে মায়ের কাছে শিশুটিকে দিয়ে পালিয়ে গেছে। তবে বাইশারী ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) রাঙ্গাঝির এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিনের দাবি, তিন লাখ টাকা মুক্তিপণের বিনিময়ে অপহরণকারীরা শিশুটিকে মায়ের কাছে দিয়ে গেছে।

বান্দরবানের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবদুল করিম এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলেন, গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত একটার দিকে সৌদি আরবপ্রবাসী সাইফুল ও শাহেদা বেগম দম্পতির সাত বছরের ছেলেকে বাড়ি থেকে অপহরণ করা হয়। অপহরণের পর সন্ত্রাসীরা ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। ঘটনার পর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে। পুলিশের অভিযানে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়েছে।

মুক্তিপণ দিয়ে শিশুটিকে মুক্তি দেওয়ার ব্যাপারে পুলিশের কাছে কোনো তথ্য নেই বলে একজন পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।

বাইশারী ইউপির রাঙ্গাঝিরি এলাকার সদস্য মো. শাহাবুদ্দিন বলেন, মঙ্গলবার রাতে রাঙ্গাঝিরি পাড়ার শিশুটি অপহৃত হওয়ার পর পরিবার থেকে অপহরণকারীদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হচ্ছিল। অন্যদিকে পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকরী বাহিনীও অভিযান পরিচালনা করেছে। গতকাল শুক্রবার শিশুটির মা রাঙ্গাঝিরি থেকে আলেক্ষ্যং এলাকায় যান। সেখান থেকে তাঁর অপহৃত সন্তানসহ বিকেলে ফিরে আসেন। সন্ত্রাসীরা প্রথমে ১০ লাখ টাকা দাবি করলেও পরে তিন লাখ টাকা নিয়ে ছেড়ে দিয়েছে বলে তাঁরা জেনেছেন।

বান্দরবানের পুলিশ সুপার শহিদুল্লাহ কাওছার বলেন, অভিযানের মুখে অপহৃত শিশুটিকে মুক্তি দিয়েছে সন্ত্রাসীরা। অপহরণের ঘটনার পর থেকে অভিযান চালানো হয়েছে। উদ্ধারের পর শিশুটির পরিবার মামলা করার জন্য থানায় গেছে।

সম্পর্কিত নিবন্ধ

  • নাইক্ষ্যংছড়ি থেকে সৌদিপ্রবাসীর অপহৃত শিশুসন্তান উদ্ধার
  • সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদালত গঠন করা হয়েছে: আইএসপিআর
  • রাজনৈতিক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত আদাল
  • সারা দেশে সাত দিনে যৌথ বাহিনীর অভিযানে আটক ২৮৮
  • শৈলকুপায় ইউপি কার্যালয়ে তালা, বিএনপি নেতাসহ আটক ৬
  • ইউনিয়ন পরিষদে তালা দেয়ায় বিএনপি নেতা আটক
  • গোপালগঞ্জে এনসিপির অনেকের জীবননাশের হুমকি ছিল, আত্মরক্ষার্থে বলপ্রয়োগ করা হয়েছে
  • তারেক রহমানসহ আসামিদের খালাসের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলের শুনানি ১৩ আগস্ট
  • ‘ভূমিকম্পে ছিন্নভিন্ন হওয়া দেশকে স্থিতিশীলতায় ফিরিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার’
  • কক্সবাজারে ৩৫ পুলিশ সদস্যের পোশাকে থাকবে ‘বডি ওর্ন ক্যামেরা’